বিকেল বেলায় ছেলেকে নিয়ে সুন্দর একটি পার্ক ভ্রমণ।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার। ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, সুন্দর সুন্দর স্থানে ভ্রমণ করার মধ্যে মজায় আছে অন্যরকম। খুব সুন্দর স্থান ভ্রমণ করার মধ্য দিয়ে মানসিকভাবে যেমন শান্তি পাওয়া যায় ঠিক তেমনি শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকা যায়। যাহোক, কয়েকদিন আগে আমাদের গ্রামের বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্কটি বিকেল বেলায় ভ্রমণ করেছিলাম। উক্ত পার্ক ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমার ছেলের ছোট মামা ও খালার একটা আবদার পূরণ করা। তাদের অনেকদিনের শখ ছিল আমাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্ক ভ্রমণ করবে। যাহোক, সুন্দর এই পার্কে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম আমি, আমার একমাত্র ছেলে এবং আমার ছেলের ছোট মামা ও খালা। আমাদের বাড়ি থেকে উক্ত পার্কে যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। পার্কটি আমাদের গ্রামের প্রধান রাস্তার একেবারেই পাশে অবস্থিত। যাহোক, আমরা পার্কে মোটরসাইকেল নিয়ে সরাসরি চলে গিয়েছিলাম।
বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্কের ভিতর প্রবেশ করে পার্কের টিকিট কাউন্টারের সামনে আমার ছেলে এবং ছেলের খালা ও মামার সুন্দর একটি ছবি উঠালাম। তারপর পার্কের প্রধান গেট দিয়ে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলাম। আসলে এই পার্কটি অত্যন্ত সুন্দর একটি পার্ক এবং পার্কের পরিবেশটি খুবই মনোরম। পার্কের অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি ফুল গাছে অসংখ্য ফুল ধরেছে। রঙ্গিন ফুলে পরিপূর্ণ পার্কের চারপাশ দেখতে খুবই ভালো লাগলো। সব থেকে বেশি ভালো লাগে উক্ত পার্কের নিয়ম গুলো। প্রধান নিয়ম হলো- উক্ত পার্কে কোন ধরনের ধূমপান করা যাবে না। এবং দ্বিতীয় অন্যতম প্রধান নিয়ম হলো উক্ত পার্কের কোন ফুল গাছ থেকে ফুল ছেড়া যাবে। ফুল ছিড়ে ধরা পড়লেই ১০০ টাকা করে জরিমানা। আর পার্কের বেশিরভাগ জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত।
সুন্দর এই পার্কে বেড়াতে এসে আমার ছেলে তো অত্যন্ত খুশি। সে একা একাই পার্কের মধ্যে দৌড়াতে লাগলো। একেবারে স্থির ভাবে দাঁড়াতেই চাইছে না। পাশাপাশি আমার ছেলের মামা ও খালা খুবই আনন্দিত হয়েছিল সুন্দর এই পার্কটি ভ্রমণ করে। পার্ক ভ্রমণের পাশাপাশি অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। একই সাথে ছেলে এবং ছেলে মামা খালাকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্কটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। এই পার্কটি মূলত পুকুরপাড়ের উপর অবস্থিত। পার্কের চারপাশে বড় বড় অসংখ্য পুকুর রয়েছে। পার্কটি ৩৫০ থেকে ৪০০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। তবে উক্ত জায়গার প্রায় ৭০% জায়গা পুকুর। বিকেল বেলায় পার্কে খুবই ঠান্ডা বাতাস বয়েছিল। বড় বড় পুকুরের ঠান্ডা পানি স্পর্শ করে আসা বাতাস গায়ে লাগতেই আমরা খুবই শীত অনুভব করেছিলাম। পার্কের বড় বড় পুকুরগুলোতে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য নৌকা ব্যবহার করা। প্রত্যেকটি বড় পুকুরে একটি করে নৌকা বাধা আছে।
বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্কের মধ্যে একটা মাঝারি আকারের পুকুর রয়েছে। উক্ত পুকুরের মধ্যে কোন মাছ নেই। আছে শুধু অগণিত রঙ্গিন শাপলা ফুলের গাছ। দুপুরবেলায় রঙ্গিন শাপলা ফুলগুলো ফুটে থাকে। আমরা বিকেলে যাওয়ার কারণে ফুটে থাকা শাপলা ফুলগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ব্যর্থ হয়। তবে এমনিতেই পুকুরের ভিতরে রঙিন শাপলা ফুলের কলি গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর লেগেছিল।
বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্কের অসংখ্য ধরনের নাম জানা ও অজানা ফুল ও ফুল গাছের পাশাপাশি রয়েছে অনেকগুলো পাতাবাহার গাছ। আর এসব ফুল গাছ ও শোভা বর্ধনকারী গাছের কারণেই পার্কটি সব সময় অপরূপ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। পার্কের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে আসলো একেবারেই বুঝতে পারলাম না। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে পার্ক দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আমাদের সকলকে অর্থাৎ পার্কে বেড়াতে আসা সকলকে পার্ক থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো। আসলে পার্কে প্রবেশের বর্তমান সময় হলো সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত।
সেদিন বিকেল বেলায় বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্ক ভ্রমণ করে অনেক আনন্দ ও সৌন্দর্য উপভোগ করলেও পার্ক থেকে বের হতে মন চাইছিল না। আসলে উক্ত পার্কের সৌন্দর্য পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হলে অনেক সময় হাতে নিয়ে সেখানে যাওয়াটাই উত্তম। তাই আগামী যে কোন দিন সময় পেলে চেষ্টা করবো হাতে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় নিয়ে উক্ত পার্ক ভ্রমণ করার। আপনারাও ইচ্ছা করলে উক্ত পার্কে এসে সময় কাটাতে পারেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করতে পারেন। যাহোক, আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সবাই।
এই পার্কে অনেকবার গিয়েছি, ভীষণ ভালো লাগতেছে অনেক কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং ওখানকার ফুলগুলি আমাকে মুগ্ধ করল। দারুন ছিল। অনেক ফুল আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং নৌকা ও শাপলা ফুল দেখতে পেলাম, এটা ভীষণ ভালো লাগছে, খুব শীঘ্রই ওখানে যাব। দারুন ছিল আপনার মুহূর্তটি
সময় পেলে আরো একবার পার্কে এসে বেড়িয়ে যাবেন। বর্তমানে খুবই উন্নত করা হয়েছে পার্কটি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছেলেকে নিয়ে পার্ক ভ্রমণ করে সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমণের গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
পার্কের চারিপাশের পরিবেশ আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম আসলেই অনেক সুন্দর সবুজ এবং ফুলে ভরপুর।
সেই সাথে পুকুরের লাল শাপলা দেখে তো বেশি ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পার্কের পরিবেশটা সত্যি খুব সুন্দর, মাঝে মাঝে পরিবারের ছোট সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া উচিত, এতে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে। খুব ভালো লাগলো বিকেলবেলা আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে।
জি ভাই পার্কের পরিবেশটা আসলেই সুন্দর। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পড়ন্ত বিকেলে ছেলেকে নিয়ে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পার্কে। পার্কের চারপাশের পরিবেশ বেশ সুন্দর। আসলে এমন চমৎকার পরিবেশে সবাই মিলে সময় অতিবাহিত করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। পার্কে বিভিন্ন রকম ফুলের সৌন্দর্য বেশ দুর্দান্ত। নৌকা ও শাপলা ফুল দেখতে পেলাম যার সৌন্দর্য বেশ অসাধারণ। পার্কে ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাই সেদিন পার্কের মধ্যে কাটানো মুহূর্তটুকু বেশ আনন্দের ছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সেজন্যই মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরতে যাওয়া উচিত। ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। মন ফ্রেশ হয়ে যায়। আপনি আজকে আপনার ছেলেকে নিয়ে এবং ছেলের মামাকে নিয়ে পার্কে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। পার্কের পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল চারিদিকে ফুলের সৌন্দর্য ধারা ঘেরা। যদি ছোট্ট বাচ্চাদের খেলাধুলার বিষয়টি থাকতো তাহলে আজকে ঘোরাঘুরি মূল সার্থকতা খুঁজে পেতেন।
জি ভাই মন ভালো করার জন্য এবং মানসিকভাবে শান্তিতে থাকার জন্য মাঝেমধ্যেই সুন্দর পরিবেশে ভ্রমন করতে হয়। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া ভ্রমণের মাধ্যমে মন মানসিকতায় একটি প্রশান্তি আসে এবং শারীরিক একটা সুস্থতা পাওয়া যায়। ছোটদের নিয়ে এমন জায়গা ঘুরতে গেলে তারা অনেক বেশি ইনজয় করে। জায়গাটির দেখতে বেশ চমৎকার। আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার ভ্রমণের পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাইয়া।