কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-১৯] ~ " সামশুন্নাহার আপুর সাথে বিখ্যাত রাজা চা খাওয়া "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের ঊনিশ তম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
@samhunnahar আপুর সাথে বিখ্যাত রাজা চা খাওয়া।
গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে শামশুন্নাহার আপুর সাথে আমরা যে সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং সেখানে এর একটি রেস্টুরেন্টে বসে আমরা অনেক সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ সেখানে আমরা অনেক কথাবার্তা বলছিলাম এবং অনেক মজা করছিলাম৷ সবাই মিলে আমরা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করছিলাম৷ এরপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে পড়লাম এবং বের হয়ে আরো একটি জায়গায় যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করলাম৷ তাই আমরা সকলে মিলে সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম এবং সবাই মিলে কথা বলতে বলতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম৷ তখনও বালির উপর দিয়ে হাঁটতে অনেকটাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এরপর আমরা যখন সামনের দিকে হাঁটতে হাঁটতে সবাই রাস্তায় চলে আসলাম এবং সেখান থেকে একটি গাড়ি নিয়ে আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম বিখ্যাত সেই রাজার চা খাওয়ার জন্য। আমি আগেও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে বিখ্যাত রাজা চা এর আসল গল্প এবং সেখানে কি হয়েছিল৷ আমরা সেখানে গিয়ে চা খেয়েছিলাম৷ আজকে যেহেতু শামশুন্নাহার আপুকে সেখানে পেয়েছি তাই ওনাকে নিয়ে সেখানে চলে গেলাম চা খাওয়ার জন্য৷ এরপর আমরা সবাই সেখানে পৌঁছে গেলাম।
আমরা গিয়েছিলাম সন্ধ্যার দিকে তখন সেখানে এত বেশি পরিমাণে মানুষ ছিল যা একেবারেই বলার বাহিরে। তারা এত বেশি পরিমাণে মানুষ থাকার কারণে দোকানের যে সকল লোকজন রয়েছে তারা কোনোভাবেই লোকজনকে সামাল দিতে পারছিল না। তারা একেবারে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিল৷ তাই আমরা ভেতরে না বসে সবাই মিলে বাহিরে বসলাম এবং বাহিরে খুব সুন্দর বাতাসও ছিল৷ আমরা বাহিরের যে পরিবেশ রয়েছে সেই পরিবেশ উপভোগ করলাম৷ এরপর আমরা সবাই সেখানে কথাবার্তা বলছিলাম এবং আমরা বিভিন্ন ধরনের চায়ের অর্ডার দিলাম৷ সেখানে বিখ্যাত যে সকল চা রয়েছে সবগুলোর মধ্যে একেবারে বেস্ট যে চা রয়েছে সেই চা আমরা অর্ডার দিয়ে দিলাম৷ রাইদার পছন্দ একটু ভিন্ন ছিল । সে একটু গোলাপি রঙের চা পছন্দ করেছিল৷ তাই তার জন্য গোলাপি রঙের চা এর অর্ডার দেওয়া হয়েছিল৷ সেই চাও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল৷ এটি একেবারে গোলাপী রঙের ছিল৷ আসলে ছোট বাচ্চাদের গোলাপি রঙ একটু বেশি পছন্দ যা আমরা অনেকেই দেখতে পাই৷ তাই সেই প্রেক্ষিতে সে তার পছন্দ অনুযায়ী গোলাপি রঙের চা নিল এবং আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী চা অর্ডার দিয়ে দিলাম।
এর কিছুক্ষণ পরে আমাদের অর্ডার দেওয়া চা চলে আসলো৷ আমরা সেখানে সবাই মিলে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করলাম। সকলে মিলে চা খেতে খেতে অনেক কথা বলছিলাম। এভাবেই আমরা সবাই মিলে সেখানে খুব সুন্দর অতিবাহিত করলাম৷ যখন সেখানে সবাই মিলে বসে চা খাচ্ছিলাম তখন সেই মুহূর্তটা একেবারে অন্যরকম ছিল৷ সেই মুহূর্ত সবসময় আমাদের মনে থেকে যাবে৷ আসলে এরকম মুহূর্ত কখনোই ভোলার নয়৷ যখন আমরা এখানে কাজ করি তখন শুধুমাত্র আমাদের সাথে সকলের মেসেজ অথবা কমেন্টের মাধ্যমে কথাবার্তা হয়ে থাকে এবং আমরা একে অপরের পোস্ট দেখে থাকি। তবে যখন সরাসরি দেখা করা হয় তখন তার থেকে সুন্দর মুহূর্ত আর কিছুই করতে পারে না৷ আজকে যখন শামশুন্নাহার আপুর সাথে বসে আমরা সেখানে চা খাওয়ার মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম তা একেবারে অসাধারণ ছিল৷ আসলে এরকম মুহুর্ত উপভোগ করতে পারব তা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি৷ যখন এরকম একটি মুহূর্ত আমরা উপভোগ করলাম তা একেবারেই অসাধারণ ছিল৷ এরপর আমরা সকলে মিলে সেখান থেকে কথাবার্তা শেষ করে সবাই সেখান থেকে বের হয়ে পড়লাম বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে৷ আজকে এই পর্যন্তই।