মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে ,সত্যি এটা খুবই হতাশাজনক
একদিন সময়ের ব্যবধানে মিটে যাবে অনেক দ্বন্দ্ব আবার মজবুত হবে বিশ্বাস গুলো।আর সেই দিনে চলবে বিজয়রথ।বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজকে আমার লেখা শুরু করছি।
আজকে আমি নিজের কিছু দৃষ্টিভঙ্গি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।এই পৃথিবীতে সৃষ্টির সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ।মানুষের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা মানুষকে দিয়েছে শ্রেষ্ঠত্ব এর আসন।শতাব্দীর পর শতাব্দী মানুষ নিজের বুদ্ধিমত্তা কে অনেক ঘষামাজা করে ধারালো করেছে।তার ফলস্বরূপ আমি আপনি পেয়েছি প্রযুক্তির এই অভাবনীয় সাফল্য।যা আমাদের জীবন কে করেছে অনেক বেশি সহজ ও উন্নত।কিন্তু এতো কিছুর উন্নয়ন হলেও মানবিকতা আর মূল্যবোধ এর কি হলো?
বন্ধুরা আমি যে কথা গুলো বলছি সেগুলো আমার একান্ত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।এগুলোর সাথে আপনাদের মতবিরোধ থাকতে পারে আর সেটা থাকাই স্বাভাবিক।তাই আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য সাদরে গ্রহণযোগ্য।
মূল্যবোধ কি?
'বোধ' একটি বিশেষ্য পদ।যার আক্ষরিক অর্থ হলো চেতনা, উপলব্ধি অথবা অনুমান।তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এটা বোঝা যায় মূল্যবোধ হলো কোনো বিষয় সম্পর্কে ব্যক্তিগত স্থায়ী ধারণা।এটি প্রত্যেক ব্যক্তির একটি স্বতন্ত্র নীতি বা মানদণ্ড যা অন্যের ব্যবহার কে মূল্যায়ন করে।এই মূল্যবোধ হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ।যা মানবিকতা কে প্রতিরক্ষা করে।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মূল্যবোধ আমাদের আজকের যুবসমাজের মধ্যে ভীষণ ভাবে ক্ষয় লাভ করেছে।একটি দৃষ্টান্ত এর মাধ্যমে আমি বিষয়টার প্রতি একটু আলোকপাত করতে পারি।
পশ্চিমবঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন অর্ধ উন্মাদ লোক নগ্নপ্রায় হয়ে রবীন্দ্রনাথ এর গানের তালে নৃত্য করতে দেখা যায়।এই অসভ্য এর নাম রোদ্দুর রায়।সে অনেক অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে যুব সমাজের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।এমনকি একটি ভিডিও বার্তায় সেই বখাটে টা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল কে নিয়ে যে কটূক্তি করেছে যা শোনা ও কোনো সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন লোকের পক্ষে অসম্ভব।কিন্তু হতাশার বিষয় হলো এটাও আজকের বেশ সংখ্যক যুবক খুবই পসন্দ করেছে এবং এটা নিয়ে তারা বেশ মজা করে ও উপভোগ করে।আমি একদিন এমনই একটি ছেলেকে জিগ্যেস করলাম যে এটা তোমরা কি করে মন্যতা দাও।
যে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাঙালির বিবেকের একটি অংশ মনে করা হয় তাদের সম্পর্কে তোমাদের এ কি মনোভাব!ছেলেটি আমার কথা গুলো হেসে উঠিয়ে দিলো।এবং আরো কিছু ছেলেও এমন এক খানা ভাব দিলো যে আমি কি সব অবান্তর কথা বলছি।
তখন বুঝতে পারলাম আজকে যুব সমাজের মূল্যবোধ কি গিয়ে ঠেকেছে।মূল্যবোধের এই ভয়াবহ অবক্ষয় সত্যি এক অশনি সংকেত আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থাপনায়।
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আমাদের সমাজ প্রযুক্তিগতভাবে এগোলেও। মূল্যবোধের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে।
তা না হলে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এই সব কবিদের নিয়ে কিভাবে একটি মানুষ বাজে মন্তব্য করতে পারে। আর তা আমরা নির্লজ্জের মত মুখ বুঝে শুনছি, মজা নিচ্ছি।
আমিও এই রোদ্দুর রায়ের গান গুলো কিছুটা শুনেছি। তবে নাচের ব্যাপারটি আমি জানি না কারণ আমার চোখে পরেনি। কিন্তু গান যে গেয়েছে তা আমি শুনেছি।ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই জঘন্য লেগেছিল যখন দেখেছিলাম। কারণ সে মুখের অঙ্গভঙ্গি টা এমন ভাবে করছিলো যাতে বুঝাই যাচ্ছিলো যে যাদের গানগুলো গাইছিল তাদেরকে ভীষণ ভাবে অপমান করছিলো। আর কাউকে অপমান করা বা কারো শিল্পকে অপমান করা কখনোই কোন ভালো মানুষের কাজ হতে পারে না। তাই জন্য আমি বলবো আমিও আপনার সাথে একেবারেই একমত।
