গল্প :- অতিরিক্ত ভালোবাসা আবেগ কখনো সুখের হয় না।(প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব অতিরিক্ত ভালোবাসায় আবেগ কখনো সুখের হয় না। আমাদের প্রতিবেশীর জীবনের গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমাদের এক প্রতিবেশীর নাম হচ্ছে রুমানা। রুমানা মেয়েটি দেখতে অনেক সুন্দর। সে স্কুল জীবনে যেমন পড়ালেখা ছিল তেমনি তার সৌন্দর্য ছিল। মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার সময় অনেক ছেলে মেয়েটির পিছনে ঘুরতো। এবং মেয়েটি ওই ছেলেদের কে নিয়ে টাইম পাস করতে মোটামুটি ভালই পছন্দ করতেন। এবং মেয়েটির পড়ালেখা এতই ভালো ছিল তার মা-বাবা অনেক স্বপ্ন তাকে ডাক্তার বানাবে। এবং মেয়েটিও ভালোভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে।
এবং স্কুলে যাওয়ার সময় এলাকার একটি ছেলের সাথে কথা বলতে বলতে একটা সময় তাদের ভালো সম্পর্ক হয়ে গেল। যদিও তার সম্পর্কটি পরিবারের কেউ জানতো না। রুমানা অত্যন্ত চালাক একজন মেয়ে ছিল। তার মুখের ব্যবহার এবং কথাবার্তা অনেক মিষ্টি ছিল। বলতে গেলে একটি মেয়ের যত গুণ ছিল সব রুমানার মধ্যে ছিল। মেয়েটি যখন এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তখন ভালো রেজাল্ট করেছেন। তখন তার বাবা মেয়েটিকে কলেজে ভর্তি করালেন। যদিও মেয়েটির ফ্যামিলি মোটামুটি ছিল। তবে তার বাবা চেষ্টা করতেছে মেয়েটিকে পড়ালেখা করানোর জন্য। এদিকে মেয়েটির আরও দুটি ভাই ও ছিল ছোট। তার বাবা চেষ্টা করতেছে ছেলে মেয়েদেরকে লেখাপড়া করিয়ে ভালো পজিশন নিয়ে যাবে।
কলেজে পড়ালেখা অবস্থা রুমানা যেই ছেলের সাথে প্রেম করে সে কথাগুলো আস্তে আস্তে জানা জানি হয়ে যাচ্ছে। কারণ কলেজে যাওয়ার পর রোমানা একটু স্বাধীন মনে করল তার জীবন। এই কারণে তার ভালোবাসার কথা সবাই জেনে গেল। যদিও যে ছেলেটির সাথে রুমানা প্রেম করেছে। ব্যক্তিগতভাবে ছেলেটি তেমন ভালো না। এই কারণে রুমানার বাবা ওই ছেলের প্রেম মেনে নিতে পারে নাই। কারণ এমন ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়ে কখনো সুখী হবে না। আর এমনিতেই যে কোন প্রেমের মধ্যে বাধা বেশি থাকে। এবং ছেলেটির রাজনীতি ভাবে ও এলাকাতে ঘোরাফেরা করেন। এই কারণে রুমানার বাবা ছেলেটিকে একদম পছন্দ করেন না।
এরপর রুমানার বাবার পড়ালেখার স্বপ্ন বাদ দিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করেছে। এবং মেয়ে কলেজে পড়ালেখা অবস্থায় ভালো একটি সম্পর্ক আসলো মেয়ের জন্য। এবং ছেলেটি ইউরোপের রাষ্ট্রে থাকে। এবং সম্পর্ক আসার সাথে সাথে রুমানার বাবা রাজি হয়ে গেলেন। কারণ ছেলে ইউরোপ রাষ্ট্রে থাকে এই কারণে। এদিকে রুমানা খুব সুন্দর একটা মেয়ে তার চেহারা দেখলে সবাই তাকে পছন্দ করে। এবং ছেলেটি মেয়েটিকে দেখার সাথে সাথে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেল। এবং রোমানার বাবা ও ছেলেটির কাছে বিয়ে দেয়ার জন্য রাজি হল। এবং কিছুদিনের মধ্যে সুন্দর করে ওই ছেলের কাছের রুমানার বিয়ে হয়ে গেল। তবে বিয়ে হওয়ার ২ মাস পর রোমানার হাজবেন্ড আবার বিদেশ চলে গেলেন।
রুমানা স্বামীর সংসারে খুব সুখে আছে। এদিকে রুমানার হাজব্যান্ড চিন্তা করলো তার ওয়াইফকে লেখাপড়া করাবে। এদিকে রোমানার সংসারে নতুন অতিথি আসার খবর আসলো। এবং রুমানার ঘরে সুন্দর একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। মেয়েটি রুমানার মতন খুব সুন্দর। এবং রুমানার ঘরে এ মেয়েটি আসার পর তাদের ঘরের সবাই অনেক খুশি হয়েছে। এবং মেয়ে হওয়ার পরপর রুমানার হাসবেন্ড বিদেশ থেকে আসলো মেয়েটিকে দেখার জন্য। এবং রুমানার বিয়ে ও মেয়ে হওয়ার পরও লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে এদিকে রুমানার পড়ালেখা শেষের দিকে যাচ্ছে। আর রুমানার পরিবারের টাকা পয়সা অনেক। বলতে গেলে স্বামীর সংসার সুখে আছে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1880588364459696177?t=-UTaybAgoQnZfZohLwUxAQ&s=19
আপনি একদম মনের কথা খুলে বলেছেন। অতিরিক্ত ভালোবাসা মানুষকে অতিরিক্ত কষ্ট এনে দেয়। অতিরিক্ত আবেগ মানুষকে হতাশায় পরিণত করে। তাই কখনোই ভালোবাসা আর আবেগ অতিরিক্ত হওয়া ঠিক নয়।
ঠিক বলেছেন মন থেকে না করে সঠিক কিছু করায় সবচেয়ে বেশি উত্তম
আসলে এভাবে মানুষের জীবনে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায় খুব সহজে। এরপর ভালোলাগা ভালোবাসা আবেগ মাখা অনুভূতি। কিন্তু এমন একটা মুহূর্তে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়। যখন আশাগুলো নিরাশায় পরিণত হয় তখন এভাবেই কষ্ট পোহাতে হয় অনেক মানুষের। সমাজে এমনই বাস্তবতা প্রতিনিয়ত হচ্ছে।
ঠিক বলেছেন চারপাশে অনেক কিছুই ঘটে যায় যেগুলো আমাদের নিয়ম পরিবর্তন করে