জেনারেল রাইটিং||কখনও কখনও বিশ্বস্ত বন্ধুও শত্রুর চেয়ে দশগুণ বেশি ক্ষতি করতে পারে।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আমাদের সবার জীবনে বন্ধু, শত্রু বিদ্যমান।কথা হলো বন্ধুত্ব সবাই সরাসরি দেখাতে চায়, দেখায়।কিন্তু শত্রুতা সরাসরি কেউই দেখায় না।এর কারণ হলো শত্রুতা সবসময় উহ্য থাকে। যা থেকেও নেই। কিন্তু বন্ধুত্বের খাতির সবাই চোখে দেখে।বন্ধু হলো প্রিয়জন।সুখে দুঃখে পাশে থাকে। জীবনের বিপদের সময়গুলোতে সাহস জোগাবে।আর এমন বন্ধু গুলোই সবাই জীবনে কামনা করে যাতে করে তাদের সব ক্ষেত্রে এই বন্ধুগুলো পাশে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবার পাশে না থাকলেও বন্ধু-বান্ধবরা সব সময় পাশে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু কথা থেকে যায়, কারণ সবাই তো আর আপন নয়।
জীবন চলার পরিপ্রেক্ষিতে সব সময় ভালো বন্ধু আপনার জীবনে পাবেন এমনও কিন্তু নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাবে যে বন্ধুরূপে শত্রুই আপনি বেছে নিয়েছেন। কারণ আপনি যদি কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করেন নয়তো বা আপনার সফলতা হয় তখন দেখা যাবে যে আপনার বন্ধু খুশি হওয়ার বদলে বরং দুঃখ পাবে। কারণ সে কিছু করতে পারছে না আপনি অনেক বড় কিছু হয়ে যাচ্ছেন, সফলতা অর্জন করছেন। তাকে যদি পরবর্তীতে না চেনেন এই ভাবভঙ্গি থেকেই তারা অনেক সময় বন্ধুরূপে শত্রুতে পরিণত হয়ে যায়।আবার অনেক সময় দেখা যায় আপনি যাকে সফল হতে সাহায্য করছেন সেই সফলতা অর্জন করে একটা সময় নিশ্চিত আপনাকে ভুলে যাবে এবং আপনার করা সাহায্যকেও সে পিছনে ফেলে চলে যাবে।
আসলে জীবনে কাকে বিশ্বাস করা উচিত বা কাকে অবিশ্বাস করা উচিত এই বিষয়গুলো কখনোই মাথায় থাকে না। কারণ আমরা চাই সবার সাথে ভালোভাবেই চলতে। কিন্তু কার মনে কখন কুবুদ্ধির উদয় হয় এবং কে নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করে ফেলে নিজেই শত্রুতা তৈরি করে ফেলে সেটা তো আর জানা থাকে না। বর্তমান সময়ে বন্ধু ভেবে যার উপকার করতে যাবেন একটা সময় সে উপকৃত হয়ে আপনাকেই ভুলে যাবে। এটাই বাস্তব এটাই নিয়ম এটাই হয়ে যাচ্ছে। তখন তার কাছে আপনার কোন মূল্যই থাকবে না, তখন সে নিজেকে বড় কিছু মনে করবে।
কারণ সে আপনার সম্পর্কে জানে। আপনি কি করতে পারেন, কোথায় যেতে পারেন, কিভাবে চলতে পারেন, সবকিছুই সে জানে। আর বন্ধু রূপেই তো সে সবকিছুই জেনেছে এবং পরবর্তীতে সে আপনার পেছনে যে ছুরি মারবে না তার বিশ্বাস কোথায়?বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই বলা বাহুল্য যে বন্ধুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে যারা নামমাত্র বন্ধু তারা নিজের স্বার্থ উদ্ধার হওয়ার পর নিজেকে আপনার থেকে দূরে সরিয়ে নিবে কিন্তু দেখাবে আপনার অনেক কাছের বন্ধু সে। কিন্তু আপনি কোন কাজ যদি ভালোভাবে করতে চান তখন সে ক্ষেত্রে উহ্যভাবে সে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এমনকি নিজে হিংসার ফলে অনেক কিছুই করতে চাইবে। যেটা আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে। হয়তো সেটা আপনি জানেনও না।
