টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদে রসুনের আচারের রেসিপি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,তবে মনটা ভালো নেই।প্রিয় মানুষ যদি অসুস্থ থাকে তখন কিভাবে মন ভালো থাকবে বলেন তো।তবে সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজকে আমি আপনাদের সাথে রসুনের আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য এসেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে৷
রসুনের আচারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রসুন | আধা কেজি |
তেতুল | ১ কাপ |
চিনি | আধা কাপ |
শুকনো মরিচ | ৭/৮টি |
লবণ | ২চা চামচ |
সাদা সরিষা বাটা | ১টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১চা চামচ |
হলুদ গুড়ো | ১চা চামচ |
মরিচ গুড়ো | ২চা চামচ |
গোটা সরিষা | ২ চা চামচ |
গোটা ধনে | ১ চা চামচ |
কালোজিরা | ১ চা চামচ |
মেথি | আধা চা চামচ |
মৌরি | ২ চা চামচ |
গোটা জিরে | ২ চা চামচ |
দারচিনি | ছোট এক টুকরো |
তেজপাতা | ১ টি |
সরিষার তেল | দেড় কাপ |
প্রথম ধাপ |
---|
আমি রসুনের কোয়াগুলো একটি ট্রে তে নিলাম। এরপরে এগুলোর খোসা ছাড়িয়ে রাখলাম। এগুলোকে পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিলাম।
গোটা মসলাগুলো টেলে নিয়ে শুকনোভাবে গুড়ো করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
পরিমাণ অনুযায়ী তেতুল নেয়ার পর ১ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রেখে দিলাম। তারপরে হাত দিয়ে কচলে তেতুলের কাথ বের করে অবশিষ্ট বিচি ফেলে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
একটি কড়াই নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপরে আমি কড়াইতে দেড় কাপ পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম। তেল হালকা গরম হয়ে এলে এরমধ্যে পাঁচপোড়ন দিয়ে দিলাম। দিয়ে সাথে সাথে নাড়তে থাকলাম।
এরপরে তেজপাতা আর দারচিনি দিয়ে দিলাম। এগুলো ভাজতে ভাজতেই শুকনো মরিচগুলো দিয়ে নাড়তে থাকলাম।
চতুর্থ ধাপ |
---|
কিছুক্ষণ পর রসুনগুলো দিয়ে দিলাম। রসুনগুলো দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিলাম, এভাবে রসুনগুলো ভাজতে থাকলাম।
পঞ্চম ধাপ |
---|
কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে এরমধ্যে আদা বাটা,রসুন বাটা আর লবণ দিয়ে দিলাম। সবগুলোকে একসাথে রসুনের সাথে নেড়ে মিক্স করে দিলাম। এগুলো একসাথে ভাজতে থাকলাম।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো দিয়ে দিলাম। সম্পূর্ণ আচার তৈরি করতে বারবার নাড়তে হবে, না হলে আচার কড়াইতে লেগে যাবে, যেটা খেতে একদমই ভালো লাগবে না।
সপ্তম ধাপ |
---|
তেতুলের কাথ দিয়ে নেড়ে নেয়ার কিছুক্ষণ পর দিয়ে দিলাম সরিষা বাটা। এরপরে আরও ২-৩ মিনিট নেড়ে রান্না করার পর দিয়ে দিলাম চিনি। চিনি দেয়ার পর আবার নাড়তে থাকলাম।সবগুলো উপকরণ একসাথে নাড়তে থাকলাম।
অষ্টম ধাপ |
---|
এইভাবে আচার তৈরি করতে করতে যখন রসুন কিছুটা নরম হয়ে আসে তখন গুড়ো করে রাখা পাঁচপোড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চুলা বন্ধ করে দিলাম।
আচার করার সময় যদি তেল বেশি করে দেয়া হয় তবে পরবর্তীতে আর আলাদাভাবে তেল দেয়া লাগে না। তাই আমি সেই অনুযায়ী তেল দিয়েই আচার তৈরি করে নিলাম
এইভাবে খুব সহজে তৈরি করে নিলাম রসুনের আচার। খুব বেশি সময় লাগে নি এই আচার তৈরি করতে৷
আচার তৈরি করার পর আমি এগুলো চুলা থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম। ঠান্ডা হয়ে এলে একটি কাচের বয়ামে রেখে দিলাম।
এটি ভাত, খিচুড়ি, বিরিয়ানির সাথে খেতে খুবই মজার৷ এই আচার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
