এক জেলের গল্প।।২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটি জেলের গল্প লিখতে চলেছি।আশা করি ভালো লাগবে।
একটা সময়ের কথা।গঙ্গার পাড়ে ছোট্ট একটা গ্রামে বাস করত রামু নামের এক জেলে।রোজ সকালে সূর্য ওঠার আগেই সে নৌকো নিয়ে নদীতে যেত মাছ ধরতে।তার উপার্জনে সংসার চলত কষ্টে, কিন্তু সে কখনো হতাশ হত না।
একদিন রামু নদীতে জাল ফেলে বসে ছিল। অনেকক্ষণ পরেও জালে কোনো মাছ ধরল না। সে ভাবছিল আজ হয়তো খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হবে।এমন সময় হঠাৎ করেই জালটা ভারী হয়ে গেল।রামু খুশিতে জাল টেনে তুলল। কিন্তু অবাক হয়ে দেখল জালে কোনো মাছ নেই বরং একটা মাটি চাপা পড়া পুরোনো সোনার ঘটি উঠে এসেছে।ঘটির ওপর ময়লা জমে থাকলেও রামু বুঝতে পারল এটি কোনো সাধারণ ঘটি নয়।
রামু ঘটিটা হাতে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল।ঘটির গায়ে খোদাই করা কিছু লেখা ছিল কিন্তু পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না।সে ঘটি নিয়ে বাড়ি ফিরল এবং তার স্ত্রীর কাছে দেখাল।স্ত্রী তো অবাক! সে বলল, “এটা তো খুব পুরোনো, কিন্তু এরকম সোনার ঘটি আমাদের কোনো কাজে লাগবে না। আমরা এটা বেচে দিয়ে কিছু টাকা পেলে ভালো হয়।”
পরের দিন রামু সেই সোনার ঘটি নিয়ে গেল শহরের এক সোনার দোকানে।দোকানদার ঘটি দেখে চোখ বড় বড় করে বলল, “এই ঘটি তো খুবই মূল্যবান!আমি তো এরকম কিছু কখনও দেখিনি!”দোকানদার আরও বলল, “এটা কোনো রাজবাড়ির সম্পদ হতে পারে।”
দোকানদার ঘটির মূল্য নির্ধারণ করে রামুকে বেশ কিছু টাকা দিল।এত টাকা রামু আগে কখনও একসঙ্গে দেখেনি।সে টাকা নিয়ে খুব খুশি মনে বাড়ি ফিরল।
এরপর রামু আর তার পরিবারের দুঃখ-দুর্দশার দিন শেষ হয়ে গেল।সে নতুন একটি নৌকো কিনল তার ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করল আর তার স্ত্রীর জন্য নতুন কাপড় ও গয়না কিনে দিল। গ্রামবাসীরাও তার পরিবর্তিত অবস্থায় অবাক হল।
কিন্তু রামু কখনো সেই সোনার ঘটির কথা কাউকে জানাল না।সে বুঝেছিল জীবনের সুখ শুধুমাত্র ধনে-সম্পত্তিতে নয় বরং সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবনে।সোনার ঘটিটি হয়তো তাকে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছিল কিন্তু রামু সত্যিকারের সুখ খুঁজে পেয়েছিল তার প্রিয়জনদের ভালোবাসায়।
এইভাবেই রামুর জীবন বদলে গেল কিন্তু সে কখনোই তার পুরনো জীবন ভুলে যায়নি।সেই নদীর পাড়ে বসে মাঝে মাঝে সে এখনও মাছ ধরে আর ভাবে—জীবনে কখন কোন অলৌকিকঘটনা ঘটে যায় তা কেউ বলতে পারে না!
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
would you add a summrize eng. translate
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বাহ্! সোনার ঘটি পেয়ে তো রামুর জীবনটা একেবারে পাল্টে গেলো। আসলে যাদের জীবনে অভাব অনটন থাকার পরেও হতাশ না হয়ে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করে,মহান সৃষ্টিকর্তা তাদের ভাগ্য এমনিতেই পরিবর্তন করে দেয়। আসলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সবারই ধৈর্য্য ধারণ করা উচিত। যাইহোক জেলের গল্প পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পটির মাঝে খুব সুন্দর একটা শিক্ষা ছিলো, কিন্তু আমাদের অবস্থান ঠিক উল্টো আমরা মুহুর্তের মাঝেই অতীত ভুলে যাই।
বেশ দারুন একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পরিস্থিতি যার যেমনই থাক ধৈর্যের সাথে সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রেখে যদি জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা তার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়।সোনার ঘটি পেয়ে রামুর জীবনটাই পরিবর্তন হয়ে গেল।জীবনে কখন কার অলৌকিক ঘটনা ঘটে যেতে পারে তা কেউ বলতে পারে না এটা ঠিক বলেছেন দাদা। অনেক ধন্যবাদ দারুন একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এক জেলের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সোনার ঘটি পেয়ে রামুর কপাল খুলে গেল। রামু অনেক দিন যাবৎ ধৈর্য ধরে থাকায় সৃষ্টিকর্তা রামুকে আর্থিক স্বচ্ছলতা দান করছে। তাই অতীতকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দারুণ একটি গল্প আমাদের সঙ্গে ভাগ করে দেওয়ার জন্য।
দাদা আপনার লেখা গল্পটি পড়ছিলাম আর চোখের মধ্যে ভেসে উঠছিল দৃশ্য গুলো।মনে হচ্ছিল ঠাকুরমার ঝুলির গল্প শুনছি।গল্পটিতে একটি ম্যাসেজ ছিল, আর তা হচ্ছে সবকিছুর উর্ধ্বে সুখে থাকা।খুব বেশী টাকা-পয়সাতে সুখ নেই।সুখ আছে প্রিয়জনদের ভালোবাসায়।গল্প পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।ভালো থাকবেন সব সময়।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা সত্য, জীবন কার কখন কিভাবে বদলে যাবে তা আসলে বলা খুব মুশকিল ভাই। গল্পের মাধ্যমে দারুণ একটা বার্তা দিয়েছেন। ভালো লাগলো লেখাটি।