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ২৫.০৮.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1827535871614316853?t=J9Oa8w2MqsPF8vatNYK8bg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি ভালোবাসা সব সময় আমাকে এভাবে সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইজান। যেখানে বেশ কয়েকজন ব্লগারকে একত্রে দেখতে পারলাম। শামসুন্নাহার আপুর সাথে আপনারা বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন চা পানের মধ্য দিয়ে। খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখে।
খুবই সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করেছেন আপনি৷ ওনার সাথে খুব ভালো সামনে কাটিয়েছিলাম আমরা।
রাজা চা’য়ের গল্প অনেক শুনেছি। এই চায়ের দোকানে না কি অনেক বড় বড় মানুষ এসে চা খেয়ে গেছে। আপনারা সামশুন্নাহার আপু সাথে সেই বিখ্যাত রাজা চা খেয়ে ইতিহাস গড়ে ফেললেন। সেই সাথে স্মৃতির পাতায় জমা করে দিলেন। অনুভূতি অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ একদমই ঠিক শুনেছেন৷ আমি এরকম একটি পোস্ট আগেও শেয়ার করেছিলাম৷ সেটি চাইলে দেখে নিতে পারেন।
তোমার কাছ থেকে এই মুহূর্তটি পড়তে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। সেই স্মৃতিগুলো আমার বেশ মনে পড়ে। আর চা গুলো খেতে দারুণ ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ বিস্তারিত তুমি আজকে আবার আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিলে।
চেষ্টা করেছি সব কিছু ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার। আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে আমারও অনেকটাই ভালো লাগছে।
সামশুন্নাহার আপুর সাথে বিখ্যাত রাজা চা খাওয়া অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সবাই মিলে চা খেতে খেতে নিশ্চয় বেশ গল্প আর আড্ডায় মেতে উঠেছেন। এই মুহূর্তগুলো সত্যি বেশ দারুন ছিলো। কক্সবাজার ভ্রমণের আজকের পর্ব আমাদের মাঝে এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
খুবই সুন্দর একটা মন্তব্য শেয়ার করেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার একটা বিষয় ভালো লাগলো যে আপনি শামসুন্নাহার আপুর সাথে চা খেয়েছেন। আর আপনার শেয়ার করা এই চা দেখেই খেতে লোভ হচ্ছে। তাছাড়া চায়ের কাপের মধ্যে দেখছি লাভ আঁকানো সত্যি এটা বেশ মজার একটা চা বলে মনে হচ্ছে। তবে ইনশাআল্লাহ কক্সবাজারে যাওয়ার ইচ্ছা আছে গেলে অবশ্যই এই রাজা চা খেয়ে আসবো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই দেখতে পারেন৷ অনেক বিখ্যাত একটি চা এবং খুবই সুস্বাদু।
আপনার কক্সবাজার ভ্রমণ বড় সুন্দর হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আমিও কক্সবাজার গিয়েছিলাম কয়েক মাস আগে। কিন্তু বিখ্যাত রাজার চা খেয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। আপনার পোস্টে দেখে খুব ভালো লাগলো। দোকানটি ঠিক কোথায়? কলাতলী মোড়ের কাছে? এর পরের বার গেলে নিশ্চয়ই সেই চা পান করব। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
আপনিও কক্সবাজার এসেছিলেন শুনে খুবই ভালো লাগছে৷ তবে রাজা চা খেতে পারেননি৷ যদি আবার কখনো আসা হয় তাহলে আবার খেতে পারবেন বলে আশা করি৷ এই দোকানটি হচ্ছে আপনার সুগন্ধা বিচের কাছে মনে হচ্ছে৷ আমার ঠিক মনে পড়ছে না৷ এখানে আমাদের শামশুন্নাহার আপুকে জিজ্ঞাসা করলে উনি ভালো ভাবে সবকিছু আপনাকে বলতে পারবেন।