বৃষ্টিস্নাত ঢাকায় একটি সুন্দর সন্ধ্যা ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ঢাকায় গত দুইদিন থেকেই বেশ ভালো বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরশুদিন সকাল থেকে রাত অব্ধি একটানা বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বাদেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এরকম সারাদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বৃষ্টিস্নাত ঢাকা সম্পর্কে একটি পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
কালকে সারাদিন ঢাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছিল তাই সারাদিনে বাইরে বেরোতে পারিনি। বাসার মধ্যে ছিলাম। কেউ সকাল থেকে বেশ ভালই বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। কালকেও সারাদিন বাইরে যায়নি এবং আজকেও সকাল থেকে বাসার মধ্যেই ছিলাম। দুইদিন ধরে বাসার মধ্যে আর ভালো লাগছিল না। তাই আজকে সন্ধ্যার সময় বৃষ্টি কমলে আমি বাইরে যাই এবং বৃষ্টির পরে ভাইদের পরিবেশ দেখি এবং উপভোগ করতে থাকি। বাইরে বের হয়ে দেখি রাস্তাঘাট একদম ভেজা, প্রতিদিন তুলনায় অনেক কম দোকান খোলা হয়েছে। আমি এলাকার আশেপাশে ঘুরে দেখতে থাকি।
আমি থাকি নতুন বাজারের সায়েদনগরে। আমার নীলফামারীর দুই বন্ধু তারা বসুন্ধরায় থাকে। তাই ভাবলাম অনেকদিন তাদের সাথে দেখা হয়নি, আমিও দুইদিন ধরে বাসায় রয়েছি তাই তাদের সাথে দেখা করা যাক। আমার এখান থেকে ঢালী ফুড কোর্ট খুব বেশি একটা দূরে না এবং তাদের বাসা থেকেও ঢালী ফুড কোর্ট কাছেই ধরতে গেলে মীডিল পয়েন্ট দুইজনের বাসা থেকেই তাই তাদের কল দিয়ে ঢালী ফুড কোর্টে আসতে বলি এবং আমিও একটি রিক্সা নিয়ে ওদিকে যাই কিন্তু ওদিকের রাস্তায় পানি উঠে গিয়েছিলো। ঢাকায় বৃষ্টিতে এই এক সমস্যা, অনেক রাস্তায় পানি জমে থাকে।
১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই আমি ঢালী ফুড কোর্ট চলে আসি। তারাও কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসে। এরপর আমরা একসাথে ঢালী ফুড কোর্ট এর সামনে একসাথে চা খাই। এখানকার চা বেশ মজাদার হয়ে থাকে। চা খাওয়ার পর আমরা বসুন্ধরা এলাকায় হাটাহাটি করতে থাকি। বৃষ্টির পরে বসুন্ধরা এলাকাটি একদম চমৎকার লাগছিলো। বসুন্ধরা এরিয়ায় আমরা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। বৃষ্টির পর হাটতে হাটতে বসুন্ধরা এলাকায় বেশ ভালো লাগছিলো।
এরপর হাটতে হাটতে আমরা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর সামনে হেটে যাই। এরপর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনেই ঘাটের পার আমরা সবাই মিলে সেখানে যাই। আর এরকম বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া না খেলে যেনো সব বৃথা। তাই আমরা একটি দোকানে গিয়ে বৃষ্টির দিনে গরক গরম ভাজাপোড়া খাই। ভাজাপোড়া আমার অনেক প্রিয় আর সেটি যদি বৃষ্টির দিনে হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
এরপর কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে বাসায় ফিরে আসি। আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব ভালো লাগলো আপনার ঢাকার সুন্দর এই চিত্র দেখে। অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন বৃষ্টি ভেজা একটি মুহূর্ত। কিছুদিন ধরে আমাদের এখানেও অনেক অনেক বৃষ্টি হলো। বিকাল থেকে মনে হচ্ছে বন্ধ হয়েছে।
আসলে ভাইয়া বৃষ্টির সময় শহরে সন্ধ্যার মুহূর্ত পার করা কিন্তু একটু মজার ব্যাপার। কেননা ঐ সময় শহরটা দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। কেননা চারিদিকে লাইটের আলোয় এর সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায়। খুবই সুন্দর করে সেখান থেকে সন্ধ্যার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করেছেন। সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে কয়টা দিন পার করলাম। ঠিক তেমনি বৃষ্টিপাত এর সন্ধ্যাকালীন মুহূর্ত ঢাকা শহর থেকে ধারণ করে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। তবে জলাবদ্ধতা এগুলো দেখলে বেশ খারাপ লাগে। যা হোক সন্ধ্যা কালের মুহূর্তটা বেশ দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি যেখানে খাওয়া দাওয়ার অনুভূতিটাও ছিল।
ঢাকা শহরের এই রাস্তায় পানি জমে যাওয়ার ব্যাপার টা একেবারে বাজে লাগে। এটা বলে বোঝানো যাবে না। বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে বেশ চমৎকার সময় কাটিয়েছেন ভাই। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
বৃষ্টিস্নাত ঢাকায় একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপভোগ করেছো দেখে ভালো লাগলো। আমাদের এদিকেও প্রায় ৪দিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঢাকার রাস্তার এখনো এদিকের রাস্তায় পানি উঠে নাই।