কচুর ডাটা দিয়ে সুস্বাদু বাটা মাছের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা
আজ ২৪ই ভাদ্র - ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - রোজ শুক্রবার- ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
---|
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার ও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে এসে হাজির হলাম নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বাটা মাছের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করবো। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে আলু দিয়ে বাটার মাছের সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। তাই আজ ভাবছি আবার কচুর ডাটা দিয়ে মজাদার বাটা মাছের রেসিপি শেয়ার করি। বাটা মাছ আমার অনেক পছন্দের মাছ। এই মাছে কাটা একটু বেশি তবে খেতে সব সময় অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়ার যাক কচুর ডাটা দিয়ে মজাদার বাটা মাছের রেসিপি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ | |
---|---|---|---|
১. | বাটা মাছ | পরিমান মতো | |
২. | কচুর ডাটা | পরিমান মতো | |
৩. | পেঁয়াজ বাটা | পরিমান মতো | |
৪. | মরিচ বাটা | পরিমান মতো | |
৫. | লবণ | স্বাদমতো | |
৬. | হলুদ গুঁড়া | পরিমান মতো | |
৭. | তেল | পরিমান মতো | |
৮. | জিরা বাটা | পরিমান মতো |
রান্না করার প্রক্রিয়া
ধাপ ১
প্রথমে মাছ গুলো আমি ভালোভাবে কেটে নেই। এরপর পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেই রান্না করার জন্য।
ধাপ ২
কচুর ডাটা গুলো ছোট ছোট করে কেটে নেই। এরপর ভালো ভাবে ধুয়ে নেই।
ধাপ ৩
পরিষ্কার একটি কড়াই চুলার মধ্যে বসিয়ে দেই। এরপর পরিমান মতো তেল দিয়ে নেই। এরপর তেল গরম করে নেই।
ধাপ ৪
তেল গরম করে নেওয়ার পর মসলা গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে নেই। এরপর ভালোভাবে নেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই ।
ধাপ ৫
মসলা গুলো নিচে লেগে গেলে মাছ গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে নেই । এরপর ভালোভাবে নেড়ে দেই ।
ধাপ ৬
মাছ গুলো ভালো ভাবে কষিয়ে নেওয়ার জন্য পরিমান মতো পানি দিয়ে নেই। এরপর নেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নেই।
ধাপ ৭
মাছ গুলো কষিয়ে নেওয়ার পর কচুর ডাটা গুলো দিয়ে নেই। এরপর পরিমান মতো আবার একটু পানি দিয়ে নেই । এরপর ভালো ভাবে নেড়ে দেই।
ধাপ ৮
মাছ এবং কচুর ডাটা গুলো ভালো ভাবে সিদ্ধ হয়ে এলে পরিষ্কার একটি প্লেটের মধ্যে নামিয়ে নেই।
অবশেষে তৈরি হয়ে এলো সুস্বাদু বাটা মাছের রেসিপি। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনারা আপনাদের মহা মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
রেসিপি | কচুর ডাটা দিয়ে সুস্বাদু বাটা মাছের রেসিপি |
---|---|
ছবি তোলার মাধ্যম | Realme c 21 |
ফটোগ্রাফার | @bobitabobi |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি মোছাঃ ববিতা আক্তার বিথী। আমার ইউজার নেম @bobitabobi। আমি পেশায় একজন ছাত্রী। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। আমার ভালো লাগে বাংলায় কথা বলতে। এই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার পাশে থাকবে। আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে এসে উপস্থিত হতে পারি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপু আমার কাছে মনে হয় যে, মাছে যতো বেশি কাঁটা সেই মাছ ততো বেশি সুস্বাদু হয়। আপনি সত্যি বলেছেন বাটা মাছে আছে একটু বেশি কাঁটা হলেও অনেক সুস্বাদু হয়। কচুর ডাটা দিয়ে বাটা মাছের রেসিপিটি কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বী ভাইয়া যে মাছে যত বেশি কাটা সে মাছ খেতে তত বেশি সুস্বাদু লাগে।
কচুর ডাটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে বাটা মাছ দিয়ে কখনো কচুর ডাটা রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুবই মজা হয়েছে। রান্না করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু কচুর ডাটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন অনেক মজা লাগবে।
ধাপে ধাপে সম্পন্ন করছেন আপনার আজকের রেসিপি-র কার্যক্রম। যেখানে কচুর লতি বা কচুর ডাটা সাথে বাটা মাছ রান্না করে দেখিয়েছেন। রান্নার সম্পূর্ণ কার্যক্রম ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
আপু আপনি কচুর ডাটা দিয়ে বাটা মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে কচুর বাটা দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। তবে খুব ছোট বেলায় কচুর বাটা দিয়ে চিংড়ি মাছ ভুনা খেয়েছি। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন মাছ দিয়ে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপনি খেতে অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
বাটা মাছটা আমার খেতে বেশ ভালোই লাগে যদিও অনেক কাটা থাকে তারপরও।তবে আমি সবসময়ই ভুনা অথবা বেগুন দিয়ে রান্না করে খেয়েছি কখনও কচুর ডাটা দিয়ে খাওয়া হয়নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কচুর ডাটা দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি এর আগে কয়েকবার খেয়েছিলাম তবে বেশ কিছুদিন যাবত এই রেসিপিটি আর খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আসলে আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এই মাছের কাঁটা একটু বেশিই থাকে ।যার কারণে এই মাছটি আমি খাই না ।তবে আপনি আজকে কচুর ডাটা দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালই লাগবে। বেশ ভাল ছিল আপনার রান্নার প্রণালী। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
বাটা মাছ আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি৷ আর এরকম একটি রেসিপি দেখে এই মাছের প্রতি ভালোবাসা আরো অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে গেল৷ আপনার এই রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাটা মাছ আমি তেমন খাইনা। তবে আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে কিন্তু বেশ খেতে মন চাইছে। কারন এত সুন্দর করে বাটা মাছ দিয়ে কচুর ডাটা রান্না করেছেন দেখেই তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর আপনার রান্না করা তরকারি কিন্তু বেশ সুস্বাদু হয়েছে। সেটা তরকারির কালার দেখেই বোঝা যাচেছ।
জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কচুর ডাটা দিয়ে সুস্বাদু বাটা মাছের রেসিপি তৈরি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে বাটা মাছ যে কোন সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে যদি বাটা মাছ ভাজি করে খাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির প্রতিটি স্টেপ আমাদের মাঝে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়া হয়