ঠিক বলেছেন দাদা, মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের বুদ্ধিমত্তা মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে। মানুষের বুদ্ধিমত্তার কারণে আমরা পেয়েছি প্রযুক্তি। কিন্তু মানুষের মূল্যবোধ এখন যেন দিনে দিনে হীনো হয়ে যাচ্ছে।রোদ্দুর রায়ের গান কখনো শুনিনি। রবীন্দ্রনাথের গানে নাচ এবং নজরুল ইসলাম কে নিয়ে কটুক্তি করছে খুব দুঃখের বিষয়।আজ যুবসমাজ এটিকে পছন্দ করছে। দাদা, যুব মাসজ ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে মূল্যবোধ বলতে তাদের মধ্যে নেই। তারা খারাপ টা ভালো মনে করছে। তবে এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুব সমাজ একদম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। রবীন্দ্রনাথ নজরুল আমাদের বাঙালির গর্ব তাদেরকে অপমান করা তাদের শিল্পকে অপমান করা আমি মোটেও পছন্দ করবোনা এবং করিনা।ধন্যবাদ দাদা।
রোদ্দুর রায় এর বিষয়ে আজকে জানলাম দাদা। আসলে কিছু বলার না ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা আমাদের উঠে গিয়েছে এখন। আমাদের পবিত্র কুরান শরিফে আছে মানুষ শ্রেষ্ঠ। আবার আল্লাহ নিজেই বলেছেন এই মানুষ জাতীর মধ্য কিছু রয়েছে এমন যারা পশুর চাইতেও খারাপ ।
মানুষের মূল্যবোধ দিনদিন আসলেই কমে যাচ্ছে। আমি মনে করি এর জন্য দায়ী সামাজিক অবক্ষয়। বর্তমানে বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীদের অন্যতম লক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে জনপ্রিয়তা পাওয়া। সেটা যেভাবেই হোক। তারা কি করছে, তাদের এসব কর্মকাণ্ড ধরা সমাজ এবং চারপাশে কি প্রভাব পড়ছে এ ব্যাপারে তাদের বিন্দুমাত্র ভাবার সময় নেই। এমনকি বহু লোকজন রয়েছে যারা এই রোদ্দুর রায় কে নিয়ে বিভিন্ন রোস্টিং ভিডিও ইত্যাদি তৈরীর মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছে।ব্যাপারটা খুবই হতাশাজনক।
আমি এই লোকটি সম্পর্কে এই পোষ্ট পড়েই জানলাম।এতটা অভদ্র লোকটি,যে কষিয়ে একখানা চড় মারা উচিত ছিল কারো এই অসভ্যটাকে।যাইহোক এই সব দেখে কিছু মানুষ মন থেকে মেনে নিতে পারে না, আবার কিছু মানুষ দারুণভাবে মজা নেয় সময় কাটানোর জন্য।এটি খুবই খারাপ ও লজ্জাজনক একটি বিষয়।যেখানে ফুর্তি করার মতো এত কিছু আছে, তারপর ও মহৎ মানুষকে নিয়ে অবান্তর কিছু করা সত্যিই মনুষত্ব লোভ পেয়েছে ও মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে এইসব মানুষদের।এগুলো সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।ধন্যবাদ দাদা।
আসলেই সেই দিনের অপেক্ষায় আছে একদিন সকল দ্বন্দ্ব মিটে যাবে এবং বিশ্বাস গুলা মজবুত হবে।হ্যা এইটা সত্যি কথা যে পৃথিবীর সৃষ্টির সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। এদের অনেক বুদ্ধিমত্তা। বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে অনেক প্রযুক্তি আমরা পেয়েছি এবং তার থেকে অনেক ভালো সুবিধা পেয়েছি।হ্যাঁ আমাদের সকলের ভিতরেই নিজস্ব মূল্যবোধ আছে।আসলেই আমাদের সমাজের মূল্যবোধ একদম অবক্ষয়ের পথে 🥺
রোদ্দুর রয়, ওই ব্যাটাকে আমি মনে হয় চিনতাম। যেতে যেতে পথে, চাঁদ উঠেছিল গগনে এই টাইপ কিছু একটা বলে সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছিল । আসলে বিষয়টা হচ্ছে যুব সমাজ ওকে ভাইরাল করছে । যুব সমাজের খুব বেগ, তাই ভাইরালের ভাইরাসে মত্ত। আসলেই যুবসমাজ দিনদিন তলিয়ে যাচ্ছে, যার কারণেই ভাইরাসগুলো দিন দিন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে ।
এভাবেই দুই বিশ্ব খ্যাত দুই বাংলার পরিচিত মুখকে এমন কটুক্তি করে কেমনে এখন ও চলতে পারে ।ওদের মতো মানুষের জন্য আজ সমাজগুলো কলুষিত হচ্ছে এবং যুব সমাজ ধংস হচ্ছে ।তারা অপরিচিত থেকে যাচ্ছে এমন মহান মানুষের থেকে ।এদের সমাজ থেকে বিতাড়িত করা উচিত।ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর বিষয় শেয়ার করার জন্য।
মূল্যবোধের এই ভয়াবহ অবক্ষয় সত্যি এক অশনী সংকেত আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থাপনায়। কথাটি যথার্থ বলেছেন দাদা। আমাদের যুবসমাজের মধ্য থেকে মূল্যবোধ ব্যাপারটা দিন দিন যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এই রোদ্দুর রায়ের মতো কিছু জঘন্য মানুষের কারণে আমাদের যুব সমাজ আরো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার এটাও বলা যেতে পারে কিছু কুরুচি সম্পূর্ণ মানুষদের জন্য রোদ্দুর রায়ের মতো জঘন্য মানুষ সমাজকে রসাতলের নিয়ে যাওয়ার উৎসহ পাচ্ছে। ব্যাপারটি সত্যি অনেক দুঃখজনক আমাদের জন্য।