আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আপনারা সকলেই জানেন আমি পেইন্টিং করতে খুবই পছন্দ করি। আর যারা যারা পেইন্টিং করতে অভ্যস্ত বা কখনো না কখনো করেছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন একটা পেইন্টিংকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য কতটা সময় আর পরিশ্রম দিতে হয়। অনেকের কাছে পেইন্টিং মানে রঙ তুলির ছোয়া, আবার কারো কাছে এটা সামান্য কিছু। কিন্তু একজন আর্ট প্রেমির কাছে এটা একটা ভালোলাগা আর ভালোবাসার জায়গা। আর সেই তালিকায় আমি নিজেও অন্তর্ভূক্ত।
আসলে ছোটবেলা থেকেই আমি পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। আর ওয়াটার কালার দিয়ে পেইন্টিং করা এখন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।তবে এক্রলিক কালারটা দিয়ে সবকিছু ম্যাচ করতে কিছুটা সময় ব্যয় হয়। যাইহোক, আরেকটা বিষয় অবশ্য বলা হয় নি।কোনো কিছু সাজাতে গোছাতে আমার খুব ভালো লাগে।আর আজকের এই ফুলটা পেইন্টিং করার মূল উদ্দেশ্য হলো আমার রুমের দেয়াল সাজানো।এর আগে আমি হলুদ রঙের কাঠগোলাপ ফুলের পেইন্টিং করেছিলাম।তার সাথে মিলিয়ে আজকে বেগুনী রঙের এই কাঠগোলাপ ফুলের পেইন্টিং করলাম।ফুলগুলো আসলেই কিন্তু নজরকাড়া।অলরেডি এই পেইন্টিংটা দেয়ালে লাগিয়েছি। আর আপনাদের কেমন লেগেছে সেটা জানাবেন কিন্তু,অপেক্ষায় রইলাম।
এক্রলিক পেইন্ট
তুলি
ক্যানভাস পেপার
প্রথম ধাপে আমি পেন্সিল এর সাহায্যে কাঠগোলাপের ফুল এবং পাতা এঁকে নিলাম। সাথে ছোট দুটো কলিও এঁকে নিয়েছি।
এই ধাপে আমি ফুলের আশেপাশের অংশে কালো রঙ করলাম।ফুল এবং পাতা বাদ দিয়ে বাকিটা রঙ করে নিলাম।
এখন একটি কাঠগোলাপ ফুলের পাপড়িতে সাদা রং করে নিলাম। তারপর বেগুনী রঙ দিয়ে পাপড়ির কিনারা কিছুটা ফাঁকা রেখে মাঝের অংশ রঙ করলাম। এভাবে সবগুলো পাপড়ি রঙ করে নিলাম।
এরপর বাকি ৩টি কাঠগোলাপ ফুলের পাপড়িতে সাদা রঙ করে নিলাম।পূর্বের মতো করে আবার সাদা রঙ শুকালে বেগুনি রং দিয়ে পাপড়িগুলো রং করে নিলাম।
এই ধাপে বাকি একটি ফুল এবং ফুলের কলি গুলোকেও বেগুনি রং করে নিয়েছি। তারপর একটু গাঢ় বেগুনি রং নিয়ে ফুলের কলির মাঝখান থেকে পাপড়ির দিকে কিছুটা রং ছড়িয়ে দিলাম। এভাবে প্রত্যেকটি ফুলের পাপড়িতেই রং ছড়িয়ে দিয়েছি।
এখন যে পাতাগুলো রয়েছে এগুলোতে হলুদ রং এবং সবুজ রং মিক্স করে পাতার রং করে নিলাম।পাতার শেড বোঝানোর জন্য আমি দুই রং ব্যবহার করেছি। প্রত্যেকটা পাতায় এভাবে রং করে নিয়েছি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
কাঠগোলাপের পেইন্টিং অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে মুগ্ধ হলাম। সত্যিই আপনার পেইন্টিংয়ের দক্ষতা ও অসাধারণ। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে এজন্য চেষ্টা করি।
https://x.com/bristy110/status/1808909927718793227
খুব সুন্দর ফুলের ছবি অংকন করেছেন আপু। বেশি ভালো লাগলো আপনার এই ফুলের ছবি অংক করতে দেখে। এই জাতীয় ছবি অংকন গুলো নিজের দক্ষতা ফুটিয়ে তোলে। ঠিক তেমনি আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার দক্ষতা। খুবই সুন্দর হয়েছে আশা করব আপনি এভাবেই পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন ফুলের চিত্র অংকন নিয়ে উপস্থিত হবেন।
অবশ্যই আপু নতুন রূপে আবারো হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। তবে সময়ের ব্যাপার। সময় নিয়ে এগুলো করতে হয়। ছেলের জন্য পারিনা তবুও চেষ্টা করব ।
