আপুর অসুস্থতায় রাতের ঘুম হারাম।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(২৫/০১/২০২৪) রোজ: বৃহস্পতিবার।
এইতো গত দুইদিন আগে খাবার শেষ করে আমি পড়তে বসেছি। এরপরে প্রায় রাত ৯:৩০ টার দিকে বাবার কাছে ফোন আসে আপু খুব অসুস্থ। আপু শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার কাছে ফোন করেছে। এবার বাবা বাড়িতে এসে তাড়াহুড়া বাদিয়ে দেয় আপুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারন আমার আপুর পেটে বাচ্চা তাই আমাদের খুবই টেনশন হয়েছিল যে বমি হচ্ছে জানিনা কত সমস্যাই হচ্ছে। কারণ গর্ভবতী অবস্থায় যদি বারবার বমি করে তাহলে সেটা একটু জটিলতা হয়ে যায়। তাই আমাদের খুবই টেনশন হয়েছিল। রাত প্রায় সাড়ে নয়টা বাজে। এমন সময় আমি হঠাৎ রেডি হয়ে নিলাম যেহেতু এখন শীত পড়ছে তাই শীতের পোশাক খুব ভালোভাবে পরে নিলাম। রাত সাড়ে নয়টা বাজে অর্থাৎ এই সময় গাড়ি পাওয়া খুব মুশকিল। তাই ছোট আব্বুর পালসার গাড়ি নিয়ে আমি আর আমার বাবা বাড়ি থেকে বের হলাম। এরপরে আপুর ফোন থেকে ফোন আসে দুলাভাই বলে যে আমরা মিনিবাসে করে গাংনী নিয়ে যাচ্ছি তোমরা আসো।
এদিকে দেখছি গাড়িতে খুব একটা বেশি তেল নেই অর্থাৎ আমাকে তেল ভরতে হবে। আমাদের এদিকে আবার সাড়ে নটার আগে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। গাড়িতে তেল নাই আবার দোকান বন্ধ তাই একদম ডাইরেক্ট গাংনীর দিকে রওনা দিলাম। তবে জান নিতে যাওয়ার আগে আমাদের এদিকে একটা তেল পাম্প আছে সেখান থেকে ১০০ টাকার তেল নিয়ে নিলাম। আমার বাসা থেকে গান নিতে যেতে মোটরসাইকেলে গেলে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ মিনিট বা তারও কম। কিন্তু ঐদিন প্রচন্ড শীত ছিল এবং কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না তারপরেও খুব জোরে গাড়ি চালিয়ে আমি গিয়েছিলাম। এরপর আমি প্রায় 9:45 এর দিকে গাংনীতে পৌঁছায়। গিয়ে দেখে পুরা এক গাড়ি ভর্তি করে লোক এসেছে। আমার আপুর সাথে এসেছিল আমার ফুফু এবং আমার আপুর বড় যার মেয়ে এবং ছোট যা। আসলে এত রাতে সবাই এসেছে দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আমি বুঝতে পারলাম আসলেই আমার আপুর সাথে সকলের সম্পর্কই খুব ভালো তাই তারা রাত্রেও আমার আপুর অসুস্থতায় এগিয়ে এসেছে।গিয়ে দেখি আপুরা হসপিটালে গিয়েছে এবং সেখানে ডাক্তার আপুকে সেবা দিচ্ছে । যে জানতে পারলাম আপু হঠাৎ করে বমি করেছিল এবং বমি যেন থামছিল না আর মাথা ঘুরছিল সাথে। তবে ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট দেয়ার পরে ঔষাধপত্র কেনা শেষ করে এবার বাসার দিকে রওনা দিই।
বাসার দিকে যখন রওনা দি তখন বাবা বলল যে তোমার আপুর জন্য বাজার থেকে ফল কিনে দাও। তারপরে আমি হসপিটালে ওখান থেকে বাজারে ব্যাক করি। বাজারে এসে আমি ভাবলাম বেদেনা কিনলে খুবই ভালো হয় কারণ আপুর শরীরটা খুব একটা ভালো নেই । বেদেনা খাওয়ার খুবই প্রয়োজন। এরপর আমি যে ফল বিক্রি করছিলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি বললেন বেদেনা ৩৮০ টাকা কেজি। তাই আমি সেখান থেকে দুইটা বেদেনা ক্রয় করলাম আমার দুইটা বেদেনার দাম নিয়েছিল ২১০ টাকা। আর সেখান থেকে উপরের এই ফলের ফটোগ্রাফিটি আমি সংগ্রহ করি।এছাড়াও আপু ডাব খাওয়ার কথা বলেছিল ডাক্তার মশাই । তাই সেখান থেকে একটি ডাব ক্রয় করেছিলাম । ডাবটির দাম নিয়েছিল আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা ।এরপরে আমরাও আপুদের গাড়ির পিছনে পিছে মোটরসাইকেল নিয়ে আপুর শশুর বাড়িতে যাই। তারপরে সেখান থেকে আমাদের বাসায় ফিরতে আবার প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল এভাবেই সেদিন রাত্রি একটু অন্যভাবেই কেটে গেল। তবে আমার আপু এখন সুস্থ আছে বেশ ভালো আছে আল্লাহর রহমতে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
প্রথমে আপনার আপুর জন্য দোয়া রইল যেন আল্লাহ তাকে সব সময় সুস্থ রাখে। আসলে ভাই গর্ভবতী অবস্থায় তাদের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হয়। এবং তাদের মনোবল সব সময় ভালো রাখতে হয়। আপনারা সবাই তার দিকে ভালো ভাবে খেয়াল রেখেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আর এই সময় ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে খাওয়া-দাওয়া এবং ওষুধ খেতে হয়। শুনে আরো ভালো লাগলো আপনি কিছু ফল কিনেছেন আপনার বোনের জন্য। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যটি শেয়ার করার জন্য।