চায়ের গ্রামে কাটানো কিছু মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
হঠাৎ দেখলাম কিছু ছবি, যেগুলো দেখে ফেনীতে সেই চায়ে গ্রামের কথা মনে পড়ে গেল।এখন কাজ ছাড়া আর ফেনীর দিকে যাওয়া হয় না।আর চায়ের গ্রামে ফেনীতে থাকাকালীন ২বার গিয়েছি মাত্র।যদিও বাসা থেকে একদম কাছেই ছিল রেস্টুরেন্টটা।কিন্তু সময়ের অভাবে অনেক জায়গায় যাওয়া হয়নি।যাব যাব ইচ্ছে থাকলেও সময় সল্পতার কারণে আর যাওয়া হলো না। তো যাইহোক ২য় দিন গিয়েছিলাম নানু, ছোট আন্টি আর ছোট বোনকে নিয়ে।প্রথমদিনতো শাশুড়িকে নিয়েই গিয়েছিলাম।সেদিন তিনি বাসায় ছিলেন না বাড়িতেই ছিলান,তা না হলে তিনিও আবার যেতে পারতেন।
সেদিন নানুদের নিয়ে যাওয়ার কোনো প্ল্যান ছিল না। মূলত নানু বিকেলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আমি মোটামুটি জোর করেই রেখে দিয়েছিলাম।আর বিকেলে সবাই মিলে দিঘীর পাড়ে হাটতে গিয়েছিলাম। আসলে পুরো দিঘী ঘুরে আসা সম্ভব ছিলনা, অনেক বড় ছিল।তাই দুপাশ ঘুরে ফিরে দেখালাম। সবদিকে ঘুরে এসে দেখলাম অনেক সময় আছে।যেহেতু সন্ধ্যার আগেই বেরিয়েছিলাম সে ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ হাঁটার পর দেখলাম এখনো সময় অনেক আছে।
তো যাই হোক এরপর আমরা চায়ের গ্রামের দিকে হাটা ধরলাম। যেহেতু কাছেই ছিল সেই ক্ষেত্রে হেঁটে হেঁটে গিয়েছিলাম। হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে বেশ ভালোই লাগছিল। আর সেদিকে যেতেই আমার স্পোকেন ক্লাসের বিল্ডিংটা ছিল, সেটাও দেখিয়ে নিলাম। তখন ছোট আন্টি বলল এটা তো কাছেই আছে আর প্রতিদিন তো শপিংমলে যাওয়া হয়। তখন বললাম ঠিকই যাওয়া হয় কিন্তু শপিং করা হয় না দেখে মন ভরিয়ে ফেলি,হাহাহা।
যাইহোক অনেকক্ষণ তো হাঁটলাম। যখন আমরা ওপরের দিকে যাচ্ছিলাম তখন আর উঠতে ইচ্ছে করছিল না। কারণ তিনতলায় ছিল সে রেস্টুরেন্টটা। তবুও কি আর করা যেহেতু একদম কাছে চলে এসেছি সেই হিসেবে কষ্ট করে হলেও উঠে গেলাম। আসলে সিড়িগুলো দিয়ে উঠতে গেলে এদিক ওদিক দিয়ে যেন হারিয়ে যাওয়ার মত ছিল। যাই হোক আমরা সবাই গেলাম সেখানে।ফ্যামিলি সাইডে বসে ছিলাম, এবারও সেখানে বসেছি আগের জায়গাটায়।
যেহেতু নানু আর আন্টিকে নিয়ে গিয়েছিলাম তাই তাদের জিজ্ঞেস করলাম ফুচকার প্লেটারটা খাবে কিনা,ছবিতে দেখিয়ে দিলাম। তখন সে বলল আপনাদের ইচ্ছা। আর তাই সবার জন্যই ফুচকার অর্ডার দিলাম এবং সাথে আবার রিমিক্স চায়ের অর্ডার দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর আমাদের অর্ডারগুলো চলে এলো এবং আমরা খাওয়া শুরু করলাম। নানু তেমন বেশি একটা খায়নি শুধুমাত্র আমরা তিনজনে খেয়েছি। বলতে গেলে আমিও ওদের দুজন থেকে কম খেয়েছি। কারণ আমি পূর্বে এসেছিলাম আর আমার তো এমনিতে বাইরে মাঝেমধ্যে খাওয়া হতো।
তাই ভাবলাম ওদের নিয়ে এসেছি যেহেতু ওদেরকে একটু সার্ভ করি।তারপর সামনের দিকে যে সাজানো ফ্রেমটা ছিল সেখানে গিয়ে তিনজনে মিলে ছবি তুলেছি। আসলে লাইটিং গুলো একদম মুখের উপরে থাকার কারণে অনেক সময় ছবি সুন্দর আসেনি। যাইহোক এই ছিল আমাদের সেদিনকার মুহূর্তগুলো। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেরিয়ে গেলাম। যেহেতু বিল আগে পে করে দিয়েছি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেআপান,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | কবিতা |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কি মজা আপনাদের। আপনারা সবাই শুধু ঘুরে ঘুরে বেড়ান। ভাবছি আমিও একদিন আসবো আপনাদের এই বিখ্যাত চায়ের বাড়িঘর দেখতে। তবে আমার কিন্তু রিতীমত লোভ হচেছ। যেমন লোভ হচেছ কফি দেখে, তেমন লোভ হচেছ ফুচকা দেখে। অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু।
হাহা,আমাদের মত হলে কপালে দুঃখ বেশি পাবেন।তাই নিজের মত করে ঘুরেন শান্তি পাবেন।
রেস্টুরেন্ট এর নাম টা তো অনেক ইউনিক।ক্যাফের জন্য মানানসই একটি নাম। আবার রিমিক্স চা নামটাও বেশ মজার।রেস্টুরেন্ট এর মালিকরা বেশ ক্রিয়েটিভ বলা যায়।সবাই মিলে বেশ ভাল সময় কাটিয়েছেন। রেস্টুরেন্ট এর রিভিউটি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমি ২বারই খেয়েছি,খুব মজা ছিল এই চা।বাদামের ফ্লেভারে দারুণ ছিল এককথায়।
সেই সময়টা খুবই আনন্দময় ছিল। কারণ যখন তখন দিঘির পাড়ে ঘুরে আসতাম। তারপর আবার এদিক সেদিক বসাও যেত।দিঘীর পাড়তো খুব সুন্দর লাগে। সন্ধ্যাবেলায় অনেক মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। আর আলোকিত হওয়ার কারণে আরো বেশি সুন্দর লাগে। চায়ের গ্রামে সেদিন নানুকে নিয়ে গিয়ে ভালোই লেগেছিল, সবাই আনন্দ পেয়েছে।
রেস্টুরেন্টের নামটা আসলেই সুন্দর। খুব ইউনিক একটি নাম। ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে ইনডোর টাও বেশ সুন্দর। রিমিক্স চায়ের নাম আগে কখনো শুনিনি। ফুচকার প্লেটার টা বেশ ভালোই লাগছে দেখতে। সবাই মিলে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু।