গল্প :-প্রেমের কারনে মা বাবাকে কারো সামনে ছোট করতে নেই।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করব বাস্তব। আসলে প্রেম করা হচ্ছে নিজের মনের একটা ভালোবাসা। আর কিছু কিছু ভালোবাসা আছে যে ভালোবাসার কারণে ছেলেমেয়েরা মা-বাবাকে অন্যের কাছে ছোট করে। আমাদের পাশে একটি ফ্যামিলি আছে। তাদের একটিমাত্র মেয়ে আছে। যদিও তার ফ্যামিলি গরিব এবং বাবা কৃষিকাজ করে। মেয়েটির নাম হচ্ছে চাঁদনী। চাঁদনী দেখতে খুব সুন্দর এবং পড়ালেখা করতেছে। তবে চাঁদনী আমাদের এলাকার একটি বড়লোকের ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেলো। যদিও প্রথম ছেলেটি চাঁদনীর পিছনে অনেক ঘুরাঘুরি করেছে।
বলতে গেলে আস্তে আস্তে চাঁদনী ওই ছেলের উপর দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর ছেলেটির নাম হচ্ছে তুহিন। তুহিন এর বাবা বড়লোক এবং প্রভাবশালী একজন মানুষ। তুহিন তেমন পড়ালেখা করে নাই। বাবার সাথে তার ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করে। তুহিন চাঁদনীকে অনেক ভালোবাসে। বলতে গেলে তুহিন চাঁদনী ছাড়া কিছুই বুঝে না। এক পর্যায়ে তাদের ভালবাসার কথা জানাজানি হয়ে যায়। এবং তুহিনের মা বাবা চাঁদনী কে অনেক কথা বলে অপমান করেছে। কিন্তু চাঁদনী কিছুই মনে করে নাই। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর তুহিনের বাবা চাঁদনীর বাবাকে একদিন দোকানে অনেক অপমান করলেন।
বলতেছে তুমি গরীব কৃষক এবং তোমার মেয়ে আমি কখনো আমার ছেলেকে বিয়ে করাবো না। এবং চাঁদনীর বাবা বলতেছে আমি কখনো আপনার ছেলের সাথে আমার মেয়ে বিয়ের কথা ভাবিনি। তবে হয়তো বা ছেলে-মেয়ে দুইজন আবেগের বসে প্রেম করতেছে। আপনি আমাকে দোকানের অপমান না করলে পারতেন। এরপর তুহিন এর বাবা এক পর্যায়ে চাঁদনীর বাবাকে আরো বেশি খারাপ ব্যবহার করল। তবে চাঁদনীর বাবা দোকানে মানুষের সামনে অনেক অপমান হল। এক পর্যায়ে চাঁদনীর বাবা দোকান থেকে মাথা নিচু করে বাড়িতে চলে গেলেন। এবং বাড়িতে গিয়ে চাঁদনীকে বলতেছে কাল থেকে তার লেখাপড়া করার দরকার নেই।
তুমি কৃষকের মেয়ে তাই তোমার পড়ালেখা করার দরকার নেই এই কথা বলতেছে। যদিও চাঁদনীর বাবা কিছু বলে নাই দোকানে কি হয়েছে চাঁদনীকে। চাঁদনীও বারবার বলতেছে কেন আমি পড়ালেখা বন্ধ করব সামনে আমার পরীক্ষা। কিন্তু চাঁদনীর বাবা বলতেছে তুমি পড়ালেখা করার কোন দরকার নেই। এরপর চাঁদনীর বাবা সারা রাত ঘুমাতে পারে নাই। কারণ তাকে দোকানে যেভাবে অপমান করেছে এই অপমান সে ভুলতে পারতেছে না। এর পরের দিন সকালবেলা যখন চাঁদনী স্কুলে যেতে লাগলো তার বাবা বাড়িতে ছিল না। এবং চাঁদনী স্কুলের চলে গেলেন। স্কুল থেকে আসার সময় চাঁদনীর এক ক্লাসমেট বলতেছে তোমার বাবাকে কাল তুহিন ভাইয়ের বাবা অনেক অপমান করেছে।
এবং তোমরা গরীব বলে অনেক ধরনের কথা বলেন। তোমার বাবাকে এক পর্যায়ে এসে গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেছে। এই কথা শুনে চাঁদনী মুখ দিয়ে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। এরপর চাঁদনী বুঝতে পারল কি কারণে তার বাবা তাকে পড়ালেখা করার জন্য মানা করলো। বাড়িতে গিয়ে চাঁদনী যখন বসল খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। তখন তার বাবা বলতেছে তোমাকে মানা করার পরও কেন স্কুলে গেলে। এরপর চাঁদনী জিজ্ঞেস করতেছে কালকে তোমাকে কি বলবো কে। তখন চাঁদনীর বাবা কেঁদে বলল আমরা গরিব মানুষ তাই চলাফেরা করতে খেয়াল করে করা দরকার।
যদিও চাঁদনীর বাবা চাঁদনীকে অনেক আদর করে এই কারণে আর কিছুই বলল না। এরপর চাঁদনী তুহিনের সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করলেন। এবং বলতেছে তুমি আমার সাথে দেখা করো। এবং তুহিন সময় মতো চাঁদনীর সাথে দেখা করলেন। দেখা করার পর চাঁদনী বলতেছে তোমার বাবা কেন আমার বাবাকে দোকানে মানুষের সামনে অপমান করলো। আমি তো তোমাকে কখনো প্রেমের অফার দেই নাই। এখন কেন আমার বাবাকে তোমার বাবা অপমান করতেছে। তাহলে সব দোষ কি আমার। এরপর তুহিন বলতেছে আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করবো। এরপর কি হলো জানতে পারবেন পরে পড়বে। আশা করি আজকের এই পর্বটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। (প্রথম পর্ব)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1807465951727857888?t=Z50lKqa4qFbWJzHmCvKeqA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের সমাজের বিত্তশালী লোকেরা গরিবদেরকে মানুষ মনে করে না। বাবার অপমান সইতে না পেরে চাঁদনী তুহিনকে সব বলে দেয়। এরপর কি ঘটবে সেটা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি আপু। আশা করছি খুব দ্রুত শেয়ার করবেন পরের পর্বটি। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। তবে পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব। ভালো থাকবেন আপু।
আপু আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো, আসলে প্রেম ভালোবাসা ধনী গরিব বেছে হয় না, আসলে এখানে দোষটা তো তুহিনের বটে সেই প্রথমে চাঁদনীর পিছনে ঘুরেছে, এবং এখনো সে চাঁদনীকে ভালবাসে, এমন নয় যে সে চাঁদনীকে ভুলে গেছে, কিন্তু তুহিন এর বাবা চাঁদনীর বাবাকে দোকানে বসে যে অপমান করেছে সেটা আসলে ঠিক হয়নি কারণ এখানে চাঁদনীর বাবার কোনো দোষ নেই, কথাগুলো চাঁদনীর বাবাকে কোন এক জায়গায় একা গিয়েও বলতে পারতো , যাইহোক পরবর্তীতে তুহিনের সাথে চাঁদনী কথা বলেছে এই পর্যন্তই আপনি প্রথম পর্ব শেষ করেছেন, পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম ধন্যবাদ।
হ্যাঁ এটি একদম ঠিক বলেছেন ভালোবাসা ধনী গরিব বিবেচনা করা হয় না। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।