শাশুড়িকে ডাক্তার দেখানো এবং নার্সারিতে গিয়ে ঘুরাঘুরি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
গত কিছুদিন আগের কথা,সেদিন ছিল শুক্রবার। শুক্রবারে আমার শাশুড়ীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য হসপিটালে গিয়েছিলাম। যেহেতু তিনি ডায়াবেটিস এবং হাই প্রেসারের রোগী সেজন্য মূলত তার এই সমস্যাগুলো বেড়ে গিয়েছিল। এজন্যই ডাক্তার দেখানোর চিন্তাভাবনা করেছিলাম। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে ডাক্তার দেখাতে হয় না হলে ৪টার পরে আর ডাক্তার পাওয়া যায় না। আর এজন্য মূলত আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে রেডি হয়ে চলে গেলাম হসপিটাল এর উদ্দেশ্যে।
প্রথমে হসপিটালে চলে গেলাম। সেখানে একজন রোগী ছিল। তারপরে আমাদের সিরিয়াল ছিল। আমাদের সিরিয়াল আসার পর ডাক্তার দেখানো হলো এবং টেস্ট দেওয়া হয়েছিল কিছু। ব্লাড নেয়ার পর আবার ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ পত্র দিয়ে দিয়েছিল। এরপর আমার শাশুড়ীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে আমরা চলে গেলাম নার্সারিতে। মূলত সেদিন নার্সারিতে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল কিছু চারা কেনার জন্য।
আসলে আমাদের ঘরের পাশেই ছোট্ট একটা জায়গা আছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রোপন করা যায়। আর ছাদের টবেও বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রোপন করার মত জায়গা রয়েছে। এজন্যই আমরা নার্সারিতে চলে গেলাম। নার্সারিতে গিয়ে প্রথমে আমরা পেঁপের চারার কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম। সাথে আমেরিকান বেগুনের কথাও জিজ্ঞেস করেছিলাম। গতবার আমেরিকান বেগুন আর বিজলী প্লাস মরিচ গাছের চারা লাগিয়েছিল।তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম এগুলো আছে কিনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোন চারা সেখানে পাইনি।
এর কারণ হলো বন্যার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। নার্সারি একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছিল। আর এখন গাছপালা উঠাতে অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এরপর আমরা ভাবলাম কিছু ফটোগ্রাফি করে নেয়া যাক। যদিও খুব বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। এর কারণ হলো সেখানে বেশি কিছুই ছিল না। শুধুমাত্র কিছু ফুল গাছ এবং ফল গাছ ছিল। পাশাপাশি মরিচ গাছও ছিল যেগুলো আমাদের লাগবে না। তাই নেয়া হয় নি।
এখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর চলে গেলাম আমাদের বাড়িতে। যেহেতু আমাদের স্থানীয় বাজারের নার্সারি। সেখান থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ বাইকে করে যেতে।নিভৃত তার নানুর সাথে দেখা করার জন্য প্রতিদিনই কান্নাকাটি করে।তাই নিয়ে গেলাম তার নানুর সাথে দেখা করানোর জন্য। তাড়াতাড়ি গিয়ে সেখানে নাস্তা করে আবার সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে একদম সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আর সেদিন মুহুর্তটা বেশ ভালোই কেটেছিল। একসাথে তিনটা কাজ করা গিয়েছে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে নার্সারিতে ঘুরাঘুরি এবং আমাদের বাড়িতে যাওয়া।
ঘুরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। আর নিভৃতও ঘুরাঘুরি করতে খুব বেশি পছন্দ করে। তাই মাঝে মাঝেই তাকে এদিক সেদিক নিয়ে যাওয়া হয় ঘোরাঘুরি করার জন্য। সেদিনকার মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদিনে বেশ কিছু কাজ করেছেন আপনারা। ডায়াবেটিস এবং প্রেসারের রুগীকে নিয়মিত ভাবে ফলোআপ করাটা জরুরি। আশা করি আপনার শাশুড়ির এই রোগ দুই টা কন্ট্রোল এ আছে।
ভাল থাকুন।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত একজন রুগীর বিভিন্ন রকম জটিলতা হওয়ার ঝুকি ডায়াবেটিস নাই এরকম এক ব্যক্তির তুলনায় অনেকগুন বেশী। কি রকমের ঝুকির মধ্যে আছেন একজন ডায়াবেটিস রুগী? আসুন জেনে নেইঃ
স্বাভাবিক একজন মানুষের তুলনায় একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রুগীর-
⚠️অন্ধ হওয়ার ঝুকি ২৫ গুন বেশী
⚠️পা কেটে ফেলার ঝুকি ২০ গুন বেশী
⚠️ব্রেন স্ট্রোকের ঝুকি ৬ গুন বেশী
⚠️কিডনি বিকল হওয়ার ঝুকি ৫ গুন বেশী
⚠️হার্ট এটাকের ঝুকি ২-৩ গুন বেশী
✔️এই সব মারাত্মক ঝুকি থেকে বাঁচতে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়া কোন উপায় নাই!!
