মজাদার কচুর পাতা ভর্তা রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা
আজ ২৮ই ভাদ্র - ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - রোজ মঙ্গলবার- ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
---|
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার ও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে এসে হাজির হলাম নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু কচু শাক ভর্তার রেসিপি শেয়ার করব। কচু শাক ভর্তা রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মজাদার এই রেসিপি তৈরি করা যায়। আমাদের বাসায় প্রায় এই রেসিপি তৈরি করা হয়। এই রেসিপি খুব অল্প উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায়। আমার রান্না করতে অনেক ভালো লাগে তাই ভালো লাগার রান্না গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আরো ভালো লাগে। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক কচু শাক ভর্তার রেসিপি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | কচু শাক | পরিমাণ মতো |
২. | কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
৩. | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
৪. | লবণ | স্বাদমতো |
৫. | তেল | পরিমাণ মতো |
৬. | রসুন কুঁচি | পরিমাণ মতো |
রান্না করার প্রক্রিয়া
ধাপ ১
প্রথমে কচুর পাতা গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নেই। এরপর পরিষ্কার একটি পাত্রের মধ্যে রেখে দেই।
ধাপ ২
পরিষ্কার একটি কড়াই চুলার মধ্যে বসিয়ে দেই। এরপর পরিমান মতো পানি দিয়ে নেই। এরপর কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি ও রসুন দিয়ে নেই।
ধাপ ৩
এরপর পরিমান মতো তেল ও পানি কড়াই এর মধ্যে দিয়ে নেই।
ধাপ ৪
এরপর পানির মধ্যে কচুর পাতা গুলো দিয়ে নেই। এরপর ভালোভাবে সিদ্ধ করে নেই।
ধাপ ৫
কড়াই এর মধ্যে পরিমান মতো তেল দিয়ে নেই। এরপর শুকনো মরিচ গুলো দিয়ে ভালো ভাবে ভেজে নেই।
ধাপ ৬
পরিমান মতো লবণ দিয়ে শুকনো মরিচ গুলো ভালো ভাবে মেখে নেই। এরপর কচুর পাতা গুলো দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নেই।
ধাপ ৭
কচুর পাতা গুলো ভালোভাবে মেখে নিয়ে পরিষ্কার একটি প্লেটের মধ্যে সাজিয়ে নেই।
অবশেষে তৈরি হয়ে এলো সুস্বাদু কচুর পাতা ভর্তা রেসিপি। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনারা আপনাদের মহা মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
রেসিপি | মজাদার কচুর পাতা ভর্তার রেসিপি |
---|---|
ছবি তোলার মাধ্যম | Realme c 21 |
ফটোগ্রাফার | @bobitabobi |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি মোছাঃ ববিতা আক্তার বিথী। আমার ইউজার নেম @bobitabobi। আমি পেশায় একজন ছাত্রী। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। আমার ভালো লাগে বাংলায় কথা বলতে। এই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার পাশে থাকবে। আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে এসে উপস্থিত হতে পারি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
কচু শাক আমার অনেক পছন্দের। কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে যা আমাদের শরীর যেন খুবই উপকারী। এশাক মানুষের রক্ত তৈরি করতে সহায়তা করে। আপনি খুব সুন্দরভাবে কচুর শাক ভর্তা আমাদের মাঝে শেয়ার দেখে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু
দারুন একটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু ।আসলে কচুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে এবং এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যেহেতু এভাবে আমার কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। আর গরম গরম ভাতের সাথে লেবু দিয়ে এভাবে কচু পাতার ভর্তা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদুও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি কখুনো কচুর পাতা ভরতা খাইনি ঘন্ট খেয়ছি।অনেক ভাল লাগলো আপনার রেসিপিটা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
মজাদার কচুর পাতা ভর্তা রেসিপি দেখে তো লোভ লেগে গেল। কেননা অনেকদিন থেকে আমার এই রেসিপিটি খাওয়া হচ্ছে না। আমার ভাবিকে বলেছিলাম খুব স্বাদ করে কচুর ভর্তা রেসিপিটি তৈরি করে দিতে। কারণ তার হাতের কচুর পাতা ভর্তা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।তাই খুব শীঘ্রই এই রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার চেস্টা করবো।যাইহোক,লোভনীয় ও সুস্বাদু কচুর পাতা ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কচুর শাক রান্না শুনেছি কিন্তু ভর্তা করে খাওয়া যায় জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। তবে যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন কচুর শাকে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এই ভর্তা গরম ভাত আর সাথে লেবু নিয়ে খেতে দারুণ মজা হবে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কচুর পাতা ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আমি যখন গ্রামের বাড়িতে যাই তখন আমার জন্য আমার দাদী কচু ভর্তা করে। কারণ তাদের খুব ভালো ভাবেই জানে আমি কচু বার্তা অনেক পছন্দ করি।যাই হোক আজকে আপনার তৈরি কচু বার্তা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর ভাবে কচু ভর্তা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কচুর শাকের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই শাক রান্নার রেসিপি দেখে। খুবই চমৎকারভাবে রান্নার কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি।
আপু রান্না করতে আপনি অনেক পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। কচুর পাতার ভর্তা রেসিপি খাইতে সব সময় অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আমার কাছে।আপনার এই রেসিপিটিতে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর স্বাদ হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
কচুর পাতা ভর্তা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে কচুর পাতা ভর্তা শরীরের জন্য উপকারী। এধরনের খাবার গুলো আমাদের প্রতিনিয়ত খাওয়া দরকার। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।