কুমড়ো বড়ি টেংরা পালংশাকের ঝোল।
হ্যালো বন্ধুরা,,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ নতুন একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।শীতকাল প্রায় শেষের দিকেই চলে এসেছে,শীতকালীন সবজি খাওয়ার মজার দিনগুলো চলে যাচ্ছে।তাই আজ শীতকালীন পালংশাক কুমড়ো বড়ি শিম দিয়ে টেংরামাছের ঝোল রান্না করেছিলাম।আর ক'দিন পর এই খাবার গুলো খুব মিস করবো আবারও সেই শীতকালের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে।অনেক মজাদার রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ
টেংরামাছ
কুমড়ো বড়ি
পালংশাক
আলু
শিম
টমেটো
পেঁয়াজকুচি
কাঁচামরিচ
আদাবাটা
জিরাগুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
লবণ
হলুদ
তেল
প্রথমে লবণ হলুদ দিয়ে মাছগুলো ভেজে তুলে নিয়েছি।
এবার শাকগুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে হালকা করে ভাপিয়ে ভেজে নিয়েছি।
তেলের মধ্যে আলু,শিম ও কুমড়ো বড়ি গুলো ভেজে তুলে নিয়েছি।
প্রথমে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ গুলো ভেজে নিয়েছি।তারপর টমেটোগুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিয়ে তার মধ্যে মশলার গুঁড়াগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।
এবার আদা বাটা দেওয়ার পর সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে মসলাগুলো খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
মসলা কষানো হলে ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঝোল দিয়েছি।
ঝোল ফুটে উঠলে তার মধ্যে ভেজে রাখা শিম,মাছ ভাজা গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়েছি।তারপর ভেজে রাখা কুমড়ো বড়ি ও শাকগুলো দেওয়ার পর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি।
সবকিছু সিদ্ধ হয়ে ঝোল কমে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার কুমড়ো বড়ি টেংরা পালংশাকের ঝোল
রেসিপি টি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
OR
আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরির পুরো বর্ণনা গুলো পড়ে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে এরকম রেসিপি খেতে অনেক বেশি মজাদার লাগে। আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইস্ বড়ি কতদিন খাই না। আজ আপনার তরকারি দেখে তো বেশ খেতে মন চাইছে। আপনি বেশ সুন্দর করে আজকের রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার আজকের রেসিপিটি কিন্তু বেশ লোভনীয় মনে হচেছ। ধন্যবাদ এমন দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
টেংরা মাছ দিয়ে পালং শাক রান্না করেছেন। এর সাথে কুমড়ো বড়ি দিয়েছেন। পালং শাক এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
প্রোমোশন লিংক
কুমড়ো বড়ি টেংরা পালংশাকের ঝোল রেসিপি শেয়ার করেছেন। টেংরা মাছের সাথে পালংশাক মিশ্রণ করে দূর্দান্ত একটি রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপিটি আপনি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চাল কুমড়ার বড়ি ও পালন শাকের সমন্বয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগলো। টেংরা মাছ এর আগে আমাদের পুকুরে পাওয়া যেত কিন্তু এখন আর হয় না। এই মাছগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর রেসিপি করেছেন আপনি। আশা করি অতি সহি সুস্বাদু ছিল এই রেসিপি।
দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। যদিও কুমড়ো বড়ি কখনো খাওয়া হয়নি তবে অনেকবার নাম শুনেছি। টেংরা মাছের সাথে পালং শাক, শিম, আলু সব কিছু দিয়ে দারুন একটা রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। রেসিপিটার কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে মজা হয়েছিল আর লোভনীয় লাগছে অনেক।
শীতকালীন সবজি দিয়ে চমৎকার সুন্দর ও।লোভনীয় করে রেসিপি তৈরি করেছেন।সব গুলোই সুস্বাদু সবজি এবং ডালের বড়ি তো খেতে দারুণ লাগে।টেংরা মাছ যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। পুরা রেসিপিটি পুষ্টিকর হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালীন বেশ কিছু সবজি দিয়ে লোভনীয় মাছ রান্নার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দিদি। টেংরা মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু। শীতের সময় শীতকালীন সবজি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। এই মাছের ঝোলে কুমড়ো বড়ি কি যে ভালো লাগে আমার কি আর বলবো। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানিয় দিদি।