অবশেষে বাড়ির পাশে কাঁচা রাস্তাটি পাকা হয়ে গেল।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১১/০৬/২০২৪) রোজ: মঙ্গলবার।
💞 শুভ জন্মদিন"আমার বাংলা ব্লগ"💞
এইতো কয়েকদিন আগে সকাল বেলায় গাড়ির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এরপরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বের হয়ে দেখি রাস্তার চারি পাশে টলি গাড়িতে করে ইট ফেলছে। বিষয়টা প্রথমে দেখে একটু হতভম্ব হয়ে গেলাম। পরে বেশ কয়েকজনের কাছে জানতে পারি যে এই রাস্তা হবে। কখন সত্যি আমার কাছে কথাটা একটু অন্যরকম লেগেছিল। কেননা এর আগে অনেকবার এই রাস্তার মাপ নিয়ে গেছে কিন্তু সেই কাঙ্খিত রাস্তা কাচা কাচাই রয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তার চারিপাশে যেভাবে গাড়িতে করে ইট ফেলেছিল তখন মনে হয়েছিল হয়তোবা এবার তাহলে রাস্তাটা হয়ে যাবে। তবে সকালে এই গাড়ির শব্দে ঘুম ভাঙলেও বেশি ভালো লাগলো এ রাস্তা হওয়ার কথা শুনে। আর এভাবে যখন গাড়িগুলোতে ইট ফেলেছিল ঠিক ওই সময় আমি উপরে এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করি। কি আর বলবো? এই কাঁচা রাস্তায় যদি একটু বৃষ্টি হয় তাহলে আর হাঁটা যায় না সে সাথে গাড়ি তো আর নিয়ে যাওয়াই যায় না। কারণ মাটির রাস্তা যে কারণে বৃষ্টি হলেই কাদা হয়ে যায় ঠিকমতো হাটাও যায় না। তবে যাই হোক সকাল-সকাল এমন একটা ভালো খবর সুখবর শুনতে পেরে খুবই ভালো লেগেছিল।
এভাবে দুপুর গড়াতেই দেখলাম রাস্তার চারিপাশে ইটের ভর্তি হয়ে গেছে। এভাবে রাস্তার এপাশে-ওপাশে ইট ফেলার পরে বালি ফেলা হলো। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন রাস্তার এপাশ ওপাশ চারিপাশে শুধু ইট আর ইট। এমন দৃশ্য দেখে আমি ক্যামেরাবন্দি করে নি।
এরপরে গত শুক্রবারে দেখলাম সকাল আটটার সময় অনেক মিস্ত্রি হাজির হয়েছে। এমনকি তারা রাস্তার কাজের জন্য এসেছে। সত্যি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল যে রাস্তাটা তাহলে এবার হয়েই গেল। এরপরে প্রথমে তারা খুব সুন্দর ভাবে রাস্তার মাপ নিয়ে নিল এভাবে তাদের কাজ শুরু করলো। এমন সময় উপরের ফটোগ্রাফিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এখানে আর রাস্তার কাজে যারা নিয়োজিত তারা খুব সুন্দর করে রাস্তার মাপ নিচ্ছেন। আমি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করেছিলাম তারা একদম ফিতা দিয়ে খুব সুন্দর করে মাপ নিচ্ছিলেন। কেননা রাস্তাটা যদি কোন জায়গায় বড় কোন জায়গায় ছোট হয়। তাহলে সে রাস্তা দেখতেও খারাপ লাগবে এবং বেশিদিন টিকবে না।
এরপরে যখন এই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যায় ঠিক ওই সময় আমাদের ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান সাহেব এখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রথম এখানে ইট গেথে এই রাস্তার কাজ উদ্বোধন করেন। ওই সময় আমি আমার ফোনে ক্যামেরা বন্দি করতে পারেনি। যাই হোক এর পরে কাজ শুরু হতেই চেয়ারম্যান সাহেব খুব সুন্দর ভাবে কাজ গুলো ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা দেখেছিলেন। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন গোলাপি কালারের শার্ট পরা আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান পাশা তিনি খুব সুন্দর ভাবে রাস্তার কাজ দেখছেন। সেই সাথে কোথাও ত্রুটি হলে তিনি তার সংশোধনের জন্য বিশেষভাবে লেবারদেরকে সতর্ক করছেন। এমন সময় আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি।
