প্রতিটি শশুরবাড়ি হোক মেয়েদের বাবার বাড়ি |১০% লাজুক খ্যাক এর জন্য |

আশা করি সকলেই সুস্থ আছেন। আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বেশ ভালোই আছি। তবে সবসময় সুস্থ থাকতে পারছি না এটাই সমস্যা। অবশ্য এই সময় একটু আধটু অসুস্থ হয়ে পরাটাও অস্বাভাবিক কিছু না। আমার পরিবার এবং আত্নীয় স্বজনদের পর আমার বাংলা ব্লগে আজকে একটি সুখবর জানিয়ে দিতে চাই আপনাদের 😇।

প্রত্যেকটা মেয়ের মতন আমারও কিছু স্বপ্ন আছে। বিয়ের পর বাবার বাড়ি ছেড়ে নতুন জায়গায় এসে মানিয়ে গুছিয়ে নিতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায় প্রত্যেকটা মেয়ের। আমার ক্ষেত্রেও তা নতুন কিছু নয়। নতুন মানুষ, নতুন পরিবেশ, সাংসারিক দায়িত্ব, সকলকে ভালোবাসার মধ্যেই যেন শান্তি নিহিত থাকে। বিয়ের আগে থেকেই এই বিষয় গুলো নিয়ে ভাবতাম আর চিন্তা করতাম সবার মন যুগিয়ে চলতে পারবো তো! দিনশেষে ভুল কিছু বলে ফেললাম না তো! আমার কথায় কেউ কোন কষ্ট পেলো না তো! এরকমই নানান চিন্তা এখনও মাথায় ঘুরপাক খায় আমার😐।

এভাবেই সংকোচবোধ সময় যেতে যেতে কখন যে ৩ টা বছর পার হয়ে গেলো টেরই পেলাম না! তবে এর মধ্যেও অনেক ঝড় ঝাপটা ছিলো। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এই অব্দি আসতে হয়েছে। তবে আমি মনে করি ফ্যামিলির সাপোর্ট না পেলে এটা কখনোই সম্ভব হতো না। যেই মানুষটার হাত ধরে এসেছিলাম সে যদি পাশে থেকে সাহস না দিতো তাহলে হয়তো তার সাথে এতোগুলো দিন পার করতে পারতাম না। আর শশুর শাশুড়ীর কথা কি আর বলব! খুবই যন্ত্রণা, এটা করো না বৌমা, সেটা করো না, এখানে যাওয়া যাবে না, এটা খাওয়া যাবে না, এই কাপড়টা পড়লে কেন, বাবার বাড়ি থেকে এটা আনো, কোন কাজ পারো না, কুলক্ষণা মেয়ে এনেছি কত কি!!!!

এভাবে ৩ টি বছর পার হওয়ার সাথে সাথেই নতুন অতিথির আগমনের খবর পাই 🙈। আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সাত মাসের অন্ত:স্বত্তা😍। এটা কোন লজ্জার বিষয় নয়। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের কাছে এটা গর্ব এবং আনন্দের বিষয়। যাইহোক আজকে খুশি টা ভাগ করে নিলাম আপনাদের সাথে। আর এই সময়টাতে মার কাছে না থাকলেও শাশুড়ী কম যত্নে রাখে নি। তাই বলবো সবাইকে এক করে দেখা উচিত না। আর প্রত্যেকটা মেয়ের শশুর বাড়ি যেন হয় তাদের বাবার বাড়ি এই প্রার্থনা করি।