চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
২৬ অক্টোবর আমরা রওনা দিলাম চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার। সেদিন ভোরবেলা উঠেই আমরা রেডি হয়ে গেলাম কারণ আমাদের ট্রেন ছিল ৭টায়। আর এখান থেকে কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটা করেই রওনা দিলাম। কারণ আমরা সকাল সকাল উঠে কেউ নাস্তা করিনি। নাস্তার জন্যই কিছু কেনাকাটা করে আমরা স্টেশনে চলে গেলাম। স্টেশনে গিয়েই দেখলাম যে আমাদের কক্সবাজারগামী ট্রেন স্টেশনেই আছে। আর এর জন্য আমাদের নির্দিষ্ট বগি খুঁজে নিয়ে আমরা সেখানে বসে গেলাম। আধা ঘন্টা আগে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আর এজন্যই মূলত বেশ অনেকক্ষণ যাবৎ এখানে ছিলাম আর ছবি তুলছিলাম।
রেলওয়ে স্টেশনে গেলে বোঝা যায় কত ধরনের মানুষজন থাকে। ছোট বড় বিভিন্ন বয়সের মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষকে সেখানে দেখা যায়। বসে বসে চোখ দিয়ে এগুলো আয়ত্ব করছিলাম আর মাঝে মাঝে কিছু ছবি তুলছিলাম। আর আমার নিভৃত তো বেশ খুশি।ট্রেনে উঠার জন্য অনেক বেশি উৎসাহী হয়ে থাকে। তার ইচ্ছে যেন সে সবসময় রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠতে পারে।নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের ট্রেন ছেড়ে দিল।
যেতে যেতে অনেকটা পথ সময় লেগে গিয়েছিল। ট্রেনের মাঝে আমরা আমাদের নাস্তার পর্বটা সেরে নিলাম।সকাল সন্ধ্যা আমার চা ছাড়া তো চলেই না। খুব বেশি ঘুম পাচ্ছিল এদিকে ট্রেনের মধ্যে যে চা পাওয়া যায় এটা কিন্তু তেমন একটা ভালো না। আমার কাছে ইন্সট্যান্ট ছিল সেটা দিয়েই আমি ট্রেনের চা দিয়ে কাজ চালিয়ে দিলাম। খুব বেশি ভালো না হলেও ট্রেনের চা থেকে বেশ ভালোই ছিল আমার চা টা।
যাই হোক বারোটার পরপরই আমরা সেখানে পৌছাই। কারণ মাঝ রাস্তায় ট্রেনটা থামিয়ে দিয়েছিল কোন একটা কারণে। সেখানে প্রায় এক ঘন্টা যাবত ট্রেন আটকে ছিল। এজন্যই মূলত অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কক্সবাজার যেতে এর আগের বার আমাদের কোনো অসুবিধাই হয়নি। কিন্তু এইবার ৫ ঘন্টা সময় লাগিয়ে দিয়েছে এই ট্রেন যাওয়ার সময়। সর্বোচ্চ ৩ঘন্টা লাগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে।
ট্রেনে যাওয়ার সময় আশেপাশের প্রকৃতি আমায় খুব বেশিই টানে। এজন্য আমি অনেকগুলো ভিডিও ধারণ করেছি। তার পাশাপাশি ছবি তো তুলেছি।এই কারণে প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আমার মন কেড়ে নেয়। অনেকগুলো ছবি তুলেছি আর আজকে এই ফটোগ্রাফি গুলো দিয়েই আজকের পোস্ট এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে সেদিন কিভাবে বিচে গেলাম, কেমন সময় কাটালাম সেটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনারা সকাল সকাল বের হয়ে অনেক ভালো করেছেন।আসলে আপু প্রকৃতি আমাদের সব সময় ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর জার্নিতে বাচ্চারা একটু বেশি আনন্দ পায়।ভালো ভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই স্টেশনগুলোতে গেলে ভিন্ন পেশার মানুষকে দেখতে পাওয়া যায়। যেখান থেকে নতুন অভিজ্ঞতা হয়। ছোট বাচ্চারা বরাবরই ট্রেন দেখলে একটু উৎসুক হয়। যেমন আপনার ছেলে নিভৃত হয়েছিল। তবে খারাপ লাগলো তিন ঘন্টার যাত্রাপথ পাঁচ ঘন্টা লেগে গিয়েছিল এটা আসলেই এক ঘেয়েমি। যাইহোক চট্টগ্রাম টু কক্সবাজারের ট্যুরের সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ।
ট্রেন ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আশেপাশের প্রকৃতি দেখতে ভালো লাগে। আর আপনি ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন বুঝতেই পারছি আপু। ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে এবং মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।