অসমাপ্ত প্রেম পর্ব -২ 💔
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
প্রিয়া এক পর্যায়ে আশিক কে চাপ দিতে লাগলো তাকে বিয়ে করার জন্য। আশিক তো এই কথা শুনে আরো হতভম্ব হয়ে গেলো সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।সে যে চাকরি করে তাতে এটা যদি জানাজানি হয়ে যায় তাহলে প্রথমে তার চাকরি থাকবে না।তারপর তার পরিবারকে হারাবে তারপর তার সন্তানদের সামনে ছোট হয়ে যাবে। এগুলো ভাবতে ভাবতে যেনো আশিকের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছিলো।সে প্রিয়াকে অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু প্রিয়া আশিকের প্রেমে এতোটাই হাবুডুবু খাচ্ছিল যে সে কোনোভাবেই কিছু বুঝতে চাইছিলো না।
আর এভাবেই শুরু হয় আশিক আর প্রিয়ার মাঝে দ্বন্দ্ব। আশিকের সাথে প্রিয়ার কথা যতোটুকু সময় হয় তারমধ্যে বেশিরভাগ সময় তাদের ঝগড়া বেশি হয়।প্রিয়া সবসময়ই কান্নাকাটি করে আর অন্য দিকে আশিকের চাকরি,পরিবারের চাপ তার উপর প্রিয়ার কান্নাকাটি সবমিলিয়ে আশিক অস্থির হয়ে উঠে এবং এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়। কিন্তু সে কোনো উপায় খুঁজে পায় না।এভাবেই চলে দুজনের সম্পর্ক।এরমধ্যেই হঠাৎ করেই আশিকের বদলির খবর চলে আসে তাকে অল্প দিনের মধ্যেই ঢাকায় যোগদান করতে হবে।এই কথা শোনার সাথে সাথে প্রিয়া তো একেবারে পাগল প্রায় হওয়ার মতো তার কথা সে আশিক কে কোনোভাবেই ঢাকায় যেতে দিবে না, যতো টাকা লাগুক যেকোনো উপায়ে হোক বদলি আটকাতেই হবে।আশিক প্রিয়ার কথা রাখতে অনেক চেষ্টা করে বদলি আটকানোর কিন্তু সে ব্যর্থ হয়।
ঈশ্বর হয়তোবা এই সম্পর্কের একটা পরিণতি চাইছিলো তাই এই অশান্তির মধ্যে একটা ভালো ঘটনা ঘটান। তা হলো প্রিয়ার হাসবেন্ড এর নামকরা একটি ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরি জুটিয়ে দেন। আর এই চাকরির সুবাদে যাতে ওর হাসবেন্ড ওকে তার ঘরে তুলে নিতে পারেন।ঈশ্বরের ইচ্ছেয় ঠিক তাই হলো,প্রিয়ার শ্বশুর বাড়ি থেকে খবর আসে যে তার ছেলে ভালো চাকরি পেয়েছে এবার তারা প্রিয়াকে ঘরে তুলে নিতে চান।প্রিয়ার বাবা মা তো এই খবর শুনে অনেক খুশি। কারণ সব বাবা-মায়েরাই চায় সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে থাকতে সুন্দরভাবে মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠাতে পারলেই তাদের শান্তি।
বিয়ের খবর শুনে প্রিয়া তো দুঃখের সাগরে ভাসছে আর এদিকে আশিক একটু হলেও হাঁফ ছেড়ে বাঁচার আশা করছে।দেখতে দেখতে প্রিয়ার বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে এদিকে আশিকের যোগদানেরও সময়।কিন্তু প্রিয়ার অনুরোধ তার বিয়েটা যেনো আশিকের উপস্থিতিতেই হয় আশিক তার শেষ ইচ্ছে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।প্রিয়ার বাবা-মা এই সম্পর্কের কিছুই জানতেন না তারা আশিক কে নিজের ছেলের মতো দেখতেন আর তাই বিয়ের সব দায়িত্ব আশিকের উপর দেন।আশিক প্রিয়া দুজন মিলে বিয়ের সব কেনাকাটা করে আরও যা যা করা সবকিছু দুজন একসাথে করে।আশিক প্রিয়া কে কিছু দিতে চায় কিন্তু প্রিয়া কিছুতেই কিছু নিবে না আশিক মন খারাপ করে তখন প্রিয়া বাধ্য হয়ে দুটো ড্রেস কিনে নিজের জন্য আশিক সেই টাকা দেয়।
বিয়ের দুই তিনদিন আগে আশিক তার বাড়িতে যায় এই ভেবে যে সে যদি এখানে থাকে তাহলে প্রিয়া অনেক বেশি কান্নাকাটি করবে এবং পরবর্তী সময়ে বাজে পরিস্থিতি হতে পারে।বিয়ের দিন দুপুর বেলা আশিক তার মেয়েকে নিয়ে দাওয়াতে আসে। এসে দেখে তার প্রিয়তমা বধু বেশে আরেকজনের অপেক্ষায় বসে আছে,এই দৃশ্য দেখে আশিকের হৃদয় কিছুটা হলেও কষ্টে দুমড়েমুচড়ে উঠেছে।পরিস্থিতির কারণে হয়তো প্রিয়াকে ছাড়তে হচ্ছে কিন্তু একটা সময় তো দুজন দুজনকে ভালোবেসেছিলো। একবারের জন্য হলেও আশিকের মনে সেই মধুর স্মৃতি গুলো ভেসে উঠেছিলো এবং তার অজান্তেই দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিলো..।😥
চলবে.......
আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.