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।খুব উপকারী কিছু কথা বলেছেন।
আপু বাড়ির ছাদের বাগান তৈরি করার থেকে নিচে যদি জায়গা থাকে সেখানে বাগান তৈরি করলে বেশি ভালো হয়। আপনার শাশুড়িকে ডাক্তার দেখিয়ে ওনাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে আপনারা কিছু চারা কেনার জন্য নার্সারিতে চলে গিয়েছিলেন। তবে নার্সারি থেকে আবার আপনার মায়ের বাসায় গিয়েছিলেন একটু দেখা করার জন্য। সব মিটিয়ে বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দুই জায়গাতেই গাছ আছে আপু।মাঝে মাঝে আপনার ভাই এগুলো করে থাকে।
আপনার একসঙ্গে দুটি কাজ হয়ে গেছে। শাশুড়ি মাকে ডাক্তার দেখানো এবং নার্সারি থেকে গাছ কেনা এই দুটি কাজ একসঙ্গে হয়ে গেল বলে নিশ্চয়ই আপনার খুব সুবিধা হয়েছে। আপনার শাশুড়ি মা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনাই করি। আর নার্সারিটি তো দারুণ সুন্দর ছিল। সেখান থেকে গাছ কিনেছেন দেখে ভালো লাগছে।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।আসলে সবার সুস্থতা কামনা করি।
যতদূর জানি পেশার এবং ডায়াবেটিস রোগীকে অনেক সাবধানে থাকতে হয় এমনকি মাঝে মাঝেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয় রোগের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকার জন্য। নার্ছারিতে গিয়েছিলেন চারা কেনার জন্য কিন্তু সেখানে কোন চারা গাছ পাননি তাই নিতে পারেননি। সব কিছু বেশ ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া,মাঝে মাঝেই চেক আপ করাতে হয়। না হলে সমস্যা হয়ে যায়।
মাঝেমধ্যে নার্সারিতে গেলে অনেক ভালো লাগে। সেখানে সবুজের সমারহ, ফুল ফল অনেক ধরনের গাছ থাকে। মোটামুটি খুব সুন্দর একটি সময় কাটে। যাই হোক আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
বন্যার পর থেকে ভালোভাবে গাছ উঠানো হয়নি,তাই তেমন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি
সত্যি বলতে বন্যার কারণেই তার গাছগুলো মারা গিয়েছে। তাই সে এই সিজনে তেমন একটা গাছ উঠাতে পারেনি। তবে সব সময় সে ভালো চারা উঠায়। আমেরিকান বেগুনের ও বিজলি + মরিচ যেগুলো ছিল সেগুলো অনেক ভালো মানের চারা ছিল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হুম ঠিক বলেছ।তার কাছে চারাগুলো ভালো মানের পাওয়া যায়।