কুঁচিয়া সাপ/মাছের ভিডিওগ্রাফি।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ মঙ্গলবার । ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের পুকুরে কিংবা খাল-বিলে কিংবা মাঠে মাঝেমধ্যেই আমরা একটি সাপ দেখতে পায় সেটা হলো কুঁচিয়া। সেই ছোটবেলার থেকেই এটাকে আমি সাপ হিসেবেই চিনেছি এবং জেনেছি। ছোটবেলায় যখন এটাকে দেখতাম তখন বেশ ভয় পেতাম। এরপর যখন বড় হলাম তখন নিজে হাতেই এটাকে ধরা শিখে গেলাম। অনেকটা শখ করেই এবং অন্যজনকে দেখানোর জন্যই হাত দিয়ে ধরতাম। যদিও মনের ভিতরে একটু একটু ভয় লাগতো কিন্তু সেই ভয় প্রকাশ করতাম না। এই কুঁচিয়া ধরা নিয়ে আমার জীবনে বিশেষ কিছু ঘটনা আছে সেগুলো হয়তো আগামীতে আপনাদের মাঝে প্রকাশ করবো।
যাহোক ছোটবেলা থেকে যে প্রাণীটিকে সাপ হিসেবে আমি জেনেছি সেই প্রাণীটিকে গত কিছু বছর আগে জানতে পারলাম যে এটা সাপ নয় মাছ। বর্তমানে আমাদের গ্রামের বেশ কিছু যুবক ছেলেরাও এটাকে রান্না করে খায়।কুঁচিয়া রান্না করে খাওয়া নিয়েও আমাদের সমাজের মানুষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলে এটা খাওয়া হারাম আবার কেউ বলে হালাল। যাহোক কুঁচিয়া সাপ/মাছ নিয়ে বিতর্কের কথায় না গিয়ে আসল কোথায় যাওয়া যাক। গত কয়েকদিন আগে বিকেল বেলায় আমি মাঠের পুকুরের পাড়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় আমি আমার পুকুরের এক কোণে এই কুঁচিয়া প্রাণীটিকে দেখতে পেয়েছিলাম।
প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম হয়তোবা মোটা একটি ধোড়া সাপ হবে, কিন্তু কাছে গিয়ে কুঁচিয়া প্রাণীটিকে দেখে সম্পূর্ণরূপে অবাক হয়ে গেলাম। কারণ এই প্রাণীটি থাকে একেবারে কাঁদার মধ্যে অথবা কোন গভীর গর্তের মধ্যে। কিন্তু কাঁদার উপরে এই প্রাণীটিকে দেখে অবাক না হয়ে থাকতে পারলাম না। যাহোক কাছে মোবাইল ফোন ছিল, তাই সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম কুঁচিয়া প্রাণীটির। তারপরে এই প্রাণীটির ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমি যখন এই প্রাণীটিকে ভিডিওগ্রাফি করছিলাম তখন আমাকে দেখে এই প্রাণীটি খুব দ্রুত নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিল। তারপরেও আমি ভিডিওগ্রাফি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। দেখুন ভিডিওগ্রাফিটি নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে। তবে যাদের সাপ দেখলে ভয় লাগে তারা এই ভিডিওটি থেকে দূরে থাকবেন। নয়তো ঘুমের ঘরে স্বপ্নের মাঝে লাফিয়ে উঠতে পারেন 😆👌
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
কুঁচিয়া মাছের দারুন একটি ভিডিও ক্যাপচার করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে কুঁচিয়া মাছের মাংস দেখতে একটু লাল রঙের হয় খেতে ও কিন্তু সেই স্বাদ লাগে। আপনারা যাঁরা এই মাছের মাংস খেয়েছেন তাঁরা হয়তো এ বিষয়ে অবগত আছেন। সব মিলিয়ে দারুন একটি ভিডিওগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Twitter promotion link
আমি যতটা জানি এটা মাছ নামে পরিচিত। তবে এলাকার মানুষ সাপ বলে গণ্য করে। যাই হোক প্রায় মাঝেমধ্যে এইসব সাপ বা মাছ দেখতে পাওয়া যায় পুকুর পাড়ে। অনেক অনেক ভালো লাগলো চমৎকার এই ভিডিওটা দেখে।
গঠনমূলক কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের কাজ সম্পন্ন।
গ্রামীণ সমাজে পুকুর গুলোতে এরকম কুচিয়া অনেক দেখেছি। ঠিক বলেছেন আপনি কেউ এটাকে খাওয়া হারাম বলে আবার কেউ হালাল। তবে আমি দেখেছি গ্রামের অনেক মানুষ এই জিনিসটিকে খেয়ে থাকে। সেই কুচিয়ার দারুন একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে। ধন্যবাদ কুচিয়া র ভিডিওগ্রাফিটি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমরাও এটিকে কুঁচিয়া সাপ হিসেবে চিনি। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি এক ধরনের মাছ জানতে পারলাম। এবং আপনাদের এলাকাতে কিছু ছেলেরা এটিকে রান্না করে খায় সেটি তো আরো অবাক করার বিষয়। তবে আপনি কাদার মধ্যে দেখে কুঁচিয়া সাপ এর ভিডিওগ্রাফি করেছেন। আপনার ভিডিওগ্রাফি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
কুঁচিয়া সাপ মাছের অনেক সুন্দর ভিডিওগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনি অনেক সুন্দর করে ভিডিওগ্রাফি করেছেন। আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে কুচিয়া সাপ মাছ দেখতে পেলাম যদিও কখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভিডিওগুলো শেয়ার করার জন্য।