প্রাইমারি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪।। জুগীরগোফা বনাম কুঞ্জনগর।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৭/০৬/২০২৪) রোজ: শুক্রবার ।
💞 শুভ রাত্রি 💞
গতকালকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার পর একজন এসে আমাকে বলছে কাকু চলো খেলা দেখে আসি। আমি বলছি কিসের খেলা? সে বললো প্রাইমারিদের ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা হচ্ছে। আর এই খেলায় আমাদের জুগীরগোফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টিকে আছে। তাই গতকালকে এই খেলার ফাইনাল ম্যাচ ছিল। নিজের স্কুল জিতে আছে আর খেলা দেখতে যাব না তা তো হয় না। কারণ নিজের স্কুলের ছেলেরা খেলবে ছোটরা তাদের একটু সাজেশন দেওয়ার একটা বিষয় আছে এবং সাহস দেওয়ার একটা বিষয় আছে। আবার নিজ স্কুলের মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে তাই বাসা থেকে বের হলাম খেলা দেখার উদ্দেশ্যে। আমি মাঠে পৌঁছাতেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই টুর্নামেন্টে একদিকে অংশগ্রহণ করেছিল জুগীরগোফা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অপর পাশে ছিল কুঞ্জ নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুইদলের এই হাড্ডা হাড্ডি খেলা দেখার জন্য চলে গেলাম। খেলাটি যেহেতু সরকারি পর্যায়ে তাই সেখানে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ ওসি সাহেব উপস্থিত ছিলেন। এভাবে চেয়ারম্যান এবং ওসি সাহেব দুইজনের উদ্বোধনের মাধ্যমে খেলা অনুষ্ঠিত হলো। এই খেলা উপস্থিত চেয়ারম্যান এবং ওসি মহোদয় তাদের মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে খেলার প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়ে গেল। আমরা সবাই ছিলাম ফুটবল মাঠের দাগের বাইরে। আমি বাইরে থেকে ওই উপরের এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি আমার ফোনে সংগ্রহ করি।
এভাবে রেফারির বাঁশি পড়তেই খেলা শুরু হয়ে গেল। আপনার উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন খেলা শুরু হওয়ার মুহূর্তেই এই ছবিটি ধারণ করা হয়েছে। এভাবে প্রথম পর্যায়ে খেলা দেখতে খুবই ভালো লেগেছিল। এভাবে খুব সুন্দর একটি খেলা উপভোগ করলাম। এই খেলার মোট সময় ছিল ২০ মিনিট অর্থাৎ ১০ মিনিট পর বিরতি।
এভাবে প্রথম পর্যায়ে খেলা ১০ মিনিটের অতিবাহিত হয়ে বিরতি হলো। এ অবস্থায় ৫ মিনিট হাফ টাইম ছিল। এমন সময় আমাদের স্কুলের শিক্ষক খেলায় অংশগ্রহণকারী ছোট্ট ছোট্ট খুদে প্লেয়ারদের মাঝে চকলেট দিলো। আসলে আমিও এই সময় পার করেই আজ এই বয়সে পৌঁছেছি। আমি এই প্রাইমারিতে যখন পড়তাম আমিও এই টুর্নামেন্ট খেলে ছিলাম।
খেলা যখন হাফ টাইমের বাসি দিলো ঐ সময় আমি দুইটা রবো ক্রয় করলাম। কারন দিনটা ছিল খুবই গরম। তাই ভাবলাম একটু ঠান্ডা কিছু খেলে ভালো লাগবে । তাই দুইটা রবো ক্রয় করলাম। আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন আমার হাতে দুইটি রবো। এরপরে আমি একটা নিজে খাই এবং অপরুটি আমার সাথে যে একজন ছোট কাকু ছিল তাকে দিই । খেলার এই বিরতির সময় রবো খেয়ে বেশ ভালো লেগেছিল।
এরপরে ঠিক পাঁচ মিনিট বিরতির পরে আবার দ্বিতীয় আর্ধের খেলা শুরু হওয়ার জন্য রেফারি বাঁশি দিলো।এমন সময় সবাই মাঠে প্রবেশ করলো। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি দল ফুটবল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেছে। এটা হচ্ছে আমার নিজ স্কুল জুগীরগোফা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্লেয়ার বিন্দুরা। তারা যে সময় মাঠে প্রবেশ করে ঠিক ওই সময় আমিও উপরের এই ছবিটা আমার ফোনে ধারণ করি।
