দুশ্চিন্তা সকল রোগের কারণ!!😥 প্রথম-পর্ব
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকের ব্লগ টি শেয়ার করছি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
টেনশন বা দুশ্চিন্তা প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই থাকে। প্রতিটা পদক্ষেপে এই চিন্তা থাকে। কারো ক্ষেত্রে পড়াশুনা নিয়ে, কারো কাজের চাপে, আবার কারো টাকার টেনশন, এক কথায় টেনশন একটা মানুষের জীবনে সর্বক্ষণের সঙ্গী বলা চলে।মানুষের সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি হল মানসিক শান্তি, তবে দুশ্চিন্তা অনেক সময় এই শান্তি ভঙ্গ করে দেয,আমার চাইলেও দুশ্চিন্তা পরিহার করতে পারি না।আমার মনে হয় মানুষ যতোদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে ততোদিন তাদের মনে কিছু না কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা লেগে থাকবে, কেননা আমাদের বাস্তব জীবনে সবকিছু সঠিক কখনোই হয় না।
আমি হলাম দুশ্চিন্তার কারখানা যদিওবা এটা আমার কথা নয় এটা আমার বরের উক্তি।আমি যেকোনো বিষয় নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা করি যা না করলেও চলে এমন বিষয় গুলো নিয়েও দুশ্চিন্তা করে অনেক বড় রকমের সমস্যার তৈরি করে ফেলি।বেশ ভালোই ছিলাম হঠাৎ করেই মাথায় কোনো এক বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা ঢুকে গেলো তারপর দিনের পর দিন সেটা নিয়েই পড়ে আছি।প্রায় ২১/২২ রাত না ঘুমিয়ে পার করলাম।সারারাত জেগে থাকি ভোর হয় তারপর একটু ঘুমের ভাব আসে তখন দুই এক ঘন্টা ঘুমিয়ে আবারও উঠতে হয়।সংসার সন্তান আছে এর বেশি তো ঘুমাতে পারি না।এভাবেই অনেক গুলো দিন চলতে চলতে তারপর একপর্যায়ে অসুস্থই হয়ে পড়লাম।
শরীর অনেক দিন ধরেই খারাপ যাচ্ছিলো ডাক্তারের কাছর যাবো করে করে আর যাওয়াই হচ্ছিলো না!কালকে হঠাৎ করেই ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়ে দিলাম ডাক্তার বসবেন সন্ধ্যায় তাই বাসা থেকে সাড়ে পাঁচ টার দিকে বেড়িয়ে পড়লাম ইবনে সিনার উদ্দেশ্যে।ছয় টার একটু আগেই পৌঁছে গেলাম।ওয়েটিং রুমে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম।কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তার সাহেব চলে আসলেন,আমার নয় নম্বর সিরিয়াল তাই আমাকে একটু অপেক্ষা করতে হলো।নিয়মঅনুযায়ী আমার সিরিয়াল আসলো আমি ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করলাম আমার সমস্যার কথা জানতে চাইলেন আমি সবকিছু খুলে বললাম।তারপর আমার প্রেশার চেক করে দেখার পর ডাক্তার সাহেব একটু অবাক হলেন বললেন আপনার প্রেশার তো আগে কখনো এতো বেশি ছিলো না সবসময়ই স্বাভাবিক থাকতো।দীর্ঘ চার বছর ধরে আসিফ রব্বানী স্যার আমাকে দেখেন তাই তিনি আমার প্রেশার সম্পর্কে ভালো করেই জানেন।গতকাল আমার বিপি -১৫০/১০০ হয়েছে।
ডাক্তার সাহেব আমাকে বেশকিছু টেস্ট লিখে দিলেন সেগুলো করিয়ে রিপোর্ট দেখাতে বললেন।তখন সন্ধ্যা সাত টা বাজে।আমি নিচে চলে গেলাম সেখানে টাকা জমা দিয়ে দোতলায় চলে গেলাম ওখানে প্রথম ব্লাড টেস্ট গুলো দিলাম তারপর ডান হাতের সমস্যা জন্য একটা এক্স-রে করতে দিয়েছে সেটা করানোর জন্য লাইনে দাঁড়ালাম।আমার সামনে মনে হয় কম করে ৫০-৬০ জন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলো এতো মানুষ দেখে আমি হতাশ হয়ে গেলাম।তারপর কাগজ টা জমা দিয়ে আমি চেয়ারে গিয়ে বসলাম।নিয়মঅনুযায়ী প্রায় দেড় ঘন্টা পর আমার সিরিয়াল আসলো।আমি এক্স-রে রুমে গেলাম আমার হাতের এক্স-রে করানো হলো তারপর আমি বাহিরে এসে রিপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।আধাঘন্টা পর রিপোর্ট হাতে পেলাম কিন্তু সমস্যা হলো ব্লাডের রিপোর্ট গুলো রাত সাড়ে নয়টার আগে পাবো না!
ডাক্তার সাহেব রাত নয়টা পর্যন্ত চেম্বারে থাকেন এটা ভেবে আবার তাড়াহুড়ো করে আট তলায় চলে গেলাম ওখানকার কি অবস্থা দেখার জন্য।গিয়ে দেখি অনেক রোগী আছে দেখে একটু স্বস্তি পেলাম।ওখানে সবার মাঝে কিছু সময় বসে অপেক্ষা করলাম।কিন্তু তারপরও চিন্তা হচ্ছিলো আমার রিপোর্ট পাওয়া আগেই যদি ডাক্তার সাহেব চলে যান তাহলে তো আমার বিপদ।কারণ পরেরদিন শুক্রবার ছুটির দিনে স্যার বসেন না, তাহলে আবার সেই শনিবার আসতে হবে আবারও ভিজিট দিতে হবে সবমিলিয়ে বিপদ!
চলবে.........
আজ এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।🙏
বাংলা উইটনেস
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/9) Get profit votes with @tipU :)
দুঃচিন্তা বা অতিরিক্ত চিন্তা করা একটা মারাত্মক সমস্যা। এটা ধীরে ধীরে আমাদের শেষ করে দেয় ভেতর থেকে। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা যেকোনো বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে এটাও আবার ঠিক না। আর এখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া আরেকটা সমস্যা। এতো পরিমাণ মানুষের ভীড় জমে থাকে কিছু বলার নেই। আপনার জন্য শুভকামনা আপু।
আমিও দুচিন্তা করতে করতে জীবন টাই শেষ করলাম।নিজেকে খুব অসহায় লাগে এখন।মন ভালো না থাকলে শরীরও ভালো লাগে না। খাওয়া ঘুৃম সব এলোমেলো হয়ে যায় আর এজন্যই শরীরে নানা রোগ বাসা বাধে।আমার মাথা যন্ত্রণা নিত্যদিনের সঙ্গি হয়েছে এখন।ডাক্তার দেখিয়েছেন ভালো করেছেন। নিয়মিত ঔষধ খেয়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।