আপু আপনি আজ চমৎকার একটি পেইন্টিং শেয়ার করেছেন।আপনার পেইন্টিংটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।আপনার উপস্থাপনা বেশ ভালো ছিল আপু।আমিও চেষ্টা করছি পেইন্টিং করার।তাই পেইন্টিং গুলো আমার কাছে দারুন লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই পেইন্টিংটি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করছেন যেহেতু নিশ্চয়ই সুন্দর হবে। একটু আধটু প্র্যাকটিস থাকলে হয়ে যাবে। আর আমার তো খুব প্রিয় কাজ এটা,কিন্তু করা হয়ে উঠে না তেমন।
আপনার ভিন্ন রঙে কাঠগোলাপের পেইন্টিং দেখে খুব ভালো লাগলো। বেশ দুর্দান্ত পেইন্টিং করেছেন আপনি। কাঠগোলাপের পেইন্টিং বেশ অসাধারণ হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো লাগে এইরকম ফুলগুলো আঁকতে।তাই চেষ্টা করি সবসময়।
ফুলের পেইন্টিং আমার খুব ভালো লাগে আপু। আমিও প্রায় সময় ফুলের পেইন্টিং গুলো করার চেষ্টা করি। আপনি খুব সুন্দর করে কাঠগোলাপ ফুল পেইন্টিং করলেন। প্রথমে আর্ট করে নিলেন এরপরে সুন্দরভাবে কালার করে নিয়েছেন। দেখতে রিয়েল কাঠগোলাপ ফুলের মতো হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ধাপ গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন আপনি।
এটা হলো রুম সাজানোর জন্য আপু। আসলে আমি তিন রংয়ের কাঠ গোলাপ ফুলের পেইন্টিং করেছি এবং রুমের দেয়ালে সাজিয়ে রেখেছি।
আপনার ভিন্ন ধরনের কাঠ গোলাপ ফুলের পেন্টিং দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে ফুলের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া এধরনের কাজ গুলো করতে অনেক সময় ও ধৈর্য নিয়ে করতে হয়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি ধৈর্য নিয়ে সুন্দর ভাবে কাঠ গোলাপ এর পেন্টিং আর্ট সম্পন্ন করেছেন। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কোন পেইন্টিংকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে হলে সেখানে ধৈর্য এবং সময় দুটোই প্রয়োগ করতে হয় ভাইয়া। না হলে সেটা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় না।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ্ ভালোই তো নিজে পেইন্টিং করে নিজের ঘরেই সাজান। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপনার আইডিয়া। তবে আমিও যদি পারতাম আমিও নিজের ঘরের জন্য এমন সুন্দর করে সুন্দর সুন্দর ফুল পেইন্টিং করতাম। দুঃখের বিষয় সময়ের জন্য কিছুই করা হয়ে উঠে না। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি পেইন্টিং শেয়ার করার জন্য।
আমার আইডিয়া তো আরও অনেক কিছু আছে আপু ঠিক। আপনার মত সময় পাই না এজন্য করতে পারি না। চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে সবকিছু শেয়ার করার জন্য।
অনেক বেশি সুন্দর করে আপনি আজকে কাঠগোলাপ ফুলের পেইন্টিং করেছেন। যেটা দেখেই আমি জাস্ট মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। ভিন্ন রংয়ের এই কাঠ গোলাপ ফুলের পেইন্টিং জাস্ট মনোমুগ্ধকর হয়েছে। যে দেখবে আপনার এই পেইন্টিংটা সে অনেক বেশি মুগ্ধ হয়ে যাবে। কারণ আপনি পুরোটাই নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ভাবে করেছেন। কালার অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের উপরে এটি অংকন করায় বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে দেখতে। আপনার এত সুন্দর দক্ষতার প্রশংসা তো করতেই হয়।
আসলে ফুলের পেছনে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডটা বেশ মানিয়েছে। এজন্যই মূলত দেখতেও নজরকাড়া মনে হচ্ছে। আর ফুলগুলোকে অনেকটা থ্রিডি টাইপ মনে হয়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।