হঠাৎ করে ফ্যমিলির সবাই মনপুরায় যাওয়া।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
গত ১০ ডিসেম্বর, বিকেল বেলায় হঠাৎ করে আমার হাজব্যন্ড বললো আমার শাশুড়ী সহ আমাদেরকে নিয়ে মনপুরায় যাবে।অনেকদিন হলো মনপুরায় যাওয়া হয়না। সেজন্যই মূলত তার ইচ্ছে হচ্ছে সেখানে যাবে। আর আমাদেরকে নিয়ে যাবে একসাথে। এদিকে শুধু আমরা গেলে আমায় শাশুড়ী বাড়িতে একা। তাই আমার শাশুড়িকেও নিয়ে গিয়েছিল। কারণ উনি অনেকদিন কোথাও বের হননি। বাইরে বের হলে মনটা ভালো থাকে।
গত কয়েকদিন ধরে বাসার সবাই অনেক বেশি অসুস্থ। আর এজন্যই মূলত বাইরে কোথাও বের হওয়া হয়নি। এজন্য আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম মনপুরাতে। সন্ধ্যার একটু আগ মুহূর্তেই আমরা বের হয়েছিলাম। নিভৃত তো অনেক বেশি খুশি বাইরে বের হতে পারলে। কারণ সে প্রতিদিনই একবার দুবার করে চলে যায় কোথাও। প্রতিমুহূর্তে বাইরে থেকে এসে বলবে তাকে রেডি করিয়ে দিতে সে বাজারে যাবে বা তার নানার বাড়িতে যাবে। সেদিন তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বেশ জোর করে রেডি করেছি। কারণ তার ঘুম তখনো চোখ থেকে যায়নি।
বাড়ি থেকেই সোজা মনপুরার একটি রিক্সা নিয়ে নিলাম। সেখানে গিয়েই আমরা নামলাম। আমাদের আগেই আমার হাজব্যান্ড এবং আমার ভাই চলে গিয়েছিল। তারা অফিস থেকে গিয়েছিল আর আমরা বাড়ি থেকে গিয়েছি। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরও নিভৃত রিক্সা থেকে নামতে চাচ্ছিল না। কারণ সে গাড়িতে করে ঘুরতে বেশি পছন্দ করে। যাইহোক পরবর্তীতে ওর আব্বুকে দেখে গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিল।
এরপর ভিতরের দিকে গিয়ে আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। নিভৃত একটা হরিণকে দেখে ধরতে ভয় পাচ্ছিল। ভাবছিল এটা আসল কিনা।পরবর্তীতে তাকে হাত দিয়ে আদর দিচ্ছিলো। তখন একসাথেই কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। সে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছে। তারপর আমরা খাওয়ার জন্য টেবিলে বসে গেলাম। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, তাই আমরা আসার সময় খাবার অর্ডার করেছিলাম। খাবার আসতে আসতে আমরা বসে অপেক্ষা করলাম এদিকে নিভৃত খেলা করছে। তার আনন্দ দেখে বেশি ভালো লাগে।
সে তার আব্বুসহ এদিক সেদিক খেলা করছে। এখানে যেহেতু অনেক রংবেরঙের জিনিসপত্র আঁকা হয়েছে তাই বিভিন্ন কালারের নাম বলছে হেঁটে হেঁটে। আর এদিকে আমি তার কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। পকেটে হাত দিয়ে কি স্টাইলটা করছে ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন। যাইহোক তারপর খাবার চলে এলো এবং সে সালাদ খাবার জন্য লাফালাফি করছিল। মূলত কোন জায়গায় যদি সে সালাদ দেখে তাহলে অন্য কিছু বাদ দিয়ে সে শুধু সালাদই খাবে।
আমরা এদিকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে তারপর বাসায় ফিরে গেলাম। এই ছিল সেই দিনকার একটা মুহূর্ত যেটা হঠাৎ করেই উদযাপিত হয়েছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারের সবাই মিলে মনপুরায় গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো আপু। আসলে কিছুদিন পর পর এভাবে পরিবারের সবাই মিলে কোথাও গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। সবাই মিলে অনেক ভালো একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন, আর খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ব্যস্ততার মাঝে বাইরে বের হওয়া যায় না আপু, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লাগে পরিবারের সবাই মিলে এভাবে বাহিরে গিয়ে সময় কাটাতে আর খাওয়া-দাওয়া করতে। আপনি তো দেখছি ভালোই সময় কাটিয়েছেন। পরিবারের সবাই মিলে গিয়েছেন এটা ভাবতেই তো ভালো লাগছে অনেক বেশি। মুহূর্তটি অনেক ভালো কেটেছিল যা পুরো পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।
সবাই মিলে গেলে আনন্দ অন্যরকম লাগে।
হঠাৎ করে কোথাও ঘুরতে যেতে বেশ ভালো লাগে। আর আপনার ছেলে তো অনেক আনন্দ করছিল মনে হচ্ছে। বাচ্চারা এরকম ভাবে মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে খুবই আনন্দ পাই। তবে ঘুরতে যাওয়ার সময় আপনার শাশুড়ি কেও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। সেখানে গিয়ে আপনারা সন্ধ্যায় নাস্তা ও করেছেন। জায়গাটিও দেখে মনে হলো ভীষণ সুন্দর। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ছেলে ভীষণ খুশি ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাহিরে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ অন্য রকম। আর বাচ্চাদের আনন্দতো সব থেকে বেশি হয় বাহিরে বেড়াতে গেলে। অনেক কিছু দেখে তাই বেশ খুশি হয়। তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য মাঝে বাহিতে বেড়াতে বের হয় প্রয়োজন। মনপুরায় কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো।
বাচ্চারা এমনই আপু বাহিরে ঘোরাঘুরি করতে তারা খুব পছন্দ করে। হুমম ছেলের বেশ স্টাইল দেখছি। ছেলে বাচ্চা তো এরকম একটু হবেই। আমার ছেলেও এরকম খুব ফ্যাশন বোঝে। বেশ ভালো লাগলো আপু পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত দেখে। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তাদের স্টাইল দেখলে নিজেরই হাসি আসে আপু ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।