গ্রাফিতির ফটোগ্রাফি ||
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা সকলে জানেন যে পুরো বাংলাদেশে গ্রাফিতির কাজ চলছে যা মূলত শিক্ষার্থীরাই করছে। তো আমাদের নীলফামারীতেও গ্রাফিতির কাজ চলছে আর আজকে আমি নীলফামার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে করা কিছু গ্রাফিতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আশা করি আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
এই গ্রাফিটি নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী লাল বিল্ডিংয়ে ব্যাচ ২০২০ এর অর্থাৎ আমাদের ব্যাচের ছাত্ররাই করেছে। এই গ্রাফিতিটি লাল বিল্ডিং এর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এই গ্রাফিতিটি তে একটি প্রতিবাদী গানের একাংশ লেখা হয়েছে। শহরজুড়ে গ্রাফিতির মাঝে এটি সবার নজর কেরেছে এবং এখানে অনেকেই এও গ্রাফিতির সাথে ছবি তুলছে।
এই গ্রাফিতিটিও নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় লাল বিল্ডিং এ করা হয় এবং আমাদের ব্যাচের উদ্যোগে এটি করা হয়। এটি মূলত নজরুলগিতীর একটি লাইন। ছাত্রদের প্রতিবাদী চেতনা থেকে এই গ্রাফিতিটি করা হয় যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। লাল বিল্ডিং এর করা এই নজরুলগিতীর একাংশের গ্রাফিতিটি ও সবার নজর কেরেছে।
এই গ্রাফিতিটি মূলত করা হয়েছে আমরা সকল ধর্মের মানুষ এই যারা বাংলাদেশে থাকি তারা বাংলাদেশের নাগরিক। যারা ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চায় তাদের প্রতিবাদের জবাবে এই গ্রাফিতিটি করা। এখানে মূলত বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় স্থান যেমন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ইত্যাদি গ্রাফিতি করে বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশ এ যারা থাকবে তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এটা বুঝাতেই মূলত গ্রাফিতিটি করা।
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালে যাদেএ জন্ম তাদের gen Z জেনারেশন বলা হয়। আমাদের যাদের জন্ম এই সালের মধ্যে আমরা সবাই এই জেনারেশনের অন্তর্ভুক্ত। আর এই জেনারেশনের শিক্ষার্থীরা নতুন করে বাংলাদেশ ইতিহাস করার পেছনে সরাসরি অবদান রেখেছে। সেই অবদান এর প্রেক্ষিতে এই গ্রাফিতিটি করা হয়েছে।
১৯৫২ ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক স্মরণীয় সাল। কারণ ১৯৫২ সালেই বাংলার দামাল ছেলেরা ভাষা আন্দোলন করেছিল এবং বাংলা ভাষার জন্য নিজেদের প্রাণ দিয়েছিল। আমাদের এই জেনারেশনের শিক্ষার্থীরা ৫২ দেখিনি তবে ৫২ প্রতিরুপ ২৪ এর আন্দোলন দেখেছে এবং তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়েছে সেই ঘটনার বিবৃতিতেই এই গ্রাফিতিটি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পুলিশের গুলিতেও পিছু পা হয়নি বরং নিজেদের বুক পেতে দিয়েছি পুলিশদের গুলির সামনে এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদের দাবি আদায় করেই ছেড়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই গ্রাফিতিটি করা। এই গ্রাফিতিটির মাধ্যমে যারা এগুলো করতেছে তাদের সুপ্ত প্রতিভা আমাদের মাঝে দৃশ্যমান হচ্ছে। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
🌼ধন্যবাদ🌼
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলাদেশে যে গ্রাফিতির কাজ চলছে, সেটা আমরাও সর্বত্র দেখতে পাচ্ছি ভাই সোশ্যাল মিডিয়ায়। এইগুলো মূলত তরুণ শিক্ষার্থীরাই করছে। আপনার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি মূলক পোস্টটিতে এই বিষয়গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু বিষয় ফুটে উঠেছে আপনার শেয়ার করা গ্রাফিতির ফটোগ্রাফির মধ্যে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা ফটোগ্রাফিগুলো দেখে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পুরো বাংলাদেশের দেওয়ালেই বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিতি দেখা যাচ্ছে এখন। প্রতিবাদি মূলক বিভিন্ন আর্ট দেখে ভালো লাগলো। সব ধর্মের মানুষ এর সমান অধিকার এর গ্রাফিতি টা বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গ্রাফিতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সারা বাংলাদেশ জুড়ে এখন এই গ্রাফিতির কাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেও গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে। এই কাজে তোমাদের অংশগ্রহণ দেখে আমি অভিভূত। অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা তোমার জন্য।