জেনারেল রাইটিং || আমরা আসলেই কি নিরাপদ!
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের সাথে আমরা আসলেই কি নিরাপদ! শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে চলে আসলাম। আশা করি আজকের জেনারেল রাইটিংটি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে। আসলে আমি সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে কিছু সুন্দর সুন্দর জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার। সেই জেনারেল রাইটিংগুলোর মধ্যে অনেক ধরনের তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি এবং সচেতনতামূলক কিছু কথা বলার চেষ্টা করি। আজকেও আমি সেরকমই একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আসলে আমরা অনেকে অনেক ধরনের কাজে লিপ্ত রয়েছি এবং আমরা অনলাইন ভিত্তিক কাজের প্রতি বেশি মনোযোগী৷ আসলে আমাদের কমিউনিটিতে কাজ করে এবং এই প্লাটফর্মেও যে সকল মানুষজন কাজ করে তারাও বেশিরভাগই অনলাইনে কাজগুলোর প্রতি বেশিরভাগ ঝুঁকে রয়েছে। যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে অনলাইনে ব্যবহার এখন প্রতিনিয়তই বেড়ে যাচ্ছে। এই বেড়ে যাওয়ার যেরকম সুবিধা রয়েছে সেরকম অনেক ধরনের অসুবিধা রয়েছে।
পূর্ববর্তী সময়ে আমরা যেরকম টাকা স্পর্শ করতে পারতাম এবং টাকাগুলো বিভিন্ন জায়গায় খরচ করতে পারতাম। সেগুলো এখন আমাদের দেশেও চালু রয়েছে৷ তবে এমন অনেক দেশ আছে যে এই সকল জিনিসগুলো নেই বললেই চলে৷ তারা একেবারে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলেছে। সেখানে কোন ধরনের ক্যাশ নেই বললেই চলে। সবসময় তারা অনলাইন মাধ্যম যে ওয়ালেট গুলো গুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে তারা সবগুলো পেমেন্ট করে থাকে। ছোট থেকে বড় সকল এমাউন্টই তারা ওই ওয়ালেটের মাধ্যমে করে থাকে৷ এর মাধ্যমে এরকম একটি সুবিধা রয়েছে যে ক্যাশ নিয়ে সারাক্ষণ ঘুরতে হয় না৷ কোন ধরনের টেনশন থাকে না যে কেউ তার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে। একইসাথে এই ক্যাশ হারিয়ে যাওয়ার অথবা কোন ভাবে কোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে এটি যেরকম এক ধরনের সুবিধা, একইসাথে এর আরো অনেকগুলো অসুবিধা রয়েছে। প্রথমেই সুবিধা সম্পর্কিত কিছু কথা বলে শেষ করা যাক।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা আয় করত৷ সেই টাকাগুলো তারা কোথাও রাখতে পারত না এবং তারা খুব কষ্ট করে সে টাকাগুলো জমিয়ে রাখার চেষ্টা করত। সেই জন্য রাখার অবস্থাও ছিল না৷ তবে এখন অনেক ব্যাক্তি রয়েছে যারা বিভিন্নভাবে টাকা রাখে এবং তারা বিভিন্নভাবে টাকা দিয়েও থাকে৷ খুব ভালো কিছু সুবিধা তাদের মধ্যে রয়েছে৷ তবে এখন কিছু কিছু ব্যাংকের অবস্থা এরকম হয়ে গিয়েছে যা একেবারে বলার বাহিরে৷ মানুষ তাদের কাছে বিশ্বাস করে টাকা রেখেছে। যাতে করে এই টাকা যখন বিপুল পরিমাণে হয়ে যাবে তখন তারা এই টাকাগুলো নিয়ে কিছু করবে। তবে এখন সে ব্যাংকের উপরে কোনভাবে বিশ্বাস করা যায় না৷ তারা যেভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যাচ্ছে মানুষের সাথে এর ফলে মানুষ ব্যাংকের উপর থেকে একেবারেই বিশ্বাস উঠিয়ে ফেলেছে৷ একের পর এক ব্যাংকের যে সকল তথ্যগুলো ফাঁস হয়ে যাচ্ছে তার সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত। তাই মানুষের এখন অনলাইন ভিত্তিক ওয়ালেটের প্রতি ঝুঁকে যাচ্ছে৷ অনলাইন ভিত্তিক ওয়ালেট এর মধ্যেও যে সবগুলো সুবিধাই রয়েছে তা কিন্তু নয়৷
যেভাবে আমরা পরবর্তী সময়ে টাকাগুলো হারানোর ভয়ে থাকতে অথবা চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকতো৷ ঠিক তেমনি অনলাইন ভিত্তিক যে ওয়ালেট গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যেও যে চুরি হবে না এরকম কোন কথা নেই আমরা কোনভাবে চিন্তা করতে পারি না৷ কারণ সব জায়গায় সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা থাকবে এটাই স্বাভাবিক৷ একইসাথে অনলাইন ভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে তো অসুবিধা একটু বেশি থাকে৷ আবার অনেক মানুষ বসে থাকে যারা শুধুমাত্র প্রতারণা করেই তাদের জীবন জ্বালিয়ে নেয়৷ যাদের একাউন্টে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা থাকে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো তারা কিছু কৌশল ব্যবহার করে হাতিয়ে নেয়। এই মাধ্যমে অনেকেই তাদের সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছেন৷ অনেক মানুষ আছেন যারা অনলাইন থেকে অনেক টাকা ইনকাম করেছেন এবং অনলাইন ওয়ালেটে রেখে দিয়েছেন। সেই ওয়ালেট হঠাৎ একদিন দেখে যে জিরো হয়ে গিয়েছে। এর ফলে এত কষ্ট করে যে মানুষটি তার টাকাগুলো আয় করে কোথাও জমিয়ে রেখেছে যে টাকাগুলো যখন কোন এক ব্যক্তি অথবা কোন এক চক্র চুরি করে সেগুলো হাতিয়ে নেয় তখন তার থেকে কষ্টের বিষয়ে কিছু হতে পারে না৷ এর ফলে আমাদেরকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে৷ যেকোনো ধরনের প্রতারক চক্রের হাত থেকে আমাদেরকে সব সময় রক্ষা পেতে হবে৷ তারা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে লোভ দেখিয়ে অনেক কিছুই করবে৷ তবে তা দেখে আমরা কখনোই লোভে পড়ে কোন কিছু করে ফেলা উচিত নয়। আসলে লোভ কখনোই ভালো নয়৷ হয়তো আমরা একটু ভালো কিছু পাওয়ার আশায় আমরা এত বছর ধরে যা কিছুই তৈরি করেছি সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। আজকে এই পর্যন্তই।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ০৫.০৭.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1809063784444801144?t=l0JjFnBf4RkGjf2CXReRUg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি ভালোবাসা সব সময় আমাকে এভাবে সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য।
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং পোস্ট করেছেন। আসলে ভাইয়া আমরা কোথাও নিরাপদ নয়। এখন জেনারেল ব্যাংকগুলোতেও টাকা রেখে নিরাপদ না। আর অনলাইনে তো আরো নিরাপদ নয়। সব জায়গায় কোন না কোন চক্র জড়িত রয়েছে। এই যে আমরা অনলাইনে ভিত্রিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করে কষ্ট করে টাকা আরনিং করছি। কিন্তু আমাদের অসচেতনতার কারণে দেখা যাবে কোন চক্র আমাদের কষ্টের সকল টাকাগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। তাই আমাদের নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে চোখ কান খোলা রেখে কাজ করে যেতে হবে।
খুব সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করেছেন আপনি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি আজকে অনেক সচেতনমূলক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দিন শেষে আমরা কিন্তু সত্যি নিরাপদ নয়। এখন কোনো কিছুই একেবারে বিশ্বাস করা যায় না। বিশেষ করে ব্যাংক কে বিশ্বাস করা এখন আর যাচ্ছে না। সবকিছু এখন আস্তে আস্তে আমাদের জন্য অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে। কখন কি হচ্ছে এটা আমরা বুঝতেই পারতেছি না। মানুষের কষ্টের টাকা এখন চলে যাচ্ছে অন্যের কাছে। কত স্বপ্নই না থাকে মানুষের সেই টাকাগুলো দিয়ে কত কিছু করবে। কিন্তু দিনশেষে তারা কি পায়?? অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপনি লেখাগুলো।
খুবই ভালো লাগলো আপনার সঙ্গে মন্তব্যটি পড়ে। আসলে বাস্তবিক ঘটনা এই পোস্টের মধ্যে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি এবং আপনার মন্তব্যটি পড়েও আমি অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি।
আসলে এখন প্রত্যেকটা মানুষ অনিরাপদ জীবন যাপন করতেছে। এখন কোনো দিকেই আর নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। ব্যাংককে আসলেই কিন্তু বিশ্বাস করা যায় না এখন। মানুষ নিজেদের পরিশ্রমের টাকা ব্যাংকে রাখে, কিন্তু দিনশেষে অনেকেই খারাপ ফলাফল পায়। আমাদের কষ্টের টাকা অন্যরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মেনে নিবে কয়জন। কেউই কখনো মেনে নিতে পারবে না। আপনি আজকে বাস্তবতাকে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে আপনি সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। তবে আপনার পোষ্টের সাথে আমি একমত। আমরা কোন কাজে কতটুকু নিরাপদ। আমরা কাজ করি সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য। হোক সেটি যেকোনো কাজ অনলাইন বা ভিন্ন কিছু। যতটুকু সুবিধা আছে তার মধ্যে অসুবিধা আছে। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে খুবই খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।