লাইফস্টাইল-: চায়ের বাড়ি রেস্টুরেন্টে গতকাল বিকেলবেলা।

in আমার বাংলা ব্লগ16 hours ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

20250209_154011.jpg

আমার প্রিয় পাঠকগণ,আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি। আজকের পোস্টে শেয়ার করব চায়ের বাড়িতে যাওয়া এবং খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতার মুহূর্তগুলো। প্রতিটা মুহূর্ত ভালোভাবে কেটেছে এটা বলা সম্ভব নয়। কারণ সেটা বিস্তারিতই আপনাদেরকে বলব। যাই হোক চায়ের বাড়ি হলো নতুন একটা রেস্টুরেন্ট যেটা আমাদের দাগনভূঞাতে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন হল এটা তৈরি হয়েছে দেখেছিলাম কিন্তু সময় সুযোগ করে যাওয়া হচ্ছিল না। তাই কালকে বিকেলবেলা হঠাৎ করেই সেখানে চলে গেলাম। মূলত নিভৃত কালকে বের হওয়ার জন্য খুব বেশি কান্নাকাটি করছিল। সেজন্যই ভাবলাম তাকে নিয়ে ঘুরে আসা যাক। আর রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখে আসা যাক কেমন রেস্টুরেন্ট হলো।

20250209_153934.jpg

20250209_153959.jpg20250209_154005.jpg

আপনাদের সাথে এর আগে চায়ের গ্রামে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছিলাম। সেটা ছিল ফেনীতে। সেই আইডিয়া মাথায় রেখে দাগনভূঞাতে চায়ের বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। যাই হোক আমরা বিকেল বেলা চারটার দিকে সেখানে গেলাম । নিভৃত তো খুবই খুশি অনেকদিন পর বাইরে যেতে পেরে।যাইহোক রেস্টুরেন্টটা ছিল দোতলায়। তাই সেখানে চলে গেলাম।যেতে যেতেই ফটোগ্রাফি করছিলাম।কারণ আমাদের তো নেশাই এটা, হাহাহা।যাইহোক শুরুতেই দেখলাম ফটো তোলার জন্য খুব সুন্দর একটা বসার জায়গা।তাই নিভৃতকে সেখানে বসিয়ে বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম।

20250209_154058.jpg20250209_154104.jpg

20250209_154232.jpg

সে তো এদিক ওদিক লাইটিং দেখছিলো।আসলে বাচ্চারা এমনই লাইটিং বা আলোকসজ্জা দেখলে সেগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে। যাইহোক পরবর্তীতে আমিও তার পাশে বসে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।এরপর আশেপাশের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন এর ছবিও তুলে নিয়েছিলাম। মোটামুটি ভালোই ডেকোরেশন করেছিল। বেশ অনেকটা বড় ছিল রেস্টুরেন্টটা।ফ্যামিলি নিয়ে বসার সুবিধাও করেছে। যদিও সেটাতে বসতে কম্ফোর্টেবল লাগেনি আমার কাছে। কারণ সেটা যদি এক কর্ণারে সাজানো হতো তাহলো ফ্যামিলি সহ আলাদাভাবে বসা যেত।কিন্তু এটা ছিল একদম মাঝখানে। চারপাশ থেকে সবকিছুই দেখা যাচ্ছিল।তাই আমার কাছে মনে হয়েছিল এটা এক কর্ণারে দিলেই বেটার হতো।

20250209_154638.jpg20250209_154711.jpg

20250209_154732.jpg

যাইহোক সেখানে নিভৃতকে বসিয়ে দিলাম। সেও বেশ আনন্দের সাথে সেখানে বসে ছিল। তাই কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। যদিও আমি নিজে বসেছিলাম কিন্তু বসার সুবিধা পাইনি বিধায় আবার সেখান থেকে চলে গেলাম অন্য একটা টেবিলে। যাইহোক ফটোগ্রাফি শেষ করার পর টেবিলে বসে খাবার অর্ডার দিলাম। যদিও প্রথম দিন গিয়েছিলাম আর খাবার সম্পর্কে তেমন ধারণাও ছিল না তাই প্রথমেই আমরা ফুচকার অর্ডার দিয়েছিলাম। তার পাশাপাশি চায়ের অর্ডার দিয়েছিলাম কিন্তু সেটা পরে দিয়েছিলাম।

