আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে মনে রাখবো। এই নাটকের মধ্যে যে নায়ক ও নায়িকা রয়েছে তাদের নাটক আমার সবসময় ভালো লাগে। তাদের জুটি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি ও বাংলা ডাবিং করা মুভি অনেক দেখা হতো, অনেক খেলাধুলাও করা হতো তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না৷ তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে চলে আসলাম। আশা করি আজকে যে নাটকের রিভিউ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেটি আপনাদের অনেক পছন্দ হবে৷ প্রথমে নাটকটি শুরু হয়ে যাবে এবং সেখানে নায়ককে দেখানো হয়৷ সে একজন বড় মাপের নেতা ছিল৷ সে সব জায়গায় বিভিন্নভাবে মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিত এবং বিভিন্ন মানুষকে সে মারধর করত। যারা খারাপ কাজ করত তাদেরকে সে কখনোই ছাড় দিত না৷ তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা পয়সা না নিয়ে তাদেরকে শুধু মারতো৷ এভাবে তারা ঠিক হয়ে যেত৷ এর পরবর্তী সময়ে নায়ক তার যে গুরু ছিল তার কাছে চলে যায়৷ সেখানে সে তার সাথে অনেক ধরনের কথা বলতে থাকে৷ সেখানে পুলিশ চলে আসে৷ তখন পুলিশ বলে যে নায়ক মানুষকে মেরেছে এবং তারা তার নামে মামলা করে দিয়েছে৷ তখন নায়কের সেই গুরু বলেন যে সে এরকম করেছে, এটি সে দেখবে৷ পুলিশ যেন এখান থেকে চলে যায়৷ এরপর পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়৷ এর পরবর্তী সময়ে নায়ক তার গুরুর একজন প্রিয় মানুষ হিসেবে তৈরি হয়ে যায়৷ যেকোনো ধরনের কাজেই নায়ক তার কাছ থেকে অর্ডার পেতে থাকে। যেকোনো ছোট বড় কাজ সবকিছুই নায়ক করে দিত৷ এর পরবর্তী সময়ে একদিন নায়কের যে গুরু রয়েছে তার মেয়ে চলে আসে অর্থাৎ নায়িকা চলে আসে৷ নায়িকা যখন নায়ককে প্রথম সেখানে দেখতে পায় তখন সে অনেকটাই মুগ্ধ হয়ে যায় এবং তাকে ভালোবেসে ফেলে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এর পরবর্তী সময়ে নায়িকা যখন নায়কের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে এবং তার সাথে বিভিন্নভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে তখন নায়ক বলে যে তার সাথে কোন ধরনের সম্পর্ক যেন না করে৷ তার সাথে কোনভাবেই তার সম্পর্কে হবে না৷ কারণ নায়িকার বাবা তার গুরু৷ কোন ভাবে সে তার গুরুকে ধোঁকা দিতে পারবে না৷ কোনোভাবেই যেন নায়িকা তার সাথে দেখা না করে৷ তবে নায়িকা কোনভাবেই তা মানার পাত্রী ছিল না৷ সে সব সময় নায়কের সাথে কথা বলত। নায়কের সাথে কথা বলার জন্য সে সব ধরনের সুযোগ খুঁজতো৷ এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায়৷ নায়িকা তাকে ভালবাসতে শুরু করে৷ নায়কও তাকে ভালবাসতে শুরু করে দেয়৷ তারা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে৷ এর পরবর্তীতে যখন তারা দুজনে একদিন কথা বলছিল তখন সেখানে নায়িকার ভাই চলে আসে৷ তখন সে যখন বিষয়টি দেখতে পায় তখন সে অনেকটা রাগান্বিত হয়ে যায়। সে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ পরবর্তীতে যখন নায়িকার বাবা সেখানে আসে তখন তিনি সবকিছুই সামলে নেয়। নায়িকার যে ভাই ছিল সে বলে যে তাকে যেন এখনি মেরে ফেলে৷ তখন নায়িকার বাবা বলে তাকে মেরে ফেললে তো হবে না৷ তাকে তাদের কাজে লাগবে। এর পরবর্তীতে তারা সবাই মিলে একটি প্ল্যান করে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

নায়িকার ভাই এবং বাবা নায়িকাকে বলেছিল যে তারা তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে৷ তাদের দুজনকে তারা বিয়ে দিয়ে দিবে৷ তবে যখন তারা দুজনে সেখানে একসাথে দাঁড়িয়ে ছিল তখন তাদেরকে নায়িকার বাবা এবং নায়িকার ভাই অনেক কথাই বলছিল৷ এভাবেই নায়িকা অনেক খুশি ছিল৷ তবে হঠাৎ করে যখন নায়িকার ভাই নায়ককে গুলি করে দেয় এবং নায়ক সাথে সাথে সেখানে পড়ে যায় এবং সে মারা যেতে থাকে তখন নায়িকা একেবারে হতভম্ব হয়ে যায়৷ সে কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না৷ কারণ তার সামনে যখন তার প্রিয় মানুষটিকে এভাবে তার ভাই মেরে ফেলল তখন তার থেকে অবাক হওয়ার বিষয় আর কিছুই হয় না৷ এর পরবর্তীতে যখন নায়ক সেখানে পড়ে মারা যাচ্ছিল তখন নায়িকার ভাই এবং নায়িকার বাবা সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে তার এই মৃত্যুকে তারা উপভোগ করছিল৷ তখন নায়িকা অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷ সে নায়ককে অনেক ভালবাসত৷ তাই সে নায়কের এই চোখের সামনে এভাবে মৃত্যু সহ্য করতে পারছিল না। সেখানে নায়িক অনেক কান্নাকাটি করছিল। এর পরবর্তী সময়ে নায়ক মারা যায় এবং সে সেখানে পড়ে থাকে৷ নায়িকাকে সেখান থেকে তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরবর্তীতে নায়িকা একেবারে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে৷ তাকে একটি রুমের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এভাবেই নাটক শেষ হয়ে যায়।

খুবই সুন্দর একটি এই নাটক এটি৷ প্রথমে নাটকটির আসল বিষয় সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক৷ আসলে এখানে একেবারে খুবই সুন্দর এবং বাস্তবিক একটি বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ আসলে আমাদের জীবনে আমরা যে মানুষটিকে অনেক ভালোবাসি সে মানুষটিকে কখনোই আমরা ছেড়ে আসতে পারি না৷ সে যখন আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যায় তখন তার থেকে কষ্টের বিষয় আর কিছু হতে পারে না৷ নায়িকা যখন প্রথম নায়ককে দেখতে পায় এবং প্রথম দেখাতে সে তাকে ভালোবেসে ফেলে। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্ক অনেকটাই গভীর হয়ে যায়৷ যখন পরবর্তীতে নায়িকার ভাই এবং বাবা তাদের সম্পর্কের কথা জেনে যায় এবং এই সম্পর্ক যখন তারা মেনে নিতে পারে না তখন তারা একটি প্ল্যান করে৷ সেই প্ল্যানের মাধ্যমে তারা যখন নায়ককে মেরে ফেলে তখন নায়িকার সামনে নায়ক মারা যাচ্ছিল৷ সে কিছুই করতে পারছিল না৷ তার সামনে যখন তার প্রিয় মানুষটি মারা যাচ্ছিল তখন সে অনেক কান্নাকাটি করছিল। এর ফলে তার মানসিক ভারসাম্য চলে যায়৷ আসলে আমাদের বাস্তব জীবনেও আমরা অনেক ঘটনা দেখতে পাই৷ কিছু কিছু ভালোবাসা কখনোই পূর্ণতা পায়না৷ সেই ভালোবাসা পূর্ণতা না পাওয়ার ফলে অনেক মানুষই তাদের জীবন ধ্বংস করে ফেলে৷ আবার এই নাটকের মধ্যেও যেরকম ঘটনাটি আজকে করেছে ঠিক সে রকম অনেক ঘটনাও দেখা যায়৷ আসলে ভালোবাসা সুন্দর তবে তা যদি সুন্দরভাবেই শেষ হয় তাহলেই সুন্দর৷ আর যদি এরকম খারাপ পরিণতির মাধ্যমে শেষ হয় তাহলে তা কখনোই সুন্দর বলে বিবেচিত হয় না।

আমার রেটিং