এরপরে দ্বিতীয় অর্ধের খেলা শুরু হওয়ার পরে ই আমরা জানতে পারি যে আমাদের স্কুলের বিপক্ষে যে দল খেলেছিল কুঞ্জ নগর প্রাথমিক বিদ্যালয় তারা বড় পিলিয়ার যোগদান করেছে। এটা যেহেতু প্রাইমারির খেলা এখানে হাই স্কুলের কোন ছেলে খেলতে পারবে না। কিন্তু এ শর্ত থাকা তেও কুঞ্জনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় তারা অষ্টম শ্রেণীর একজন ছাত্রকে খেলায় তুলেছিল। বিষয়টা ভালো যোগ দেয়ার জন্য আমাদের গ্রামের সহ আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানাই। এখানে চেয়ারম্যান সহ ইউওনো মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। এরপরে তাদের চূড়ান্ত ডিসিশন নিলো। কিন্তু এই খেলায় শর্তাবলীতে লেখা আছে স্কুলের বাইরে কোন ছাত্র খেলায় তুললে সে দল বাতিল বলে ঘোষণা হবে। তাই আমাদের স্কুল সহ আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকজন বলেছিল যে কুঞ্জ নগর প্রাথমিক বিদ্যালয় দুর্নীতি করেছে তাই তাদের দল বাতিল বলে ঘোষণা করা হোক। এমন সময় আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকজনকে মঞ্চে টাকার জন্য অনুগ্রহ করল এমন সময় আমিও গেলাম গিয়ে উপরের ছবিটি ধারণ করলাম। তবে ওই স্কুলের শিক্ষকরা ইউওনো মহোদয়ের কাছে ক্ষমা চাই তাতে কুঞ্জনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় যে গোল দিয়েছিল সে গোল ক্যানসিল করে পরে আবার খেলা শুরু হয়। শেষমেষ আমার স্কুল হেরে গেল খুবই দুঃখ যে তারা এতো দুর্নীতি করে জিতে গেল। তবে এখন বর্তমান শিক্ষক রাও অনেকটা মিথ্যুক আমি এই খেলার মাধ্যমে জানতে পারলাম। প্রাইমারি স্কুলের খেলায় তারা হাই স্কুলের ছেলেকে সাজিয়ে নিয়ে এসে খেলায় তুলে দিয়েছিল সত্যি বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু আমার স্কুল চাইলে দুর্নীতি করতে পারতো কিন্তু তারা খুব সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে খেলা খেলেছিল। কিন্তু এই দুর্নীতির কবলে পড়ে আমাদের স্কুল ফাইনাল পর্যায়ে গিয়ে হেরে গেল। সত্যিই খুবই বেদনার একটি বিষয়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খেলার মাঝেও আজকাল দেখছি দুর্নীতি হয়। দুর্নীতি হলে তখন তো খেলার আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। তবে আপনাদের স্কুলের টিমটা হেরে গেছে শুনে সত্যি মন খারাপ হলো ভাইয়া। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ এই দুর্নীতির জন্য খেলা দেখার আনন্দটাই হারিয়ে গিয়েছিল। তবে আমার স্কুল হেরে যাওয়ায় আমার খুবই খারাপ লেগেছিল সেই সাথে এখনো বার বার মনে হচ্ছে।
বেশ দারুন একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। যেখানে প্রাইমারি স্টুডেন্টদের খেলাধুলার সুন্দর মুহূর্ত দারুণ বর্ণনা সাথে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর এরই মধ্য দিয়ে আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার সুন্দর মুহূর্ত জানার সুযোগ হল আমার। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের গ্রামের এই খেলার মাঠটা অনেক বড় এবং সুন্দর তাইতো বিভিন্ন ধরনের খেলা আমাদের এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। শুনলাম যে আমাদের গ্রাম নাকি দুর্নীতির শিকার হয়েছে আর সেই কারণে খেলাটা হেরে গিয়েছে। এটা জানতে পেরে খুবই খারাপ লেগেছে।
একদম ঠিক শুনেছেন ।
স্কুল মাঠে খেলাধুলা সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে দেখানোর চেষ্টা করেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং বর্ণনা পড়ে অনেক কিছু ধারণা পেলাম। আপনার ক্যামেরাটা খুবই ভালো। প্রত্যেকটা ফটো কিন্তু দারুণভাবে ধারণ করেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপু ফটো গুলো খুব সুন্দর করে ধারণ করে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আর আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।কিন্তু দুর্নীতি এর শিকারে আমরা হেরে গেছি।
বেশ দারুন একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের গ্রামের এই খেলার মাঠটা অনেক বড় তাই বিভিন্ন ধরনের খেলা আমাদের এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং বর্ণনা পড়ে অনেক কিছু পেলাম। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক চমৎকার হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে সু স্বাগতম ভাইয়া