আমাদের অফিসের বারান্দায় ফুল গাছের টব সাজানোর কার্যক্রম // পর্ব-০১.
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শনিবার। ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, নতুন বছরের শুরু থেকেই আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমরা অনেক বেশি তৎপর। বিশেষ করে আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণ একটি ফুলের বাগান রয়েছে এবং সেই ফুলের বাগানে অনেক আগে থেকে অনেকগুলো ফুলের গাছ রয়েছে। তারপরও আমাদের সেই ফুলের বাগানে বর্তমানে আরো কিছু ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আর ফুলের বাগানে যেদিন ফুলের গাছ লাগাবো সেই মুহূর্তের কথাগুলো নিঃসন্দেহে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। যাহোক, নতুন বছরের শুরু থেকেই আমাদের একটি বিশেষ পরিকল্পনা ছিল যে, আমাদের অফিসের বারান্দায় সুন্দর সুন্দর শীতকালীন ফুল গাছ দিয়ে সাজিয়ে রাখবো। সেই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে গত কয়েকদিন আগে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের বিদ্যালয়ের অফিস বিল্ডিংটি হলো তৃতীয় তলা। আর আমাদের অফিস হলো দ্বিতীয় তলায়। দ্বিতীয় তলায় আমাদের অফিসের সামনে বেশ সুন্দর এবং বড় বারান্দা রয়েছে। সেই বারান্দার পাশ দিয়ে শীতকালের ফুল গাছের টব সাজিয়ে রাখার ইচ্ছা আমাদের বহুদিনের ছিল। এই ইচ্ছার কথাটি আমিসহ আরো দু'জন শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের নিকট বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজি হয়ে গেলেন। আসলে তিনিও উপলব্ধি করতে পারলেন যে, অফিসের বারান্দায় সুন্দর ফুল গাছের টপ দিয়ে সাজিয়ে রাখলেন নিঃসন্দেহে দেখতে আরো বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তারপর প্রধান শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ের ক্যাশিয়ারকে নির্দেশ দিলেন যে, বারান্দার জন্য ফুলের গাছ ও টব ক্রয় করতে যত টাকা প্রয়োজন সেটা বরাদ্দ দিতে।
তারপর আমাদের বিদ্যালয়ের ক্যাশিয়ারের নিকট থেকে পরিমাণ মতো টাকা নিয়ে দুইজন সহকারী শিক্ষক ফুল গাছ ক্রয় করতে গিয়েছিল নিকটস্থ একটি নার্সারি থেকে। একই সাথে আরো একজন শিক্ষক গিয়েছিল বাজার থেকে মাটির টব ক্রয় করতে। পাশাপাশি আমাদের বিদ্যালয়ের দুইজন কর্মচারী গিয়েছিল গোবরের সার অর্থাৎ কম্পোস্ট সার নিয়ে আসতে। এদিকে আমরা সকলেই বেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম ফুল গাছের জন্য। কয়েক ঘন্টা পরে যখন ফুলের গাছ, টব এবং কম্পোস্ট সার নিয়ে সবাই হাজির হলো তখন আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একপ্রকার উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়ে গেল।
ফুলের গাছ দেখার জন্য বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ভিড় জমালো। সকল ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শিক্ষক ও ম্যাডামরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল ফুলের গাছগুলো দেখে। তারপর কম্পোস্ট সার গুলো মাটিতে ঢেলে তার সাথে দো-আঁশ মাটি মেশানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কম্পোস্ট স্যারের সাথে দো-আঁশ মাটি মেশানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন আমাদের প্রধান শিক্ষক। তিনি কোদাল দিয়ে কয়েক মিনিট বেশ সুন্দরভাবেই কম্পোস্ট সারের সাথে দো-আঁশ মাটি মিশিয়েছিলেন। তারপর আমাদের বিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী খুব সুন্দর ভাবে মাটি মেশানোর কার্যক্রম শেষ করেছিলেন। দোআঁশ মাটির সাথে কম্পোস্ট সার মেশানোর পরে মিশ্রিত মাটি গুলো কিছুক্ষণ রোদে রেখে দেওয়া হয়েছিল আমাদের কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকের পরামর্শে।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X promotion link
আজকের কাজ সম্পন্ন।
দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আমাদের স্কুলেও ফুলবাগান তৈরি করা হচ্ছে। আসলে ফুল সৌন্দর্যের পথিক যেখানেই রোপন করা হবে সেখানেই দেখতে অনেক ভালো লাগবে ধন্যবাদ।