রেসিপি :- ঘরোয়া পদ্ধতিতে মজাদার ভাপা পিঠা তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর কিছু রেসিপি শেয়ার করার জন্য। কারণ যে কোন রেসিপি খেতে আমার কাছে এমনিতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আপনাদের মাঝেও গুছিয়ে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকে কোন রেসিপি শেয়ার না করে আমাদের সবার পছন্দের পিঠা রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। পিঠার কথা শুনলে জিভে জল চলে আসে। তাইতো পিঠা পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর সেটা যদি হয় শীতকালীন পিঠা তাহলে তো জমে একাকার। আর এই সবারই পছন্দের একটি পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা। এই ভাপা পিঠা গ্রামে বলেন অথবা শহরে বলেন দুই জায়গাতেই সমান ভাবে তাল মিলিয়ে বানানো হয়।
বিশেষ করে শীতকালে রাস্তায় বেরোলে দেখা যায় এই ভাপা পিঠা কত বেশি জনপ্রিয়। শীতকালে তো বাজার ঘাটে গেলেই ভাপা পিঠার মেলা বসে। অলিতে গলিতে সব জায়গায় ভাপা পিঠা খুব কম সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়। আমি নিজেও কয়েকবার বাজারে গিয়ে ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে এই ভাপা পিঠা খেতে। তাই নিজেও এইবার ভাপা পিঠা তৈরি করলাম। তাই ভাবলাম নিজের ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা এ ভাপা পিঠা গুলোর রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আমার তৈরি করা পিঠাগুলো কিন্তু খেতে আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আশা করি হয়তো আপনাদেরও আমার এই ভাপা পিঠার রেসিপি দেখে আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সিদ্ধ চালের গুঁড়ো | ৬ কাপ |
মিঠাই | ১০০ গ্রাম |
নারিকেল | ১ টা |
লবণ | স্বাদমতো |
পানি | পরিমাপ |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি আমাদের ঘরের সিদ্ধ চাল গুলোকে ভালো করে ধুয়ে কিছুক্ষণ পানি ছাড়ানোর জন্য রেখে দিলাম। তারপর পরবর্তীতে ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর ব্লেন্ডারের মধ্যে কয়েকবার ব্লেন্ড করে একেবারে মিনি চালের গুঁড়োর মতো তৈরি করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর বাজার থেকে নিয়ে আসার মিঠাই টাকে এতে ছুরির সাহায্যে ছোট ছোট করে কেটে একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর নারিকেল ভেঙে নারিকেল গুলো ছোট ছোট করে কুড়িয়ে একই রকম ভাবে একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর সিদ্ধ চালের গুঁড়োর মধ্যে লবণ আর অল্প পরিমাপ মতো পানি দিয়ে কিছুটা আঠালো তৈরি করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর ভাপা পিঠা তৈরির বাটি নিয়ে তার মধ্যে প্রথমে কিছুটা চালের গুঁড়ো দিয়ে তার মাঝখানে নারিকেল আর মিঠাই দিয়ে তার উপরে আরো কিছু চালের গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপর একটি ভাপা পিঠার তৈরির পাতিলের মধ্যে গরম পানি দিয়ে ফুটন্ত করে নিয়ে নিলাম। কাপড় পাতলা একটি কাপড়ের উপরে পিঠা রেখে বাপ দেওয়ার জন্য পাতিলের উপর রেখে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
তারপর ভাপা পিঠা সুন্দরভাবে হয়ে আসলে এক এক করে নিয়ে অনেকগুলো এভাবেই ভাপা পিঠা তৈরি করে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবেই আমি খুব সুন্দর করে ভাপা পিঠা তৈরি করে নিলাম। আশা করি আমার তৈরি করা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ভাপা পিঠাগুলো দেখে আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
শীতকালের পিঠাগুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা। ভাবা পিঠা তৈরির নতুন একটি প্রসেস শিখতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে। খুবই সহজভাবে ভাবা পিঠা তৈরি করার পুরো প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। তবে নারিকেল দেওয়াতে মনে হচ্ছে পিঠার স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছিলো। যারা খেয়েছিলো আশা করি তারা ভালোই স্বাদ পেয়েছিলো। আপনার ভাপা পিঠার রেসিপিটি সম্পূর্ণ ইউনিক ছিলো।
https://x.com/bdwomen2/status/1888930613115203882?t=lxZmRgXZnPSyqltnsX_-wQ&s=19
ভাপা পিঠা আমার অনেক পছন্দ রেসিপি। আমি অন্যান্য পিঠার তুলনাই এই পিঠাটা একটু বেশি পছন্দ করে থাকি। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সুন্দর ভাবে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। আপনার এই পিঠা তৈরি করাটাও অসাধারণ ছিল।
আপনি আজকে বেশ চমৎকার একটি পিঠা তৈরি করেছেন। ভাপা পিটা খেতে ভীষণ মজা। ভাপা পিঠার মধ্যে বেশি নারিকেল এবং খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করলে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। শীতের সময় ভিন্ন ধরনের পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা অন্যতম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মজাদার ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। ভাপা পিঠা আমার প্রিয় প্রিয়। শীতকাল আসলেই যেন মিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আপনি অনেক লোভনীয় করে ভাপা পিঠা রেসিপিটি সম্পন্ন করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু ভাপা পিঠা গ্রামে কিংবা শহর দুই জায়গায় তাল মিলিয়ে বানানো হয় ।আপনি সুন্দরভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন ।সেটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক মজার হয়েছে খেতে ধন্যবাদ।
আপু আপনি যেটাকে মিঠাই বলেছেন এটাকে আমাদের এলাকাতে পাটালি বলে। এই মিঠাই দুই ধরনের হয় খেজুরের গুড়ের এবং আখের গুড়ের। শীতকালে এই ধরনের পিঠা গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বাড়িতে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। শীত আসলে আমাদের বাড়িতেও এই রেসিপিটা তৈরি হয়। ধন্যবাদ আপু এরকম সুন্দর এবং লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক মজাদার ভাবে আপনি এই ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ভাপা পিঠা দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। এরকম মজার মজার পিঠা দেখলে ইচ্ছে করে সাথে সাথে খেয়ে ফেলতে। গরম গরম ভাপা পিঠা দেখে তো লোভ সামলাতে পারছিনা। ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন অথচ দাওয়াত দাওয়াত পেলাম না। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা ভাপা পিঠা।
শীতকালে ভাপা পিঠা না হলে ঠিক জমে না। ঠিক বলেছেন আপু, পিঠাপুলি সবাই পছন্দ করে। গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি চমৎকার ভাপা পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। শীতের সময়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বাজার ঘাটে লক্ষ করলে বিভিন্ন রকম পিঠাপুলের দোকান দেখা যায়। আপনার তৈরি ভাপা পিঠ খুব মজা হয়েছিল তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মজাদার ভাপা পিঠা তৈরি রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।