কক্সবাজারে দুপুরের খাওয়াদাওয়া এবং বিকেলে সি-ফুড খাওয়া।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
কক্সবাজারে থাকার দ্বিতীয় দিন সকালবেলা তো আমরা গোসল করে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। তারপর দুপুরের দিকে ফ্রেশ হয়ে সবাই খাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম নিচের রেস্টুরেন্ট গুলোতে। যেহেতু অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে সেই হিসেবে কোন মতে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম। সেটা ছিল পউষী বাংলা রেস্তোরা। পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে মেনু সেট করে আমরা খাবার অর্ডার দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ বসে অপেক্ষা করলাম। নিভৃত এদিকে খুব আনন্দ করছে খেতে বসে।
এখানে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। সেখানে শুটকি ভর্তা দিয়ে আমার কাছে বেশি মজা লেগেছিল। খাওয়া দাওয়া করার পর আমরা আবার বাসায় চলে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়ার পর বিকেল বেলা বাইরে চলে গেলাম। সুগন্ধা পয়েন্টেই মূলত গেলাম সেদিন। আমাদের বাসা থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট কাছে ছিল বিধায় আমরা হেঁটে হেঁটেই সেখানে চলে গেলাম। আর চারপাশের সব কিছুই দেখছিলাম।
এরপর চলে গেলাম সি ফুড আইটেম খাওয়ার জন্য। আমরা একদম বীচের পাড়ে যেখানে সি ফুড গুলো সেল করা হয় সেখানে চলে গিয়েছিলাম। যেখানে বিভিন্ন ধরনের সি ফুড আইটেম সেল করা হয়েছিল। আমরা যেহেতু আগে একবার এসেছিলাম কিন্তু তখন খাওয়া হয়নি। ভাবলাম এবার কিছু একটা ট্রাই করা যাক। যেহেতু ভাবীরও ইচ্ছে ছিল সি ফুড আইটেম ট্রাই করবে।প্রথমেই এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করছিলাম। কারণ সেখানে অনেক ধরনের সি-ফুড ছিল।
লবস্টার গুলো একটা থেকে একটা যত বড় দেখা যাচ্ছে এগুলো দেখেই তো লোভ লেগে যায়। আসলে এগুলো এত লোভনীয় দেখতে ছিল যে ইচ্ছে করছে এটা নিয়ে ফ্রাই করে খেয়ে ফেলি।যাই হোক সেটা অবশ্য খাওয়া হয়নি। ভাবলাম সবাই মিলে বড় কাঁকড়া গুলো খাব। তাই ভিতর দিকে একটা দোকানে গেলাম সেখানে গিয়ে বড় সাইজের একটা কাঁকড়া নিলাম। আর সেটাই ঝাল ফ্রাই করার জন্য দিলাম।
তবে আমরা ঝাল ফ্রাই করার সময় ভিডিও করেছিলাম।সেই সুবাদে দেখার সুযোগ হয়েছিল কিভাবে ঝাল ফ্রাই করে।কিন্তু পরে দেখলাম আহামরি কিছুই না।ভালোভাবে কাটিং করে কিছু মসলায় কোট করে ভেজে নিয়েছে।ব্যাস ঝাল ফ্রাই হয়ে গেল। পরে তো আমরা ভাবছিলাম এত শর্টকাট করে এত দাম নিচ্ছে কি একটা অবস্থা। যাইহোক বীচের পাড়ে দোকানগুলো এমনই।
এখান থেকে এসে চলে গেলাম চা খাওয়ার জন্য। অবশ্য তার আগে একটা আইসক্রিম খেয়েছিলাম রাস্তার ধারে। অনেক ফল দিয়ে ইনস্ট্যান্ট আইসক্রিম করে দিচ্ছিল। যদিও এগুলো স্বাস্থ্যকর নয় কিন্তু দেখেই অনেক লোভ লাগছিল। তাই প্রথমে এক কাপ নিয়েছিলাম। দেখলাম মজাই লাগছে তাই সবার জন্য একটি করে নিয়ে নিয়েছিলাম। সেখানে দাঁড়িয়ে এগুলো খাওয়া হয়ে গেল। তারপর আমরা চা খেয়ে চলে গেলাম।এরপর গেলাম কেনাকাটা করার জন্য। সেটা না হয় আরেকদিন আরেকটা পোস্টে শেয়ার করব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🌈🔥
Congratulations, your post was upvoted by @supportive.
🙏🙏💫🙏🙏
কক্সবাজার গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন আপু। আসলে এরকম জায়গা গুলোতে গেলে খাওয়া-দাওয়া ঘোরাঘুরি বেশ ভালোভাবেই হয়। অনেক সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
জি আপু জায়গাটা এত বেশি ভালো লাগে যে প্রতিবছর যেতে ইচ্ছে করে।
কক্সবাজার ঘোরাঘুরির ফাকে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা সব সময় দারুন হয়। সেখানকার হোটেলে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপি পাওয়া যায়। যেগুলো আমার খুবই প্রিয়। আপনাদের খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে সেখানকার ভর্তা গুলো। খুব মজা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আমি কক্সবাজার গেলে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সি-ফুড খেয়ে থাকি। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজার গিয়ে টানা ৩/৪ দিন সি-ফুড খেয়েছিলাম। কারণ সি-ফুড আমার বরাবরই ভীষণ পছন্দ। যাইহোক পউষী রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করে,সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সেই সময় গুলো যেন খুব ভালো লাগে মনে পড়লে। ধন্যবাদ ভাইয়া।