চাউল দিয়ে তৈরি আনকমন জিনিস খাওয়ার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১১/০৫/২০২৪) রোজ: শনিবার।
💞 শুভ রাত্রি 💞
এই মুহূর্তে আপনারা যারা আমার পোস্টটি দেখছেন তারা আমার টাইটেল দেখেই হয়তো একটু অবাক হয়েছেন। আসলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি সত্যি এটা হচ্ছে আমার কাছে আনকমন। আসলে আনকমন কিছু খাওয়ার অনুভূতিই আলাদা। এইতো কয়েকদিন আগে আছরের আগ মুহূর্তে দেখছি মহল্লার মধ্যে হইচোই বেধে গিয়েছে। যে চাউল দিয়ে খুরমা তৈরি করে দিচ্ছে । সত্যি বিষয়টা আমার কাছে প্রথমে অদ্ভুত লেগেছিল। আমি আবার বলছি এটা আবার সবাই কি বলছে প্রথমে আমি একটু কথাটা মাথায় নিয়ে ছিলাম না। পরবর্তীতে দেখি সবাই চাউল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে এবং বস্তা ভর্তি করে কি যেন নিয়ে আসছে। তাই আমি একটু ফাঁকাই বের হয়ে দেখি অনেক মানুষের ভিড়। তবে একটা বিষয় বলে রাখি দিন দিন প্রযুক্তির ব্যবহারে কতোই না কিছু তৈরি হচ্ছে। আসলে অবাক করার বিষয় আজ মানুষ বিজ্ঞান ব্যবহার করে অনেক রকম পদ্ধতি তৈরি করেছে। যা কি না প্রথমে দেখলেই অবাক বিষয় লাগে। যাই হোক মহলের মধ্যে দেখছি অনেকেই ভাবি চাউল নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমিও আধা কেজি চাউল একটি বাটিতে করে নিয়ে গেলাম। যে দেখতে পেলাম একটি মেশিন সেটি স্যালো মেশিন দ্বারা চলছে। স্যালো মেশিনের মধ্যে চাউল গুলো প্রথমে চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিচ্ছে পরবর্তীতে এটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঢেলে দিচ্ছে। এবং মেশিনের মধ্য দিয়ে দেখতেছি কেমন যেন একটা বের হয়ে আসছে। আধা কেজি চাউল সাথে তারা একটু চিনি দিচ্ছে এবং আনকমন কিছু তৈরি করে দিচ্ছে। আসলে এটার যে কি নাম আমি নিজেও জানিনা। তবে আনকমন জিনিসটা দেখতে পেয়ে খাওয়ার খুব আগ্রহী হলো। তাই আধা কেজি চাউলের সাথে ২০ টা টাকা নিয়ে গেলাম পরবর্তীতে দেখি আমাকে বলল বাসা থেকে একটা বস্তা নিয়ে আসো। এরপরে আবার বাসায় এসে বাস্তা নিয়ে গেলাম। বাস্তা নিয়ে যাওয়ার পরে আমি যে আধা কেজি চাউল নিয়ে গেছিলাম ওইটাই দেখলাম তারা চিনি মিশিয়ে একটু মিষ্টি করে নিল।এরপরে তাদের মেশিনের হপারের মধ্যে দিয়ে দিলো। এরপরে দেখতে ছিলাম দূরের মতো লম্বা হয়ে এই চাউল মিশানো চিনি খুব সুন্দর ভাবে নকশা হয়ে বেরিয়ে আসছে এবং এগুলো খেতে খুবই মচমচে।
আর আমি বাসা থেকে যে বাস্তা নিয়ে গিয়েছিলাম সেই বাস্তাটির প্রায় আধা বস্তা এই মচমচে হয়ে গেল। এমন সময় যখন আমার আধা কেজি চাউল ফুরিয়ে গেল তখন এই বাস্তাটি আমার হাতে ধরিয়ে দিলো এবং ২০ টাকা নিলো।
সাথে আমি গামলা নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই বাস্তা থেকে বের করে গামলায় যখন ঢেলে ছিলাম তখন পুরা এক গামলা তারও বেশি হয়েছিল। আসলে দেখতেই অদ্ভুত লাগছে কি আনকমন জিনিস রে বাবা। ফার্স্ট টাইমে সবাই বলছিল যে চাউল দিয়ে খুরমা তৈরি হচ্ছে বিষয়টা আমার কাছে খুবই অদ্ভুত লেগেছিল তাই আমি দৌড়ে গিয়ে দেখেছিলাম এবং এভাবে আধা কেজি চাউল দিয়ে এটা তৈরি করে নিয়ে এসেছিলাম। তবে এই মচমচে এখনো আমার বাসায় রয়েছে এগুলো আমি মগ ভর্তি করে রেখে দিয়েছি খেতে খুবই স্বাদ লাগছে। আর এমন আনকমন খাবার