ঠিক একই সাথে এখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মহোদয় সহ আমাদের গ্রামের সুনামধন্য মেম্বার সাহেব আসাদুজ্জামান আশা। মূলত চেয়ারম্যান সাহেব এবং মেম্বার সাহেব খুব দুজনেই আন্তরিকতার সাথে এই রাস্তার কাজের সাথে খুব সুন্দর দিক নির্দেশনা দিয়েছিল। এভাবে রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গেল। সত্যি রাস্তার কাজ শুরু হওয়া দেখে আমার মধ্যে একটা অন্যরকম ভালো লাগা শুরু করলো। কেননা বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। সেই সাথে গাড়ি ঘোড়া চলার তো কোন উপায় নেই। তবে রাস্তাটি ইটপাড়ায় সে কাদা থেকে মুক্ত পেলাম। যাইহোক এবার বৃষ্টি হলে চলাচলে যেমন একটা সমস্যা হবে না বলে মনে করি আমি। উপরের ছবির দিকে আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ।এখানে চেয়ারম্যান মহোদয় সহ মেম্বার সাহেব তাদের নির্দেশনায় লেবাররা খুব সুন্দর ভাবে রাস্তার কাজ করছেন।
এভাবে বিকেল অব্দি দেখতে পেলাম এ রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশের কাজ শেষ হয়ে গেছে। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ইটপাড়ায় রাস্তাটি একটু উঁচু হয়েছে সেই সাথে দেখতে কিন্তু সেই সুন্দর লাগছে। আরেকটা বিষয় খুবই ভালো লাগছে নতুন রাস্তায় হাটাহাটি করতে। আরো ভালো লাগছে কাদা থেকে মুক্তি পেয়ে। এভাবেই খুব সুন্দর করে এই রাস্তার কাজ হচ্ছিল। এত সুন্দর রাস্তা হয়ে গেল বিষয়টা দেখে ক্যামেরাবন্দি না করে আর থাকতে পারলাম না। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই রাস্তাটি মেঠো পথ বরাবর বয়ে চলেছে। তবে রাস্তায় যেভাবে ইটপাড়া হয়েছিল এটাকে সবাই হিয়ারিং এর রাস্তা বলে থাকে। আর এখানে ইট গুলো খাড়াখাড়ি ভাবে দেওয়াই রাস্তাটি মজবুত হয়েছে। কেননা ইট বিভিন্নভাবে পেড়ে রাস্তা তৈরি করা যায় কিন্তু এই রাস্তাটি মজবুত করাই ইটগুলো এভাবে খাড়া খাড়ি দেওয়া হয়েছে। এভাবে ইটপাড়ায় রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে বেশ মজবুত হয়েছে।
তবে রাস্তায় যখন ইট দেয়া হলো এভাবে রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলো। কিন্তু এই রাস্তা সম্পূর্ণ হওয়ার মধ্যে একটি ধাপ বাকি ছিল। সেটা হচ্ছে পুরা রাস্তার উপরে বালি দেওয়া। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ইট দেওয়ার উপরে বালি ছিটানো হয়েছে। কেননা ইট গুলো সারিবদ্ধ ভাবে রাস্তায় দেওয়ার পরে ইটের মাঝখানে যে গ্যাপ অংশ রয়েছে সে গ্যাপ অংশ পূরণ করার জন্য মূলত বালি দেয়া হয়েছে। আর এই বালি গুলো যখন ইটের ঐ ফাঁকা স্থানটুকু দখল করে নেবে বা গ্যাপ অংশটুকু পূর্ণ হয়ে যাবে । তখনই রাস্তাটি আরো বেশি মজবুত হয়ে যাবে। আর রাস্তাটি মজবুত করার জন্য মূলত একদম শেষ অংশে পুরো রাস্তায় বালি ছিটে দেওয়া হয়।
টেবিল-০১ | টেবিল-০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছো ভাই,অবশেষে বাড়ির পাশে কাঁচা রাস্তাটি পাকা হয়ে গেল। এই রাস্তা তৈরি মানে সাদগায় জারিয়া এ রাস্তায় যত মানুষ হাঁটবে অনেক উপকৃত হবে তারা কারণ বৃষ্টির পানিতে অনেক কাদা জমে থাকতো। সেই কাদায় এখন আর জমবে না, চেয়ারম্যান সাহেবের উদ্যোগে এই রাস্তাটি হল শুনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামে যদি কাঁচা রাস্তা থাকে তাহলে যে কি ভোগান্তির শিকার হতে হয় সেটা আমি জানি ভাইয়া।আপনার গ্রামের রাস্তা পাঁকা হয়ে যাচ্ছে দেখে বেশ ভালো লাগলো।আমার বাড়ির পাশে এমন একটা রাস্তা আছে যেটার বেশ কয়েকবার মাপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু এখন অব্দি কাজ শুরু হয়নি। তবে শুনছি এবার নাকি হবে। যদি হয় তাহলে তো বেশ ভালই হবে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কাঁচা রাস্তা যে কত অসুবিধার যারা গ্রামে বাস করে তারাই জানে।অবশেষে আপনাদের রাস্তা পাকা হয়ে গেল।এখন থেকে গ্রামের লোকজনদের বেশ উপকার হলো।ভালো লাগলো অনুভূতি মূলক পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বাড়ির পাশের রাস্তা পাকা হলে অনেক ভালো হয়। কারন রাস্তা কাঁচা থাকলে বৃষ্টি বাদলের সময় অনেক সমস্যা হয়। যেহেতো চেয়ারম্যান সাহেব নিজে এসে রাস্তার কাজের তদারকি করলেন,তাহলে অবশ্যই রাস্তার কাজ ভালো হয়েছে। এমন চেয়ারম্যান খুব কমই আছে। যায়হোক আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।