কক্সবাজারে দুপুরের খাওয়ায় চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংস।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
মহেশখালী থেকে ফেরার পথে আবার চলে গেলাম লাবনী পয়েন্টে। কারণ সেখানে আমরা চুইঝালের হাঁসের মাংস খেয়েছিলাম। আসলে আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম সেদিন আসার পথে হাঁসের মাংস খাব।যাইহোক যেহেতু দুপুর হয়ে গিয়েছিল তাই ফেরার পথেই চলে গিয়েছিলাম সবাই। বাসায় যাওয়া হয়নি তখন। সেখানে গিয়ে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম হাঁসের মাংস এখন পাওয়া যাবে কিনা।তারা বলেছিল বিকেল থেকে হয়। তবে আমরা কিছুক্ষণ ওয়েট করলে তারা আমাদের এটা রেডি করে দেবে।
তাই আমরা ভাবলাম কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা যাক। তাই আমরা এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করলাম।আর যেহেতু অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছিলাম তাই সবাই মিলে সেবয় এর আইসক্রিম খেয়েছিলাম। তারপর বেশ কিছুক্ষণ আমরা বসে ছিলাম।এদিকে আমরা এমন একটা জায়গায় বসে আছি যেখানে ৫জন বসতে বেশ সমস্যা হয়ে যাচ্ছিলো। আর আমাদের পাশে একটা টেবিলে একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে বেশ অনেকক্ষণ যাবৎ গল্প করছিল।
তারা যে সেখান থেকে সরবে সেই সেন্স টুকু নেই। তারা অনেক আগেই চা খেয়ে সেখানে বসে বসে গল্প করছিল। আর এদিকে আমরা অর্ডার দিয়ে বসে ছিলাম। কিন্তু আমাদের টেবিলটা একদম নড়বড়ে ছিল। যেহেতু আমরা সবাই মিলে খাব তাই আমাদের ওই টেবিলে যেতে হতো।যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ পর যখন সেখানের লোক এসে তাদের বললো আপনাদের খাওয়া তো অনেক আগে শেষ, আপনারা অন্য কোন জায়গায় গিয়ে বসেন তাহলে আমাদের কাস্টমার গুলো বসতে পারবে। মানে সেদিনকার এই মুহূর্তটা অনেক বেশি বিরক্ত লেগেছিল। তাদের কোন কাজ নেই, তারা বসে বসে আধা ঘন্টার উপরেই সেখানে কথা বলছিল।
যাই হোক অবশেষে আমাদের খাবার রেডি হলো এবং টেবিলে চলে এলো। তবে খাবার দেয়ার আগে প্রথমে খুব সুন্দর একটা জগের মধ্যে পানি নিয়ে এসেছিল হাত ধোয়ার জন্য। আমরা পাঁচজন ছিলাম। আর সে জন্যই আমাদের টেবিলে পাঁচটি বাটিতে হাঁসের মাংস দিয়েছিল। প্রত্যেকটা বাটিতে একটা করে রসুন ছিল।সাথে ছিল কয়েকটা চুইঝাল। সেদিন হাঁসের মাংস খেতে আমার কাছে তো বেশ মজাই লেগেছিল। সাথে চালের আটার রুটিটাও বেশ জমে ছিল। খুব তৃপ্তি করেই সেদিন আমি এই হাঁসের মাংস খেয়েছিলাম।
তবে সত্যি বলতে যারা ঝাল পছন্দ করে তাদের জন্য ভালই হবে। যদিও আমি ঝাল খুব বেশি খেতে পারি না তবে সেদিন ভালোই খেয়েছিলাম। তারপর আবারও আইসক্রিম খেলাম ঝাল নিবারণের জন্য।যাইহোক খাওয়া-দাওয়া করার পর অনেকটা সময় হয়ে গিয়েছিল। তারপর আমরা বাসায় ফিরে গেলাম সেদিনের মত। তারপর কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম এরপর বিকেল বেলা চলে গেলাম সুগন্ধা বিচে সেদিনকার মুহূর্তটা আরো বেশি আনন্দময় ছিল। সেটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.