রাতের শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান ময়মনসিংহ ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কালকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা রাজবাড়ি ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি রাতের শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান ময়মনসিংহ ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি অভিজ্ঞতা। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
কালকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম মুক্তাগাছার রাজবাড়ি যাওয়ার অনুভূতি অভিজ্ঞতা। তো মুক্তাগাছার রাজবাড়ি ঘুরার পর ময়মনসিংহ শহরে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরে আমরা সবাই মিলে শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান এ যাই। এ উদ্যানে যাওয়ার সামনের রোডটি অনেক সুন্দর। রাস্তার মাঝখান দিয়ে লাইট এবং দুই ধারে রাস্তা। রাতের রাস্তায় এত বেশি আলোকিত ছিল যেন মনে হচ্ছিল না যেটি রাত। রাস্তার মাঝখান দিয়ে সারি সারি গাছ এক কথায় অনেক সুন্দর ছিল এই রাস্তাটি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যাই উদ্যান এ। উদ্যানটি বাইরে থেকে দেখতে যেমন সুন্দর ভেতরে আরো বেশি সুন্দর। আমরা সবাই মিলে উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করি। উদ্যানের ভেতরেও ছিল ঝলকানো লাইটিং, এবং ভেতরের রাস্তা গুলো বেশ সুন্দর। আমরা সবাই উদ্যানটি ভালো করে ঘুরে দেখতে থাকি। উদ্যানটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এরকম উদ্যানে আসলে আসলেই সবার মন ভালো হয়ে যায়। আমরা সবাই উদ্যানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি।
উদ্যানের ভেতরে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। আমরা একটু সেদিকে যাই। এরপর আবার বাইরে এসে উদ্যানের চারপাশে ঘুরতে থাকি। উদ্যানটি ঘুরে দেখতে দেখতে একটি মোড় আসে এখানে ক্রিকেট স্ট্যাম্প, বল ও ব্যাটের একটি মিনার ছিল। যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। এরকম মিনার আগে কোথাও দেখা হয়নি আমার। ক্রিকেট আমার অনেক পছন্দের একটি খেলা। তাই উদ্যানে এমন একটি মিনার দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।
এরপর আমরা আবার চারিদিকে ঘুরে দেখতে থাকি। পার্কটি বেশ বড় ছিল। তাই ঘুরে দেখতে সময় লাগছিল। পার্কটি ঘুরে দেখতে দেখতে আমরা এর এক সাইডে চলে আসি। পার্কটির এইদিকে ছিল হিমু আড্ডা নামে একটি রেস্টুরেন্ট। বাইরে থেকে এই রেস্টুরেন্টটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।
এরপর আমরা উদ্যানের আরেক সাইডে যাই।আমার কাছে উদ্যানের এই দিকটি সবথেকে ভালো লেগেছে । উদ্যান থেকে নিচের দিকে সারি সারি চায়ের দোকান এবং চায়ের দোকানের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে একটি নদী। আমরা নিচের দিকে যেয়ে চা খাই। এই টঙের দোকানের চা গুলো অনেক অসম্ভব সুন্দর হয়েছিল। আমরা সেদিন মালটা চা খেয়েছিলাম যা খুবই সুস্বাদু ছিল। সারি সারি চায়ের দোকান এর পাশে আবার প্রবাহিত হচ্ছে একটি নদী, নদীর ধারে বেশ শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তুলছিল।
আজকের মত এখানেই। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আমি আপনার গত পর্ব পড়িনি। তাই বলছি,মুক্তাগাছার মন্ডা খেতে ভুলিয়েন না জানি।মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। জয়নুল আবেদীন উদ্যানে ঘোরাঘুরির ব্লগটি বেশ ভাল লিখেছেন,ব্যাট স্ট্যাম্প এর ভাস্কর্যটি আসলেই সুন্দর কিন্তু ছেলেপেলে স্প্রে পেইন্ট করে সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ট্রাভেল পোস্টটির জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
ময়মনসিংহে অনেক ভালোই ঘুরাঘুরি করেছ এবং প্রত্যেকটি ছবি এবং বর্ণনাগুলো অনেক চমৎকার ভাবে দিয়েছো। তোমার জন্য শুভকামনা রইল। সামনের পথগুলো যেন খুব ভালোভাবেই চলতে পারো এই কামনাই করি।
এভাবেই সব সময় দোয়া রেখো।
বেশ সুন্দর তো জয়নুল আবেদীন উদ্যানটি। রাতের দৃশ্য যেন উদ্যানটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মুক্তাগাছায় কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পর্বটি পড়েছি। আজ আবার আপনার জয়নুল আবেদীন উদ্যানটিও দেখতে পেলাম। অনেক সুন্দর কিন্তু রাতের ভিউ উদ্যানটির।
আপনি ঠিক বলেছেন জয়নুল আবেদিন উদ্যান এর রাতের ভিউ খুবই চমৎকার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। রাতে লাইটিং এর কারনে আরো বেশী যেনো ঝলমল করছিলো।আপনি জায়গাটির খুব সুন্দর বর্ননা তুলে ধরেছেন। যদিও আমার কখনো এখানে যাওয়া হয়নি।তবে বেশকিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে ঘুরে আসবেন দেখবেন ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।