শৈশবে নানার বাড়িতে পিকনিক করার স্মৃতি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
শীতকালের সাথে আমাদের শৈশবের সময়টা অনেক বেশি আনন্দঘন ছিল। কারণ এই মুহূর্তটা আমাদের সবার জীবনেই আনন্দময়। বিশেষত শৈশবের সময়টায় ডিসেম্বর মাস ছিল আমাদের সবচেয়ে বেশি আনন্দের মাস। এই সময়টা আমাদের সবার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। আমরা সবাই মিলে চলে যেতাম বেড়ানোর জন্য। আমার শৈশবকালটা কেটেছে আমার নানুর বাড়িতে। যখনই আমার ছুটি পেতাম তখনই আমি সাথে সাথে বিকেল বেলায় নানুর বাড়িতে চলে যেতাম আমার মামার সাথে। কারণ সেখানে সবাই অপেক্ষা করত শুধু আমি যাওয়ার জন্য।
আমার নানুর বাড়িতে বেশি মজা হত কারণ আমার খালা মনিরা সবাই আমার বয়সেরই ছিল। তাদের সাথে খেলাধুলা করতে আমার বেশি ভালো লাগতো। প্রতি বার ডিসেম্বর মাসে যখন ছুটি হতো তখন আমরা সবাই চলে যেতাম নানুর বাড়িতে। আর সেখানে আমাদের মনের খুশিমতো চলতাম খেলাধুলা করতাম। সেখানে বাধা দেওয়ার কেউই ছিল না। আমার যখন ক্লাস ফাইভ এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়, তখন আমরা সবাই নানুর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং সেখানে একটা পিকনিক করেছিলাম সবাই মিলে।
ছোটরা মিলে পিকনিক করার মজাই আলাদা। তবে আমার মামারাসহ বড় খালা মনিরাও সবাই সেদিন যোগ দিয়েছিল পিকনিক করার জন্য। আমরা সবাই মিলে যেভাবে চড়ুইভাতি করতাম সেটা সেদিন হয়নি। সেদিন বড় ছোট সবাই মিলে পিকনিকের আয়োজন করেছিল। আমরা প্রথমেই সকালবেলা সবাই মিলে ভাবছিলাম যে কি করা যায়। তখন মেজ মামা বলল যে আজকে সবাই মিলে চিকেন বিরিয়ানি করবে।বড় মামা আর ছোট মামা ছিল না। শুধুমাত্র মেঝ মামাই বাড়িতে ছিল।আর আমাদের সব কাজে মামা ই হেল্প করেছিল।
এজন্য প্রথমতই সবাই চাঁদা দিয়ে দিল। মানে সবার কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছিল। সেদিন ১৫০০ টাকা উঠেছিল। আর তখন ১৫০০ টাকা দিয়ে তো অনেক কিছুই পাওয়া যেত। এ টু জেড সবকিছুই আমরা সেদিন বাজার করে নিয়ে এসেছিলাম। মূলত বাজারের দায়িত্ব নিয়েছিল আমার মেঝো মামা।তার সাথে আমিও গিয়েছিলাম। কারণ বাজারটা কাছেই ছিল। আর সেখান থেকে সবকিছু নিয়ে মামা আমাকে বাড়িতে এনে দিল। আমরা সবাই মিলে বসে এগুলো রেডি করেছিলাম। সেদিন বিকেল বেলায় এই আয়োজনটা করার জন্য সব কিছু সকাল থেকে প্রস্তুত করছিল।
আসলে যে কোন মুহূর্তে সবাই মিলে যদি একসাথে কাজ কর্ম করে সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যায় এবং এদিকে আনন্দ অনেক বেশি হয়। বাচ্চারা খেলাধুলা করছিল আর বড়রা সবাই সবকিছুর আয়োজন করছিল। যদিও আমরা টুকটাক হেল্প করেছিলাম তবে রান্নাবান্না বড়রাই করেছিল। আর সেদিনকার মুহূর্তটা মনে করে এখন আমার খুব ভালো লাগছে। তবে এই দিনগুলো অনেক মনে পড়ে কারণ এখন আর সেই সুযোগ হয় না। সবাই মিলে একসাথে হবার জন্য আর তেমন সুযোগ নেই। সবার বিয়ে হয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছে। নিজ নিজ বাড়িতে আছে,আর এখন সেই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো তৈরি হয় না।
যাইহোক আজ হঠাৎ মনে পড়ে গেল সেদিনের পিকনিকের কথা। কারণ গতকাল আমার এক ননদের বাসায় আমরা পিকনিকের মত করে হাঁস রান্না করেছিলাম।তাই আজকে একটা শৈশব স্মৃতি শেয়ার করলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ছোটবেলার স্মৃতিগুলো বেশ মধুর আপু। আসলেই এই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। সেই শৈশবে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। আপনি খুব সুন্দর একটি স্মৃতি শেয়ার করলেন নানুর বাসায় পিকনিক খাওয়ার। আপনার গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে।
শৈশবে ফিরে যেতে পারলে হয়তো অনেক ভালো হতো আপু। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলা সবাই মিলে পিকনিক করতে আসলেই খুব ভালো লাগতো। বার্ষিক পরীক্ষার পর নিজেকে একেবারে স্বাধীন মনে হতো। সেই দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি। আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বার্ষিক পরীক্ষার পর সবার বেশিরভাগ সময় একটাই গন্তব্য সেটা ছিল নানার বাড়ি।সেখানে অনেক বেশি আনন্দ হতো।