রুই মাছের পুর ভরা পটলের তেল ঝাল রেসিপি। shy-fox 10% | abb-school 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো আছি।
পটল আমরা কম বেশি সকলেই পছন্দ করি, সাধারনত আমরা পটল দিয়ে মাছের ঝোল, চচ্চড়ি, ভাজি আরও অনেকভাবেই রান্না করে খেয়ে থাকি। আজকে আমি পটল দিয়ে একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। রুই মাছের পুর ভরা পটলের তেল ঝাল। আমি প্রতিটি ধাপে ধাপে রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পটল | ৫ টা |
রুই মাছ | ৪ টুকরো |
পেঁয়াজ কুঁচি | হাফ কাপ |
পেঁয়াজ বাঁটা | ২ টেবিল চামচ |
আদা বাঁটা | দেড় চা চামচ |
রসুন বাঁটা | ১ চা চামচ |
জিরাগুঁড়া | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
লবন | স্বাদমতো |
শুকনা মরিচের গুঁড়া | ২ চা চামচ |
কাঁচামরিচ | ৮-১০ টি |
টমেটো পেস্ট | ১ টেবিল চামচ |
তেজপাতা | ১ টা |
দারুচিনি | ১ টুকরো |
এলাচ | ১ টি |
সয়াবিন তেল | ১ কাপ |
ময়দা | ২ টেবিল চামচ |
ধাপ-১ |
---|
পাঁচটা পটল নিয়ে উপরের সবুজ অংশটি হালকা করে চেঁছে নিয়ে দুই পাশে কেটে নিয়েছি। তারপর একটি প্লাস্টিকের কাঠির সাহায্যে পটলের বিচি ও শাঁস গুলো বের করে নিয়েছি।
ধাপ-২ |
---|
রুই মাছের পেটির অংশ চার টুকরো নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর লবন হলুদ গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩ |
---|
চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তারপর অল্প পরিমাণে তেল দিয়েছি, তেল গরম হলে মাছের টুকরো গুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছি যাতে করে মাছের টুকরো গুলো সিদ্ধ হয়।খুবই অল্প আঁচে একপাশ ভেজে নিয়েছি তারপর উল্টিয়ে দিয়ে দুপাশে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪ |
---|
মাছ ভাজা গুলো ঠান্ডা হলে কাটা বেছে নিয়ে তারমধ্যে লবন,হলুদের গুঁড়া, মরিচ কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন বাঁটা সামান্য জিরাগুঁড়া আর খুবই অল্প পরিমাণে ময়দা দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৫ |
---|
এটকু ময়দা সামান্য জল দিয়ে মেখে নিয়েছি।তারপর কেটে ধুয়ে রাখা পটল গুলো একটা করে নিয়ে মাছের মাখানো পুর গুলো পটলের মধ্যে ভরে নিয়েছি সবগুলো একইভাবে করে নিয়ে মেখে রাখা ময়দা দিয়ে পটলের দুপাশে মুখ আটকিয়ে নিয়েছি যাতে করে মাছের পুর গুলো বের না হয়ে যায়।
ধাপ-৬ |
---|
কড়াইয়ে মাছ ভাজার তেলের মধ্যে আরও বেশি খানিক তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি হালকা গরম হলে একটা একটা করে পটল গুলো ছেড়ে দিয়েছি তারপর খুবই হালকা আঁচে পটল গুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৭ |
---|
পটল গুলো তুলে নিয়ে ঐ তেলের মধ্যে তেজপাতা গরমমসলা দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে বাদামী কালার করে ভেজে নিয়েছি। তারপর সব মসলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৮ |
---|
মসলা গুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি তারপর টমেটো পেস্ট গুলো দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি তারপর সামান্য জল দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৯ |
---|
সামান্য জল দিয়ে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে মসলা গুলো খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি মসলা কষানো হলে কয়েকটা কাঁচামরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে অল্প জল দিয়ে পটল গুলো ছেড়ে দিয়েছি। তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-১০ |
---|
অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে ঢেকে রেখেছি তারপর ঢাকনা খুলে একটু নেড়েচেড়ে নিয়েছি কয়েকবার। যখন জল শুকিয়ে মসলা থেকে তেল উঠে আসছে তখন চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ ধাপ |
---|
চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিয়ে দমে রেখেছি। তারপর একটা প্লেটে উঠিয়ে নিয়েছি। উপর দিয়ে কাঁচামরিচ দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত রুই মাছের পুর ভরা পটলের তেল ঝাল।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
আপু আপনার পটলের রেসিপি সত্যি ই খুব লোভনীয় হয়েছে । অনেক ভাল লাগলো রেসিপিটি ।আমি একদিন চিংড়ি মাছের পুর দিয়ে করেছিলাম ,খুব মজা হয়েছিল । আপনার রেসিপিটিও মজার হবে বোঝা যাচ্ছে ।ধন্যবাদ আপু মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোন কিছুই অনেক টেস্টি হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি চিংড়ি মাছ খেতে পারিনা 😭
আস্তে আস্তে পটলের সুস্বাদু রেসিপিতে ভরে যাবে মনে হচ্ছে আমাদের কমিউনিটি। এত সুন্দর মজার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ লেগে গেছে ইচ্ছে করছে খেতে শুরু করি। সুন্দরভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া কয়দিনের মধ্যে আরও অনেক নতুন নতুন রেসিপি আমরা দেখতে পারবো। আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে আমি ভীষণ খুশি সেজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
রুই মাছের পুর ভরা পটলের তেল ঝাল রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এই ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু দেখেই মনে হচ্ছে চমৎকার ছিল।না জানি খেতে কত মজার হয়েছিল। আপু আপনি অনেক চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার ধারনা একদম সঠিক খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে যে কাজ গুলো করতে একটু ঝামেলা মনে হয় সেগুলোর টেস্ট অসাধারণ হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া।
পুঁইশাকের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। এরকম রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাশাআল্লাহ আপু একদম ইউনিক হয়েছে রেসিপি টা।দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।রুই মাছের পুর ভরা পটলের তেল ঝাল রেসিপি টা আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি টা দেখে একদিন তৈরি করে খেতে হবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য। দোয়া রইলো আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যিই খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। হ্যাঁ তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুবই চমৎকার লাগবে।
বাহ বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তো আপনি আপু। এভাবে কখনো পটল আমি খাইনি। মনে হচ্ছে এভাবেও টেস্ট করা প্রয়োজন। ধন্যবাদ ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি খুব সন্দর মন্তব্য করেছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। জ্বি টেস্ট করে দেখতে পারেন আশাকরি খুব ভালো লাগবে।
পটলের অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ পড়ে আমি সত্যিই অনেক অনেক মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ অসাধারণভাবে সাজিয়ে লিখেছেন। অতি লোভনীয় একটি পটলের রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পটলের এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যা আগে কখনো খাওয়া হয়নি। এই ধরনের খাবার খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
আপনার আজকের পটলের রেসিপি দেখে আমার তো পটল খাওয়ার স্বাদ আরও বেশি জেগে গেল আপু। খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমি নিশ্চিত রুই মাছ দিয়ে পটল এইভাবে রান্না করলে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয় অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পটল খেতে এমনিতেও অনেক ভালো লাগে তবে একটু ভিন্ন ভাবে যদি তৈরি করা যায় তাহলে এর স্বাদ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপনার তৈরি করা রুই মাছের রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ইউনিট পদ্ধতিতে রেসিপি তৈরি করার পাশাপাশি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি আমার মতো করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছি যাতে করে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়। ধন্যবাদ।