জেনারেল রাইটিং :- যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর তবে অপরকে সেটা বুঝতে দেবে না।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি খুব সুন্দর একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমার পোস্টটি হচ্ছে যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর তবে অপরকে সেটা বুঝতে দেবে না। আসলে প্রত্যেক মানুষ চলার পথে কোন না কোন কাজে অপমানিত বোধ করে। কারণ অনেকের ব্যবহারের কারণে অপমানিত বোধ করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় কাজে-কর্মে অপমানিত বোধ করে। কারণ অপমানিত বোধ করে যদি সেই এই কথা যদি অন্যজনকে বলে। তাহলে নিজের জন্য সমস্যা।
কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে অন্যের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলে। অন্যজনকে ছোট করতে পারলে তাদের কাছে ভালো লাগে। এই ধরনের লোকগুলো সমাজে অনেক আছে। তাই আমি মনে করি কেউ যদি অপমানিত বোধ করে। তাহলে সেই কথা অন্য কাউকে বুঝতে না দেওয়া। বলতে গেলে ডান হাতের কথা যেন বাম হাতে না জানে। কারণ ডান হাতের কথা যখন বাম হাতে যাবে তখন কথাগুলো আস্তে আস্তে ছড়াবে। আর অপমানিত বোধ করলে নিজেকে নিজে কন্ট্রোল করা দরকার।
কারণ নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলে নিজের অপমানিত বোধ অন্যজন বুঝতে পারবে না। তবে এখন দেখা যায় অনেকে আছে সামান্য অপমানিত বোধ করলে হাউমাউ করে অনেককে জানিয়ে দেই। এই কারনে কথাগুলো অন্যজন জেনে যায়। তাই আমি মনে করি কথা অন্য মানুষের সাথে শেয়ার করা দরকার নেই। অপমানিত বোধ করলে অনেক সময় মানুষ অনেক বড় ভুলও করে ফেলে। কারণ অপমানিত বোধ করলে মানুষের মাতা ও অনেক সময় ঠিক থাকে না। তাই আমি মনে করি প্রথমে নিজেকে কন্ট্রোল রাখা দরকার। তারপর তার কথাগুলো যেন অন্যজন বুঝতে না পারে।
কারণ অপমানিত বোধ করে অন্যজনকে বুঝতে দিলে সে খোঁচা দিয়ে আপনাকে কথা বলবে। আর যেখানে সেখানে আপনাকে অপমান করার চেষ্টা করবে। কারণ মানুষের কথা বিষাক্ত সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। অপমানিত বোধ করলে সে বারবার চেষ্টা করবে আপনাকে কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে আপনাকে অপমান করার জন্য। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ দেখা যায় অপমানিত লোকদেরকে বারবার খোঁচা মারে কথা বলে। অনেক সময় দেখা যায় কেউ যদি অপমানিত হয় আত্মীয়-স্বজনদের থেকে।
ওই লোকগুলো আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট করে ফেলে। কারণ অপমানিত লোক গুলো রাগ নিজে কন্ট্রোল করতে পারে না। আর যে মানুষ রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না ওই মানুষগুলো অনেক ভুল করে ফেলে। তাই আমি মনে করি অপমানিত হলেও সেই কথা অন্যকে বোঝাতে দেওয়া যাবে না। কারণ নিজের অপমানিত কষ্ট নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে হবে। অনেক সময় মানুষ দেখা যায় অনেক ধরনের অনুষ্ঠানে গেলে সামান্য কিছু কারণ অপমানিত বোধ করে। ওই সময় যদি চুপ থাকা যায় সেটাই উত্তম। আর চুপ থেকে অপমানিত লোক জবাব এক সময় দিতে পারে। সেটি আবার সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হয়। আশা করি আমার আজকের টপিক পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1857025395607925123?t=GuDh3eNGrliuxLYQwqj5hg&s=19
কিছু কিছু সময় থাকে যখন অপমানিত হয়েও চুপ থাকতে হয়। কারণ এগুলো নিজের বিবেকের মধ্যেই ধরা পড়ে। আর যারা বিবেক থাকে এ বিষয়গুলো বুঝে না তারা কিন্তু সেজদার পাল্টা রিএকশন করে থাকে। যা খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে কিন্তু আপনি আলোচনা করেছেন আপু।
আপনি বেশ যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে লিখেছেন আপনার বক্তব্য। এটা ঠিক যে সহজেই ভেঙে পরে, অপমানিত হয়ে এক কথা অন্যকে জানানোটা নিজের ই বোকামো। অন্যকে বুঝতে না দেয়াটাই উত্তম। তবে এটাও ঠিক যে মাঝে মাঝে মাথা ঠান্ডা রেখে প্রতিউত্তর ও করতে হয়, নইলে অপরপক্ষ মাথায় উঠে বসে এবং কথায় কথায় অপমানিত করতেই থাকে। বিশেষত, কাছের মানুষ বা আত্নীয় পরিজনরাই এ ধরনের ব্যবহার গুলো প্রতিনিয়ত করতে থাকে চুপ করে থাকলে।