আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
ছবি আর টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে এটা কিসের রেসিপি। এটা গতকাল সকালবেলা বানিয়েছিলাম মেহমান আসবে সেজন্য। যদিও পুরনো এমন অনেক পিঠা আছে যেগুলো আগে তৈরি করা হতো, সেই পিঠাগুলো আমি এখনো পর্যন্ত নিজ হাতে তৈরি করিনি। তবে এই পান্তুয়া পিঠাটা সবাই অনেকভাবে করেছে। তবে আজ আমি আপনাদের সবার সামনে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। যদিও পান্তুয়া পিঠার বেটার হতে শুরু করে সব কাজ আমি করলেও আমি বানাতাম না অনেক সময়। কারণ এটাও ভাজ দিতে আমার কাছে এমনিতেই ভয় লাগতো,হাহাহা। এজন্যই মূলত আম্মুই সবসময় তৈরি করতো। তবে সেটা নরমালভাবে আটা করে তৈরি করা হতো।
অনেকদিন আগে একবার একটা জায়গায় পান্তুয়ার ছবি দেখেছিলাম। যেখানে দুই কালারের লেয়ারে ছিল। আর দুই কালারের লেয়ারটা এত সুন্দর ভাবে মিলিয়ে গেল যে দেখতে দারুন দেখাচ্ছিল। তাই ভাবলাম যে আমিও যেহেতু প্রথমবার তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে দুই লেয়ারের করে তৈরি করি।অনেকে আবার এক্ষেতে তরল দুধ দেয় না। আমি কিন্তু তরল দুধ, ডিম দুটোই ব্যবহার করেছি। কারণ এটা টেস্টে একটা আলাদা বিশেষত্ব নিয়ে আসে। আর ডিমের অংশ প্রতি জায়গায় না থাকলেও দুধ আর ডিম দিয়ে আটা তৈরি করার কারনে খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। যাইহোক কথা আর বেশি না বাড়িয়ে এই মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করা যাক।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
উপকরণ | পরিমাণ |
ময়দা | ১ কাপ |
ডিম | ২টি |
চিনি | ১/২ কাপ |
লবণ | ১/২ চা চামচ |
তরল দুধ | দেড় কাপ |
জর্দার রঙ | ১/৩ চা চামচ |
প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙ্গে নিলাম। তার পর এর মধ্যে হাফ কাপ পরিমাণ চিনি দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
এই ধাপে হাফ চা চামচ পরিমাণ লবণ এবং অল্প একটু পরিমাণ দুধ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করলাম। তারপর এক কাপ পরিমাণ ময়দা দিয়ে দিলাম।
এখানে অল্প অল্প একটু পরিমাণ তরল দুধ দিয়ে ময়দার মিশ্রণটা তৈরি করে নিলাম। পাতলা একটা বেটার তৈরি করলাম। এর থেকে অর্ধেক পরিমাণ মিশ্রণ আলাদা একটা বাটিতে তুলে নিলাম।
এই ধাপে জর্দার রং নিয়ে অর্ধেক পরিমাণ মিশ্রণের মধ্যে মিক্স করে একটা কালারফুল মিশ্রণ তৈরি করে নিলাম।
ফ্রাই প্যানের মধ্যে এক টেবিল চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম। তারপর একটা ডিম ভেঙে, হালকা লবণ দিয়ে ভাঁজ করে ভেজে তুলে নিলাম।
ওই একই ফ্রাইপ্যানের মধ্যে কালারফুল মিশ্রনের থেকে বড় চামচের এক চামচ দিলাম। রুটির মত করে শেপ করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ সেকেন্ডের মতো রেখে হালকা করে ভাঁজলাম।
এই ধাপে ঢাকনা উঠিয়ে অপর পাশ উল্টে দিলাম। তারপর এর মধ্যে ভাজা ডিম দিয়ে একপাশ থেকে ভাঁজ করে নিলাম।
এভাবে একের পর এক কালারফুল আর নরমাল ব্যাটার দিয়ে পিঠাটা ভাঁজ করে করে শেষ পর্যন্ত একটা বড় আকারের পিঠা তৈরি হয়ে গেল।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
https://x.com/bristy110/status/1806913918016856225
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দুই কালারের লেয়ার দিয়ে পান্তুয়া তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। পান্তুয়া আমারও ভীষণ ভালো লাগে খেতে। বিকেলের নাস্তার জন্য খুবই পারফেক্ট। তবে এত পারফেক্টলি কখনো পান্তুয়া তৈরি করা হয়নি। সত্যি দারুন লাগছে আপনার পান্তুয়ার ফটোগ্রাফি গুলো। খেতে ইচ্ছে করছে। দুই কালারের লেয়ার দেওয়ার কারণে ভীষণ লোভনীয় লাগছে দেখতে।
পান্তুয়া পিঠা আমার খুব পছন্দের। কয়েকদিন আগে বাসায় আপু পান্তুয়া পিঠা তৈরি করেছে খেতে বেশ ভালো লেগেছে আমার । আপনার পান্তুয়া পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করতেছে। পান্তুয়া পিঠা তৈরি প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা বেশ ইউনিক লাগছে দেখে। চমৎকার তৈরি করেছেন পিঠা টা আপু। ভিন্ন কালারের দুই লেয়ারের পান্তুয়া পিঠা টা চমৎকার তৈরি করেছেন। পাশাপাশি চমৎকার উপস্থাপন করেছেন পোস্ট টা। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
কি দারুন বানিয়েছেন আপু পান্তুয়া পিঠা মেহমানেরা তো এই মজাদার পিঠা খেয়ে ধন্য হয়ে গেছে জীবন। ভীষণ লোভনীয় হয়েছে মনে হচ্ছে এক পিস তুলে খেয়ে ফেলি। ধাপে ধাপে পান্তুয়া পিঠা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর ভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পান্তুয়া পিঠাটা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যদিও আমি কখনো এই পিঠা বানানোর চেষ্টা করিনি। কারণ পিঠা বানানো আমার কাছে খুবই ঝামেলার মনে হয়। যাই হোক আপু আপনি প্রথমবার বানালেও কিন্তু খুব সুন্দর করে তৈরি করতে পেরেছেন। দুই কালার দেয়ার কারণে আরো বেশি লোভনীয় লাগছে দেখতে।
অনেক দারুন একটি পিঠা বানিয়েছেন আপু। আপনার তৈরি করা পিঠাটি দেখে অনেক লোভ লাগছে। এটা বেশ ইউনিক একটা পিঠা। দুই কালারের লেয়ার দিয়ে তৈরি এই পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।