রসুনের আচার নিয়ে কিছু টিপস
- এই আচার সংরক্ষণের জন্য সবসময় কাচের বয়াম ব্যবহার করা উচিত। তাহলে আচার নষ্ট হবে না।
- মাঝে মধ্যে আচার রোদে দেয়া হলে আচার অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
- আচার নেয়ার ক্ষেত্রে সবসময় চামচ ব্যবহার করা উচিত, হাত দিয়ে ধরলে এই আচারে ফাংগাস পড়ে যাবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রসুনের আচারের রেসিপি |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
বাণিজ্য মেলায় আচারের দোকানে অনেক দেখেছি।যদিও খাইনি কখনো কিংবা বাড়িতেও বানানো হয়নি।
ছবি দেখে মনে হচ্ছে,বেশ লোভনীয়।রঙ দেখেই একটা লোভ কাজ করছে😁।এবার কোথাও দেখলে ট্রাই করবো।
চিন্তা করবেন না,প্রিয় মানুষটা ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া,এটা একবার খেয়ে দেখলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।আমাদের তো প্রতিবেলা ভাত খাওয়ার সময় রসুনের আচার খাওয়া হয়েছে।
https://twitter.com/bristy110/status/1593231678365106178?s=20&t=w7FWkBAJ0ghU2ZyEeSKQOw
রসুনের আচার খেতে খুবই ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমিও তৈরি করেছিলাম। আপনার তৈরি করা রসুনের আচার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছে। আর এই রসুনের আচার গুলো শীতের দিনে গরম ভাতের সাথে কিংবা খিচুড়ির সাথে খেতে দারুন লাগে। এছাড়া রসুন খাওয়া খুবই উপকারী।
একদম ঠিক বলেছেন আপু,গরম ভাত,খিচুড়ির সাথে খেতে খুবই মজা লাগে।খুব তাড়াতাড়ি রসুনের আচার শেষ হয়ে গিয়েছিল।
রসুনে রোজা আচার হয় আজকের প্রথম জানলাম। এর মধ্যে আবার তেতুলও দিয়েছেন দেখি। যা হোক কোন একদিন সুযোগ পেলে ট্রাই করবো নি রসুনের আচার। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই সুন্দর রসুনের আচার রেসিপি প্রক্রিয়াটা শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া, একবার শুধু বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। তখন বারবারই খেতে ইচ্ছে করবে। তবে এই আচার সব সময় ভাত, খিচুড়ি, পোলাও এগুলোর সাথে খেতে ভালো লাগবে। এমনিতে খেতে কিন্তু তেমন একটা ভালো লাগবে না।
আমার কাছে রসুনের আচার খেতে ভালোই লাগে।বিশেষ করে ভুনা খিচুড়ি এর সাথে।আমি ও এভাবে আচার বানিয়ে বৈয়ামে রেখে দেই।আমি একটা তেলের আচার আর আরেটা মিষ্টি আচার বানিয়ে থাকি রসুন দিয়ে।আপু আপনার আচারের কালার টা বেশ সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকবেন আপু।
আমি সব ধরনের আচার খেতে পছন্দ করি।রসুনের এই আচার গরম ভাত কিংবা খিচুড়ির সাথে বেশ জমে যাবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সর্বদাই
রসুনের আচার আমি আগে দোকানে দেখেছি, তবে পরিচিত কাউকে কখনো করতে দেখিনি। এই প্রথম রসুনের আচারের রেসিপিটা জানলাম। রসুনের আচার আমি কখনো খাইনি। এভাবে করে তবে খেয়ে দেখতে হবে কেমন লাগে। ধন্যবাদ আপু।
একদিন বানিয়ে খেয়ে নিবেন দেখবেন অনেক সুস্বাদ এবং পুষ্টিকর।
টক-ঝাল-মিষ্টি সাথে রসুনের আচার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন।রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সবসময় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গতবারের তুলনায় এই বারের আচার বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। মনে হয় টক ঝাল মিষ্টি যথাযথ ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ সবার মাঝে রসুনের আচার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
গতবারের চাইতে এবারে উপাদান বেশি ছিল তাই মনে হয়।
হতে পারে তবে সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ।