কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-১৮] ~ " সামশুন্নাহার আপুর সাথে দেখা ও খাওয়া দাওয়া "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের অষ্টাদশ পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
@samhunnahar আপুর সাথে দেখা।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি ভ্রমণ এর পর্ব নিয়ে চলে আসলাম৷ এই ভ্রমণের গত পর্বে আমি আপনার মাঝে বলেছিলাম যে আপনাদের জন্য এই পর্বে একটি মজাদার বিষয় রয়েছে৷ সেই বিষয়টি হয়তো আপনারা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বুঝতে পেরে গিয়েছেন৷ ফটোগ্রাফি দেখে আপনার প্রথমে বুঝে গিয়েছেন যে আমরা কাদের সাথে বসে রয়েছি৷ আপনারা একদম ঠিক দেখছেন৷ এখানে আমাদের সকলের পরিচিত এবং সকলের প্রিয় সামশুন্নাহার আপু রয়েছেন৷ আমরা যখন বিকেল বেলা ওখানে অবস্থান করছিলাম তখন সেখানে আমরা অনেক ঘোরাঘুরি করছিলাম৷ একইসাথে ওনারা সেখানে আসলেন আমাদের সাথে দেখা করার জন্য৷ আমরা সেখানে ওনাদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম৷ এরপর সেখানে সামশুন্নাহার আপু এবং রায়দা এবং আদিলা এসেছিল৷ সকলে মিলে আমরা সেখানে অনেক কথা বলছিলাম এবং অনেক মজা করছিলাম৷ একইসাথে সেখানে বসে বসে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলছিলাম৷ এরপর আমরা সেখানে বসে যে সমুদ্রের ঢেউ রয়েছে সেগুলো দেখছিলাম। সেখানে বসে আমরা যে মুহুর্ত উপভোগ করছিলাম তা একেবারে অসাধারণ ছিল৷ ভার্চুয়ালি সকলের সাথে যোগাযোগ থাকার পাশাপাশি যখন সরাসরি দেখা হয় তখন সেই মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম হয়ে থাকে যা আমাদের সাথে হয়েছিল।
আমাদের সাথে সামশুন্নাহার আপুর আগে কখনো দেখা হয়নি এবং আমরাও কখনোই ওনার সাথে দেখা করতে পারিনি৷ তবে এবার সুযোগ হওয়ার কারণে উনার সাথে আমরা দেখা করে নিলাম এবং উনিও আমাদের সাথে দেখা করে অনেকটাই খুশি ছিলেন৷ আমারাও ওনাদের সাথে দেখা করতে পেরে অনেক আনন্দিত ছিলাম৷ যখন উনি আসলেন তখন বিকেল বেলা ছিল এবং সেখানে আমরা সকলে বসে কথাবার্তা বলার পাশাপাশি হালকা নাস্তা করে নিলাম৷ আমরা সেখানে অপেক্ষা করছিলাম ভাইয়ার জন্য৷ অর্থাৎ সামশুন্নাহার আপুর হাসবেন্ড এর জন্য। এরপর সন্ধ্যার দিকে উনি ওনার অফিসের কাজ শেষ করে আসলেন। এবার ওনার সাথে আমরা কিছুক্ষণ সেখানে কথাবার্তা বললাম৷ এরপর আমরা সেখান থেকে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম৷ সেখানে একটি রেস্টুরেন্টে আমরা প্রবেশ করলাম৷ এবং সে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সময় আমরা যে বালুর উপর দিয়ে হাঁটছিলাম তা একেবারে অন্যরকম ছিল৷ যখন আমরা বালুর উপর দিয়ে সামনের দিকে হাঁটছিলাম তখন আমাদের অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল৷ প্রথম দিন যেরকম আমরা এই বালুর উপর হাটতে কষ্ট হয়েছিল ঠিক তেমনি সেদিন আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছিল৷ তারপরও আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম৷ এরপর আমরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম এবং সেখানে আমরা বিভিন্ন কথাবার্তা বলতে লাগলাম৷
এরপর রেস্টুরেন্টে আমরা কিছুক্ষণ বসে গল্প করার পরে ওখানে যেসকল লোকরা রয়েছে তারা আমাদেরকে বসার জন্য বলল৷ এরপর আমরা খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম। খাবার অর্ডার দেওয়ার পূর্বের সময় আমরা সকলের সাথে অনেক কথাবার্তা বলছিলাম এবং অনেক মজা করছিলাম৷ সবাই সবার সাথে অনেক মজা করছিল৷ রাইদা এবং আদিলাও আমাদেরকে দেখে অনেকটাই খুশি ছিল৷ একইসাথে আমাদের নিভৃতকেও তারা অনেক আদর করছিল৷ তার সাথে অনেক খেলাধুলা করছিল৷ সবাই সেখানে অনেক খেলাধুলা করছিল৷ একইসাথে আমরা এখানে অনেক কথাবার্তা বলার পর আমাদের খাবার চলে আসলো৷ এরপর আমরা সকলে মিলে খাবার খেয়ে নিলাম এবং খাবার খেতে খেতে আমরা বিভিন্ন কথাবার্তা বলছিলাম। একইসাথে আমাদের যে কাজ রয়েছে সেই কাজগুলো সম্পর্কে কথা বলছিলাম৷ উনারা সবসময় এখানে ঘুরতে আসেন এবং রাইদা এবং আদিলা সবসময় মজা করে৷ এখানে আমরা গিয়েও প্রতিদিন ঘুরার ইচ্ছা জাগ্রত হলো। আসলে কোন একটি সুন্দর জায়গার পাশে যদি কারো থাকার সুযোগ হয় তাহলে সেই সৌন্দর্যময় জায়গা যেরকম উপভোগ করা যায়, প্রতিদিন সেখানে এসে সময়ও অতিবাহিত করা যায়৷ আজকে এই পর্যন্তই।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ১৮.০৮.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1825013545903505591?t=jpS3w79PeNnuU_RUABQk3A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি অনেক ভালোবাসা রইলো আমাকে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে সামশুন্নাহার আপুর সাথে দেখা ও খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আসলে অনলাইনে কাজের সূত্রে আপুর সাথে আপনাদের পরিচয় এবং দেখা সত্যিই অনুভুতিটা বেশ অকল্পনীয়। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম সেখানে আপনারা খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন আপনি৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করেছেন জানতে পেরে বেশ ভালোই লাগলো। কমিউনিটিতে আমরা অনেকেই কাজ করি। তবে মোবাইলে কথাবার্তা বলা থেকে সামনাসামনি কথাবার্তা বলার অনুভূতিটা সত্যি অন্যরকম। আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন অনেক গল্প আড্ডা দিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন৷ মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি দেখা করার মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করে।
বাহ বিজয় তুমি তো দেখছি অনেক ছবি ক্যাপচার করেছিলে মোবাইলে। কিন্তু আমি এত ছবি তুলতে পারি নাই সে দিন। যাক তোমার ব্লগের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পেরেছি সেই দিনের। সত্যি সেই দিনের মুহূর্তগুলো বেশ ভালো কেটেছিল। আমি চাই এই ধরনের মুহূর্ত গুলো যেন জীবনে বারবার ফিরে আসুক। কারণ সবাই মিলে বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছিলাম। তোমরা সবাইকে পেয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম অনেক ভালো লাগছিল।
সেখানকার ছবি তো পুরো মোবাইল এর সব জায়গা দখল করে নিয়েছে।
জী ভাইয়া আমি সামসুন্নাহার আপুর একটি ব্লগ পড়ে দেখেছি আপনারা কক্সবাজার আপু সাথে দেখা করে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। আবার আজকে দেখলাম আপুর সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়াও করেছেন। দারুন সময় এনজয় করেছেন। ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
সামশুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। কয়েকদিন আগে শামসুন্নাহার আপুর পোস্টও দেখেছিলাম। সবাই একসাথে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন৷ কিছুদিন আগে উনিও একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন৷ তাই আজকে আমিও একটি পোস্ট শেয়ার করে দিলাম।