সাতটি ছবিতে আজকের ব্লগ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি এগুলো কিছুদিন আগের তোলা। সবগুলো ছবির ডিটেলস আমি নিচে লিখে দিলাম।
একদিন বিকেলে ছাদে গিয়েছিলাম।সেখানে বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম। কারণ আমি ছাদে যাওয়ার সময় পাইনা। বেশিরভাগ সময় বাইরেই কাটাতে হয়। সকাল হোক বা বিকেল সব সময় বাইরেই থাকি। একদিন বিকেলে ক্লাস ছিল না। সেদিন বিকেলে গিয়েছিলাম ছাদে। আকাশটা খুব চমৎকার ছিল আর পাশের বড় বিল্ডিংটা অনেক সুন্দর লাগছিল দেখতে। তাই ভাবলাম একটা ফটোগ্রাফি করে আপনাদের কাছে শেয়ার করি।
লালদীঘির পাড়ে এই ফুল গাছ অবস্থিত। এটি একটি বেলি ফুল তবে হাইব্রিড জাতের বেলি হবে। কারণ আমি যে বেলি ফুল গুলো পছন্দ করি সেই ফুলগুলো অনেক পাপড়ি যুক্ত আর অনেক ঘ্রাণ রয়েছে। কিন্তু এই বেলি ফুলগুলোর মধ্যে খুব বেশি একটা সুগন্ধ নাই। তবে দিঘীরপাড়ের গাছগুলো খুব সুন্দর লাগছিল, রাতের বেলায় ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
খুব সুন্দর একটা কৃত্রিম ঝর্ণার মত রয়েছে লালদিঘির এক কর্ণারে। এটির অবস্থান দোয়েল চত্বরের খুব কাছাকাছি। দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আমরা সেখানে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তবে এর ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম আলাদাভাবে। ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
এই ফুলগুলোর নাম আমার জানা নেই। তবে খুব সুন্দর লাগে দেখতে। দিঘির পাড়ের এক পাশে এই ফুলগাছগুলো লাগানো রয়েছে। গাছগুলো অনেক বড় আর রানী গোলাপি রঙের ফুলগুলো একদম মনোমুগ্ধকর। যদিও এর কোনো ঘ্রাণ আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে দূর থেকে ছবিটি খুব সুন্দর লাগছিল। তার পাশাপাশি ফেনী গার্ডেন সিটিও দেখা যাচ্ছে।
ছবিতে দেখে মনে হচ্ছে এটি অনেক ছোট। কিন্তু হাত এবং মাশরুমটির তফাৎ হিসেবে তাকালেই বোঝা যাবে এটি অনেক বড় একটা মাশরুম। ঈদের পরদিনই নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার ছোট আন্টি তাদের ভিটি থেকে মাশরুমটা নিয়ে এসেছিল। ভেবেছিলাম আসার সময় নিয়ে আসবো,কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম। এরকম আরো একটি মাশরুম পরবর্তীতে তুলে আনা হয়েছিল। মোট দুটো মাশরুম বড় বড় ছিল খুব সুন্দর ছিল এগুলো।
এগুলো দেখে হয়তোবা অনেকে বুঝবেন না কি এগুলো।আমরা যখন দিঘির পাড়ে হাঁটতে ছিলাম তখন দেখলাম বিভিন্ন রকম দা,বটি এবং তার পাশাপাশি কাঠের জিনিসপত্র বিক্রি করা হচ্ছিল। যেদিন আমি আমার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম দা-বটির মধ্যে লোহার অংশটা সেট করার জন্য এই লোহার ছোট অংশ গুলো ব্যবহৃত হয়।
এটিও লালদীঘির পাড়ের ছবি। সেখানে কিছু ফল দেখতে পেলাম। এই ফলগুলো হয়তোবা অনেকের চেনা , হয়তোবা অনেকেরই অচেনা। কারণ এগুলো গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি পাওয়া যেত একসময়। আমাদের বাড়ির পিছনে এই ফলের গাছ রয়েছে। এগুলো খেতে কিন্তু ভালোই হয়।এর নাম ঢেউয়া ফল।অন্য কোনো নাম আমার জানা নেই।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আাশা সব সময় এভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন।।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সাতটি ছবিতে আজকের ব্লগ। আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ। প্রত্যেকটি ছবি আপনি অসাধারণ ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন । সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।লালদীঘির পাড়ের ছবি।
ধন্যবাদ আপনাকে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন। ্।
ফটোগ্রাফিগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। প্রতিটি ছবিই বেশ ভালো তুলেছেন। তবে আমার আকাশ দেখতে বেশি ভাল লাগে। তাই আপনার আকাশের ফটোগ্রাফিটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সর্বদাই।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। যদিও আপনি সময় খুব কম পান বাসায় থাকার।তবে ছুটির দিনের বিকেলের আকাশের ফটোগ্রাফিটি তুলেছেন, চমৎকার হয়েছে।আকাশের ফটোগ্রাফি আমার খুব ভালো লাগে।আর আপনার মতো আমারও বেশী পাপড়ি যুক্ত বেলি ফুল পছন্দ।আর মাশরুমটা তো দেখছি অনেক বড়।খুব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো। নীচে বর্ননা তুলে ধরেছেন, এজন্য আরো বেশী ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু ভালো থাকবেন।
বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। মাশরুমের ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। পাকা সুমিষ্ট আম গুলো দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । এত দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সুগঠিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।
আপু আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ মনোমুগ্ধকর লেগেছে আমার কাছে। দুইটি ফুলের গাছের মাছ দিয়ে দূরের বিল্ডিংটা দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিল । আর লাস্টের এই ফলটিকে আমাদের দিকে বন কাঁঠাল বলে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুগঠিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভইয়া।্।
ঢেওয়া ফলের ফটোগ্রাফি দেখে তো সেই ছোট কালের কথা মনে পড়ল। কারণ এক সময় অনেক খেতাম এই ঢেওয়া ফল। এই বর্ষার সিজনে আকাশটা অনেক সুন্দর লাগে আকাশের ফটোগ্রাফি টা অনেক ভালই লেগেছে। তাছাড়া অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দরভাবে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইল আপু।।
খুবই চমৎকার একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনার এই ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি সত্যি রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কিছু কিছু ফটোগ্রাফি আছে যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায় আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো ঠিক তেমন, কোনটা দেখে কোনটার প্রশংসা করবো ভেবে পাচ্ছি না। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
সুগঠিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।। 💐💐