ভেজষ গুণের ডুমুর ভাজা।
"হ্যালো বন্ধুরা"
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঝোপঝাড়ে অযত্ন আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা একটি ফলের নাম ডুমুর। ডুমুরের পাতা খসখসে হয়।ডুমুরের ফল নরম ও মিষ্টি হয়। কাঁচা বা শুকনা দুইভাবেই খাওয়া যায় এই ফল। ডুমুর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডুমুর খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডুমুর ফ্রি রাডিক্যালের বিরুদ্ধে শরীরে প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে।ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকা খুব জরুরি। এই ক্ষেত্রে ডুমুর সাহায্য করতে পারে।হাড় শক্তিশালী করে হাড়ের যত্নের ডুমুর বেশ কার্যকর। ডুমুর খেলে তা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে যা হাড়ের শক্তি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে চান তবে ডুমুর একটি মূল্যবান সহযোগী হতে পারে। এর ফাইবার উপাদান স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় ডুমুর যোগ করুন। এতে শরীরের অনেকগুলো রোগবালাই নীরবে দূর হবে। সুস্থতা বজায় থাকবে শরীরে।
চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক
ধাপ-১
প্রথমে ডুমুরের চারপাশের অংশগুলো কেটে নিয়ে মাঝের অংশটি ফেলে দিয়েছি।তারপর পরিষ্কার জলে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজকুচি ও কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার পেঁয়াজ ভাজা গুলোর মধ্যে লবন হলুদগুঁড়া দিয়ে সামান্য নেড়েচেড়ে তার মধ্যে কেটে রাখা ডুমুর গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে ডুমুর গুলো রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
জল শুকিয়ে ডুমুর গুলো সিদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনা খুলে তার মধ্যে জিরা গুড়া মরিচের গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে নেড়েচেড়ে ভাজতে ভাজতে ডুমুর গুলো যখন লাল লাল হয়ে আসছে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো ভেজষ গুণে ভরপুর ডুমুর ভাজা রেসিপি টি।
"পরিবেশন"
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে!সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ।
ডুমুর ভাজি রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতে একটি বড় ডুমুর গাছ ছিল তাই ছোটবেলায় এটা আমাদের প্রায় খাওয়া হতো। এখন আর খুব একটা খাওয়া হয় না তবে এটা যে খুব উপকারী সেটা জানি। আজ আপনি ডুমুর ভাজি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। রেসিপিটি বিস্তারিত সহকারে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভেজষ গুণের ডুমুর ভাজার অনেক লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ডুমুর যে এভাবে খাওয়া যায় সেটা আমার জানাই ছিল না।
ডুমুর আমার পছন্দের। ডুমুর ভাজা বা চাটনি অসাধারণ সুন্দর হয় খেতে।আপনি খুব সুন্দর করে পুষ্টিগুণ বর্ণনা করেছেন। ডুমুরের। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা বুঝতে পারছি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট করেছেন জন্য।
অবহেলায় অযত্নে বেড়ে ওঠা ডুমুর ফলের এতটা যে ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে এটা তো আমার সম্পূর্ণ অজানা ছিল।যা আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। সেই সাথে ডুমুর ফল কিভাবে রান্না করে খাওয়া যায় সেই রেসিপিটাও সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। এরকম ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ একটি ফল এর রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ডুমুর ফল খেতে অনেক মজা তবে এদিকে তেমন পাওয়া যায়নি। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার।
ডুমুর ফল এর এত উপকারিতা রয়েছে জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমি খুব ছোটবেলায় একবার ডুমুর ভাজা খেয়েছিলাম। এরপর আর কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার ডুমুর ভাজা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। গরম ভাতের সাথে এই ভাজি খেতে দারুণ লাগবে। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
প্রোমোশন লিংক
শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ হাটতে পারিনি।একটু সুস্থ হলেই নিয়মানুযায়ী করবো।🙏
ডুমুর ফলের অনেক উপকারিতা কিন্তু এভাবে রান্না করে খাওয়া যায় তা একদম জানা ছিল না। রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে। তবে ছোটবেলায় নানুর বাড়িতে গেলে ডুমুর ফল লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়া হতো। এখন অনেকদিন এই ফল খাওয়া হয়না। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা গ্রামের ভাষায় বলে থাকে বিলাতি ডুমুর আবার কেউ বলে জব ডুমুর। তবে এই ফলটা আমি ছোটবেলায় অনেক দেখেছি গ্রামে এখন আর চোখে পড়ে না। এটা অনেক সুন্দর ভাবে ভাজি করে খাওয়া যায়। আপনি রেসিপিটা বেশ দারুন করেছেন। অনেক লোভনীয় আর সুস্বাদু মনে হচ্ছে।