তাই বলা বাহুল্য জীবনে শত্রুর চেয়েও সবচেয়ে ক্ষতিকর হয় একজন বিশ্বস্ত বন্ধু। কারণ সে বিশ্বস্ততার জায়গা থেকে আপনার বিশ্বাস এমনভাবে ভেঙে চলে যাবে তখন আপনি দ্বিতীয়বার কাউকে বিশ্বাস করতেও ভয় পাবেন। আর আমাদের জীবনে কমবেশি এমন কিছু মানুষ থাকে যারা আমাদের কাছে আসে স্বার্থের জন্য। যখন স্বার্থ ফুরিয়ে যায় এবং যখন তারা স্বাবলম্বী হয়, তখন তারা অন্যদের ভুলে যায়। এমনকি নিজেকে তখন অনেক বড় কিছুই মনে করে। আসলে এরকম মানুষগুলো স্বার্থবাদী চিন্তা ছাড়া আর কোন কিছুতেই করতে পারে না। আর এই রকম বন্ধু শত্রুর চেয়েও দশ গুণ বেশি ক্ষতি করতে পারে, এটাই বাস্তব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
এটি একটি খুব বাস্তব ও গভীর চিন্তা। জীবনে সত্যিকার বন্ধুদের খোঁজ পাওয়া অনেক সময় কঠিন, কারণ অনেকেই শুধুমাত্র স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমাদের পাশে থাকে। যারা আমাদের সাথে বন্ধুত্বের আড়ালে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারা কখনও কখনও আমাদের পেছনে ছুরি মারতে দ্বিধা করে না। সত্যিকার বন্ধু জীবনের কঠিন সময়েও আমাদের পাশে থাকে, কিন্তু স্বার্থপর এবং মিথ্যা বন্ধুদের প্রতি বিশ্বাস ভেঙে গেলে তা খুবই কষ্টকর। শত্রুর চেয়ে একজন বিশ্বাসঘাতক বন্ধু অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে, আর সেই বিশ্বাস ভেঙে যাওয়ার পর মানুষ আর কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে ভয় পায়। এতো সুন্দর ভাবে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিশ্বাস যদি একবার ভেঙ্গে যায় তখন দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করতেও ভয় লাগে। যাইহোক আপু খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
,,
https://x.com/bristy110/status/1888449446746399194
একদম সত্যি।কারন যে বন্ধুরা আমাদের খুব বেশী কাছাকাছি থাকে তারা যতই বিশ্বস্ত হোক না কেন তারা যখন শত্রুতা করে তার পরিমান বহুগুন বেশী হয়।বিশ্বাসের ঘরে চুরি বলে একটা কথা আছে।ঠিক তেমন কিছুই ঘটে।
জি আপু একদমই ঠিক বলেছেন। বিশ্বাসের ঘরেই চুরি করে আর এটার কারণে অনেক বিশ্বাসী মানুষও আর বিশ্বাসের জায়গায় থাকে না।
এ বিষয়টা নিয়ে আমিও বর্তমানে খুব বিচারক আপু। এখন যে কাকে বিশ্বাস করবো আর কাকে বিশ্বাস করবো না সেটা বুঝতে পারিনা। সবাই শুধু বন্ধু হয়ে আসে। আর যাওয়ার সময় সবকিছু তছনছ করেই দিয়ে যায়। তাই এখন আর কাউকে বন্ধু ভাবতে পারি না।
বিশ্বাস ভাঙলে সেখানে আজ জোড়া লাগানো যায় না অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় সবাই।
আপু আপনার পোষ্টের সাথে আমি একমত। কারণ কিছু কিছু বন্ধু আছে তারা শত্রু চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়। এ কারণে শত্রু চেয়ে সবচেয়ে ক্ষতিকর হয় একজন বিশ্বস্ত বন্ধু। আসলে আমরা চলার পথে কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করি এবং বন্ধু বানায়। আর বন্ধুগুলো যখন নিজের স্বার্থ চিনি তখন অনেক বিপদ হয়ে যায়। খুব সুন্দর এবং মূল্যবান একটি পোস্ট করেছেন আপু।
খুব ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে কারণ একদম মনের কথা বলেছেন।
বর্তমান সময়টা এমনই কাউকে আসলে মন থেকে বিশ্বাস করা ভালো নয়। কারণ আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যাদেরকে আমরা খুবই বিশ্বাস করি। কিন্তু গোপনে তারা আমাদের ক্ষতি করে যাই। তাই কাউকে অন্ধ বিশ্বাসে বিশ্বাস করে একদম উচিত নয়।
কাছের মানুষগুলো গোপনে ক্ষতি করার সাহস পায় এবং সুবিধা পায়। ধন্যবাদ আপু ভালো লাগলো মন্তব্য দেখে।