ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ|| রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
সময়গুলো কিভাবে যে পার হয়ে যায় বোঝাই যায় না। এইতো সেদিন যেন বৃহস্পতিবারের হ্যাংআউটে জয়েন করেছিলাম। দেখতে দেখতে আগামীকাল আবার হ্যাংআউট চলে এলো। এভাবে দিনগুলো অতিবাহিত হচ্ছে। আর প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে ভিন্ন রকম কিছু নিয়েই উপস্থাপন করে যাচ্ছি। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এমন একটা কমিউনিটি যেখানে সচরাচর একঘেয়েমি থাকে না।সবাই বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হয়। এজন্য বেশি ভালো লাগে। আর তার মাঝে রেনডম ফটোগ্রাফি তো অন্যতম। যারা ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসে তারা যে কোন কিছু ফটোগ্রাফিতে তুলে ধরার চেষ্টা করে এবং এটা স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখে। তার মাঝে আমিও একজন, যে কিনা বিভিন্ন জায়গায় গেলে ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।
যাই হোক আজ আপনাদের মাঝে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। যেগুলো আসলে বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা। এর আগের বার অবশ্য কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। আগামীতে আবারও কিছু ফুড ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তবে আজকের মত ভিন্ন ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এই গাছটা যখন দেখলাম তখন আমি একদম অবাক হয়ে গেলাম। কারণ সচরাচর এই গাছগুলো অনেক জায়গায় দেখেছি, ছোট বড়। কিন্তু মাঝখানের যে ফলের মতো জিনিসটি রয়েছে এটা দেখলাম প্রথমবারের মতো। যদিও আমি এর নাম জানিনা, তবে যখন গুগলে যখন সার্চ করলাম তখন দেখলাম এই গাছটির নাম মনিরাজ ফুল। যাইহোক চারপাশের পাতা গুলো দেখতে দারুন আকর্ষণীয় দেখা যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় এই ফুল গাছ গুলো দেখা যায়। মূলত বাগান এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই রঙিন ফুল গাছগুলো রোপন করে। একসাথে কয়েক রঙের ফুল থাকার কারণে দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়। আর এই ফুলগুলোর নাম হল মাধবীলতা। যদিও অনেকে আবার রঙ্গন ফুল বলে থাকে। তবে এগুলো রঙ্গন ফুল থেকে অনেকটাই আলাদা।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রাণী হল খরগোশ। আমি একসময় অনেকগুলো খরগোশ লালন পালন করেছি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সবগুলো মারা গিয়েছে। যাই হোক আমার কাছে সব সময় সাদা রঙের খরগোশগুলো বেশি ভালো লাগে। এই খরগোশগুলোর চোখের রং হয় হালকা গোলাপি। যেটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে। যদিও কয়েক ধরনের বা জাতের খরগোশ আছে। সবগুলো খরগোশের মধ্যে আমার কাছে এই খরগোশগুলোই বেশি ভালো লাগে।
এই ফুলটা কে কে চিনেন আমাকে অবশ্যই জানাবেন। বর্তমান সময়ে রাস্তাঘাটে সৌন্দর্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই ফুলগাছগুলো লাগানো হয়। আমাদের ফেনী শহরে তো রাস্তার মাঝখানে যে লেনগুলো আছে সেগুলোতে এই গাছগুলো ভরপুর। আর ফুলে ফুলে সব গাছে ভরে গিয়েছে। দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি এর সুগন্ধ খুব দারুন। অনেকটা কমলার ফুলের মত মনে হয়। তবে এই ফুলের নাম আপনাদের কাছ থেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করলাম।
এই পর্যন্ত আমার খাওয়া বেস্ট একটা চিকেন সিঙ্গারা হল এটি। এটা খেতে এত মজার হয়,যা না খেলে বুঝবেই না কেউ। এর প্রাইজ পার পিস পড়েছে বিশ টাকা করে। চার পিসের একটা প্লেটার ছিল ৮০ টাকা। আর সেটাই আমরা অর্ডার দিয়েছিলাম। যদিও এই সিঙ্গারা আসতে অনেক লেট হয়েছিল। এর কারণ হলো তারা তৎক্ষণাৎ সিঙ্গারা গুলো বানিয়ে তারপর সার্ভ করে। পূর্বে থেকে এই সিঙ্গারার পুর এবং ডো তৈরি করা থাকে। পরবর্তীতে অর্ডার হলে তারা সিঙ্গারার শেপ তৈরি করে ভেজে তারপর দিয়ে থাকে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর পেলেও বলতেই হবে এটা জাস্ট অসাধারণ একটা সিঙ্গারা ছিল।
কি অভাগা একটা বানর খাঁচার মধ্যে বন্দী অবস্থায় বসে আছে। আসলে সচরাচর পশু পাখিগুলো বনেই ভালো থাকে। কিন্তু চিড়িয়াখানাগুলোতে যখন যাওয়া হয় তখন দেখা যায় অনেক পশুপাখি সেখানে খাঁচার মধ্যে বন্দি অবস্থায় থাকে। শুধুমাত্র আমাদের বিনোদনের জন্যই মূলত পশুপাখি গুলোকে তাদের নিজ বাসস্থান থেকে আলাদা করে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়। মাঝে মাঝে এগুলোকে দেখলে খুব কষ্ট হয়। এরা এদের জায়গায় থাকতে পারছে না। বানর টাকে দেখে তখন আমার এটাই মনে হয়েছিল যে সে আফসোস করছে কবে যে এখান থেকে বের হতে পারবে আর গাছে গাছে ফিরতে পারবে।