আমি আগে কখনো দেখিনি এবং খাইও নি। সত্যি বেশ দারুন লাগছে খেতে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আপনার এই আনকমন জিনিস আমাদের এদিকে ও এসেছিল। অনেকেই চাউল দিয়ে পিঠা বানিয়েছে আমি পিঠা খেয়েছি কিন্তু কখনো সামনে দেখিনি। সত্যি বিজ্ঞানের যুগে আমাদের সবই সম্ভব হচ্ছে। এটা সত্যি অনেক ভালো লাগার একটা খাবার। খেতেও অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু খেতে মজার ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এ কেমন জিনিস, আজকেই প্রথম দেখলাম আর আজকেই প্রথম শুনলাম। আসলে আগে দেখতাম চাল দিয়ে হয়তো গুড়ো বা চালের আটা দিয়ে সেমাই বানানো হতো। কিন্তু এভাবে গোটা চাল দিয়ে তার সাথে চিনে মিশিয়ে এত সুন্দর একটা খাওয়ার জিনিস তৈরি করে ফেলল। ভাবতে অবাক লাগছে। যাই হোক খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতিটা পড়তে পেরে।
কি আর বলবো আপু প্রথমে আমি অবাক হয়েছিলাম কিন্তু খেয়ে এবং নিজ চোখে দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। তবে এটার নাম এখনো সঠিক জানিনা।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি ইউনিট পোস্ট শেয়ার করেছো। আসলে চাউল দিয়ে সম্পাড়ি তৈরি করে খেতে বেশ ভালো লাগে। কালকে আমাদের গ্রামে এই লোক এসেছিল পাড়ার সকল ছেলেরা চাউল ও চিনির সমন্বয়ে তৈরি করে খেয়েছিল আমিও খেয়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তুমিও খেয়েছ বিষয়টা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
এগুলোর নাম কান মুচড়ি।আমাদের এলাকায় অনেক আগে থেকেই পাওয়া যায়।আমরা ছোট বেলা থেকে এই কানমুচড়ি খাই।মেলায় খুব পাওয়া যায় এসব।তবে ইদানিং বাড়ি বাড়ি এসে কানমুচড়ি বানিয়ে দিয়ে যায়। আপনার প্রথমবার এগুলো বানানো দেখে ও খেয়ে ভালো লেগেছে জানতে পারলাম।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এই আনকমন জিনিসের নামটা জানিয়ে দেয়ার জন্য। আর আপনার ওই দিকে আগে থেকে পাওয়া যায় বিষয়টা জানতে পেরে ভালো লাগলো।
আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই ভাল লাগল। এভাবে কখনো চাউল দিয়ে খুরমা তৈরি করতে দেখিনি। খুব সহজেই খুরমা তৈরি করছে বিষয়টি প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেই সহজ হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির ব্যবহারে সবকিছু দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। এই বিষয়টি এই প্রথম দেখলাম অনেক ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমি নিজেও জানিনা যে এই আনকমন জিনিসের নাম কি। তবে আপনি আমার পোষ্টের মাধ্যমে প্রথম দেখতে পেলাম জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।
প্রত্যেকটা গ্রামে গ্রামে এখন এই মেশিনগুলো যায়। আমার মাকেও দেখলাম অনেকগুলো বানিয়ে রেখেছেন। দুধ চিনি দিয়ে খেতে বেশ মজা লাগে।তবে মেশিনটা কখনো দেখা হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে নিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া চাল দিয়ে তৈরি আনকমন জিনিস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আরে বাহ তাহলে তো দুধ দিয়ে চিনি দিয়ে খেয়ে ট্রাই করে দেখবো। অসংখ্য ধন্যবাদ।