ভার্সিটিতে একটি রেনডম দিন||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার ভার্সিটিতে কাটানো আজকের দিনটি নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
ভার্সিটিতে আমার মোট তিনটি ক্লাস ছিল আজকে। আমার প্রথম ক্লাসটি সকাল ৯ টা ৫১ থেকে সকাল ১১ টা ১০ পর্যন্ত, দ্বিতীয় ক্লাসটি দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১'৫০ মিনিট পর্যন্ত এবং আমার শেষ ক্লাসটি ছিল দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪'৩০ টা পর্যন্ত। আমার আজকে ৩ টি ক্লাসেই এক্সাম ছিলো এবং শেষ ক্লাসে মীড এক্সাম ছিলো। কালকে রাতে বেশ ভালোভাবেই ক্লাসটেস্ট ও মীডের পড়াগুলো রিভাইস দেই। এতোকিছুর মধ্যে কালকে পোস্ট করার কথা ভুলেই যাই তবুও কম সময়ের মধ্যে একটি পোস্ট করে আবার পড়তে বসি।
আমার সকাল ৯ টা ৫১ তে ক্যালকুলাস ও লিনিয়ার কোর্সের ক্লাস টেস্ট ছিল। এবং স্যার আমাদের একটি এসাইনমেন্ট দিয়েছিল সেটি ও রাত জেগে করি। আমি সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটেই ভার্সিটি চলে যাই। ভার্সিটিতে গিয়ে আমি আমার ক্লাসরুমের সামনে চলে যাই এবং ক্লাসের সময় হলে আমি ক্লাসে প্রবেশ করি। আমার ক্লাসটি ছিলো ভার্সিটির ৪ তলায়। ক্লাসে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর স্যার চলে আসে এবং স্যার আমাদের জানায় একটি শিক্ষার্থী মেইল করেছে যেন পরবর্তী ক্লাসে ক্লাসটেস্টটি নেয়া হয় এর ফলে স্যার আজকে ক্লাস টেস্ট না নিয়ে কালকের ডেট দিয়ে দেয়। এরপর স্যার আমাদের ক্লাস নিতে থাকেন এবং আমরা মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করি।
আমাদের ক্লাসটি শেষ হয় সকাল ১১:১০ মিনিটে। যেহেতু আমি সকালে কিছু খেয়ে যায়নি এবং আমার পরবর্তী ক্লাসটি দুপুর ১২ঃ৩০ মিনিটে অর্থাৎ মাঝখানে এক ঘন্টা ২০ মিনিটের লম্বা বিরতি রয়েছে। এই বিরতিতে আমিও আমার বন্ধুরা ভার্সিটির ক্যান্টিনে যাই এবং ভার্সিটির ক্যান্টিন থেকে চিকেন খিচুড়ি নিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর আমিও আমার বন্ধুরা ভার্সিটি স্টাডি রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ মীডের পড়া পরি। আমাদের পরবর্তী ক্লাসটি দুপুর ১২:৩০ মিনিটে শুরু হয়। এইসময় আমার ক্লাস ছিলো অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং থিওরী ক্লাস। এই ক্লাসেও ক্লাস টেস্ট থাকে এবং আমরা সবাই ক্লাস টেস্ট দেই।
এরপর আমাদের অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাব ক্লাস। ল্যাব ক্লাসে আমাদের আজ মীড এক্সাম ছিলো। আমাদের জায়গা ফিক্সড ছিলো। স্যার ২ টার সময় ক্লাসে এসে সবার আগে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর আমাদের ফোন ব্যাগে রেখে ব্যাগটি পাশে রাখতে বলে। এরপর আমাদের সবাইকে মিডের কোশ্চেন দেওয়া হয়। মিডের কোশ্চেন দেওয়ার পরে স্যার আমাদের কোশ্চেনটি বুঝিয়ে দেয়। এবং আমরা সবাই কোড করি, সময় সল্পতার কারণে পুরো কোডটি করতে পারিনি শেষ এর দিকে একটু বাকি থেকেই গিয়েছিলো। এরপর স্যার একে একে সবার কোড চেক করে আজকের মতো ছুটি দিয়ে দেয়।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনার এক্সাম ছিল আর ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সবাইকে পরীক্ষা দিতে বলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার কাটানো সুন্দর দিনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।