এই চা টা ছিল একটা স্পেশাল চা। মূলত আমি একজন চা প্রেমি মানুষ। তবে রং চা খাই না। বিভিন্ন ধরনের দুধ চা খেতেই ভালো লাগে। দুই বেলা চা না হলে আমার চলেই না। তার মাঝে ফাঁকে ফাঁকে আরো কয়েকবার খেয়ে ফেলি আরকি হা হা। যাই হোক এই চা টা ছিল চায়ের গ্রামের স্পেশাল চা। আমরা যখন চায়ের গ্রামে গিয়েছিলাম তখন আমার জন্য এই স্পেশাল চা টা অর্ডার দিয়েছিলাম। সেই জায়গায় অতিবাহিত করা মুহূর্ত গুলো নিয়ে অন্য একদিন পোস্ট করব। তবে আজ আপনাদের মাঝে এই চায়ের ছবিটাই শেয়ার করলাম।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন এই কমিউনিটি এমন একটি কমিডিটি যেখানে কোন এগিয়ে আমি থাকেনা সবাই প্রতিনিয়ত খুব সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট শেয়ার করে যা দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি পড়তেও খুব ভালো লাগে আমিও চেষ্টা করি নিজের সৃজনশীলতা তুলে ধরার জন্য যাই হোক আপনি আসবেন বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে বিশেষ করে চা আর সিঙ্গারার ফটোগ্রাফি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমিও চা খেতে খুব পছন্দ করি কিন্তু রং চা এর থেকে দুধ চা খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে আপনার মতো এত খাওয়া হয় না। প্রথম ফটোগ্রাফির গাছ আমিও দেখেছি কিন্তু এর নাম আমারও জানা নেই। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক কিছু আছে যেগুলোর নাম অজানা। কিন্তু দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনি আজকে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে খুবই সুন্দর করে ধারণ করেছেন ফটোগ্রাফী গুলো। বিশেষ করে আমার কাছে আপনার তোলা ফুলের ফটোগ্রাফী গুলো একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়াও বাকী সব ফটোগ্রাফী বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
খুব সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবগুলো ফটোগ্রাফির সাথে আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। খরগোশগুলোকে দেখতে খুবই কিউট লাগছে। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এরকম খরগোশ আমার খুবই প্রিয় আপু। দেখতে এমনিতেই খুব বেশি মায়া লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।খরগোশ আপনার খুব পছন্দ তা জানতে পারলাম।আর ওই ফুলটির নাম আমার ও অজানা।আপনার মতো আপু আমিও চা প্রেমী মানুষ। রঙ চা আমিও খাই না।তবে দুধ চা সব ধরনের ট্রাই করতে প্রস্তুত আছি।
এই ফুলটা কামিনী ফুল আপু।আর আপনি তাহলে আমার দলে আছেন।রং চা আমি একদমই খাই না।তবে সর্দি কাশি হলে খাওয়া হয়।
আপু আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন।আপনার শেয়ার করা প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হলাম আমি। সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর বর্ণনা শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এত সুন্দর একটা গোছানো মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। দারুন হয়েছে আপনার প্রতিটা ফোটোগ্রাফি। তবে ফুলের ছবি গুলো বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাই হোক , আপনাকে ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু। আসলে ফটোগ্রাফি করতে খুব ভাল লাগে। এজন্যই আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়।
অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। বিশেষ করে মাধবীলতা ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
মাধবীলতা ফুলগুলো যখন এক গুচ্ছাকারে ফুটে তখন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। আর বৃষ্টির পর তো এই ফুল গুলো আরো বেশি সতেজতা ফিরে পায়।
আমার বাংলা ব্লগ একঘেয়েমি মুক্ত একটা কমিউনিটি আপু ঠিকই বলেছেন। খরগোশ আমার বেশ পছন্দের প্রাণী। চিকেন সিঙ্গারা টা দেখে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। স্পেশাল চা টা দেখতে অনেক টা কফির মতো লাগছে। বেশ দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
একঘেয়ে জীবন কারোরই পছন্দ না।নিজের পছন্দমত চলতে পারলেই ভালো লাগে সবার।ধন্যবাদ ভাইয়া।