20250209_154805.jpg

20250209_154809.jpg

পরবর্তী যখন ফুচকা নিয়ে আসলো তখন ফুচকার প্লেট দেখেই তো অবাক হয়ে গেলাম। কারণ ১৫০ টাকা দামের এই ফুচকার প্লেটে শুধুমাত্র ১৩ টা ফুচকা, এক বাটি পুর আর অল্প একটু টক। কিন্তু চায়ের গ্রামের ছবিগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। সেখানে ২০০ টাকার মধ্যে অনেকগুলো ফুচকা,পুর তারপর তার সাথে আনুষঙ্গিক প্রায় ছয় রকমের জিনিসপত্র ছিল। আবার ফিলিং এর ব্যবস্থাও ছিল দারুন। কিন্তু এখানে দাম অনুযায়ী ফুচকার মান তেমন ভালো ছিল না। যাইহোক প্রথম দিন গেলাম তাই মোটামুটি খেয়ে নিলাম।

IMG-20250210-WA0000.jpg

IMG-20250210-WA0007.jpg

এরপর আসি চায়ের কথায়,চা অর্ডার দিয়েছিলাম চায়ের বাড়ি স্পেশাল চা। কিন্তু চা আনার পর দেখে মনে হচ্ছে ফুটপাতের নোংরা পানি দিয়ে চা তৈরি করা হয়েছে। দেখতে একদমই ভালো লাগেনি আর কাপের অবস্থাও খুব বাজে ছিল। চায়ের কাপ দেখেই আমার ভক্তি একদম উঠে গিয়েছে। চা খাওয়ার মত ইচ্ছে আর আমার জাগেনি। আর চায়ের গন্ধটাও অন্যরকম ছিল। তাই আমরা দুজনে কেউই চা খাইনি।চা কিন্তু আমার খুব পছন্দের। সত্যি বলতে ডেকোরেশন দিয়ে খাবারের মান যদি এতটা লো-কোয়ালিটি করে থাকে তাহলে সেখানে মানুষ একদিন গিয়ে জীবনেও যাবে না। সবকিছুর দাম অনেক বেশি কিন্তু মান তেমন ভালো না।

20250209_154337.jpg

20250209_155941.jpg20250209_162503.jpg

যাইহোক তারপর বিল মিটিয়ে আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম। ভেবেছিলাম চায়ের বাড়ি হয়তো চায়ের গ্রামের মতোই দারুন হবে। কিন্তু খাবারের দিক থেকে একদম বাজে একটা অবস্থা ছিল। দাম এবং মান কোনটাই ঠিক ছিল না। যাই হোক এই অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 16 hours ago 

Screenshot_20250210-095732_Chrome.jpg

Screenshot_20250210-095616_Chrome.jpg

 12 hours ago 

আপু আপনি তো দেখছি চায়ের বাড়িতে শুধু চা খান নি। সাথে সাথে টাও খেয়েছেন। যাই হোক চায়ের বাড়িতে কাটানো সুন্দর কিছু সময় আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখছি। আমার কাছে বেশ ভালোই লাগলো। ঢাকায় হলে ঘুরে আসা যেত। ধন্যবাদ আপু আপনার আনন্দ ময় সময় টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 11 hours ago 

বেশ কয়েকবার আপনার পোস্টে চায়ের গ্রামের কথা শুনেছিলাম। তবে আজকে চায়ের বাড়িতে গিয়েছেন আপনারা। তাদের ডেকোরেশন গুলো খুবই সুন্দর। তবে খাবার আপনাদের কাছে ভালো লাগেনি। যাই হোক চমৎকার ছিল আপনার আজকের পোস্ট। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 hours ago 

আসলে উপর থেকে সুন্দর হলে ভেতরটা সুন্দর হয় না। ঠিক তেমনটা এটার ক্ষেত্রেও। সবকিছুর ডেকোরেশন এতটা সুন্দরভাবে করলেও খাবারের মান একেবারেই ভালো ছিল না দেখছি। বিশেষ করে চায়ের ফটোগ্রাফি দেখে তো আমার কাছেও অন্যরকম লাগছে। তবে চায়ের গ্রামের সবকিছু আসলেই খুব ভালো। খাবারের মানও অনেক ভালো এটা ঠিক।

 2 hours ago 

চায়ের বাড়ি রেস্টুরেন্টে আমি কয়েকদিন আগে গিয়েছি বেশ ভালো লেগেছে আমার। আসলে এই শীতের মুহূর্তে গরম গরম চা খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে। চায়ের বাড়ি রেস্টুরেন্টে আপনারা সবাই খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো দারুন ভাবে কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু, এতো দারুন অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 hours ago 

সত্যি কথা বলতে, বাহ্যিক সাজসজ্জা যতই সুন্দর হোক, যদি খাবারের মান ঠিক না থাকে, তবে সেটা পুরো অভিজ্ঞতা নষ্ট করে। বিশেষ করে চায়ের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছিল অনেক আকর্ষণীয়, কিন্তু স্বাদে কিছুটা হতাশাজনক ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 97479.95
ETH 2677.95
USDT 1.00
SBD 4.24