নীলা মার্কেটে করা কিছু রাইডের ফটোগ্রাফি ||
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
এটি হলো বড় নাগরদোলা। আমাদের ওদিকে মেলা হলে এরকম বড় বড় নাগরদোলা আসে। আমি যখনি মেলায় ঘুরতে যেতাম তখনই এই বড় বড় নাগর দোলায় উঠতাম। এই নাগরদোলাগুলো যখন একদম উপরে যেত তখন উপর থেকে চারিদিকের দৃশ্য অসম্ভব সুন্দর লাগে। নাগরদোলার একদম উপর থেকে চারপাশে অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায় যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
এগুলো হলো ছোট বাচ্চাদের রাইড। বাচ্চারা প্রতিটি সিটে বসবে এবং এগুলো চারিদিকে ঘুরবে। আমার শৈশবে আমি এগুলোতে অনেক ঘুরেছি, ছোটবেলায় থাকতে এগুলোয় আমার ছবিও আছে। কোন একদিন সেই সব ছবি নিয়ে আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করব। এই রাইডটি দেখে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল তাই ফোন বের করে এই রাইডটির ফটোগ্রাফি ক্যামেরা বন্দি করে নিয়েছিলাম।
এটি আমাদের সবার অতি পরিচিত একটি রাইড পঙ্খিরাজ নৌকা। যেকোনো জায়গায় মেলা লাগলেই কিছু থাক আর না থাক এই পঙ্খীরাজ নৌকাটি দেখা যায়। নীলফামারীতে যখন মেলা হয় তখন আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে মেলায় ঢুকেই যেনো এই পঙ্খিরাজ নৌকাগুলোয় উঠতাম। এই নৌকাগুলো একবার ডান দিকে উপরে যায় আবার একবার বাম দিকে উপরে যায়। আমার বিশ্বাস এই কমিটির অনেকেই এই পঙ্খী রাজ নৌকায় রাইড করেছেন।
.jpg)
এগুলো হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের রাইড। ছোট ছোট বাচ্চারা প্রথমে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে তারপর স্লাইড করে নিচে নামতে হয়। ছোট বাচ্চাদের অনেক পছন্দের একটি রাইড এটি। তারা মেলায় গেলে এই রাইডে উঠার জন্য বাহানা খুজে। আমরা যখন নীলা মার্কেটে ঘুরছিলাম তখন এই রাইডটিও আমাদ চোখে পরে এবং এই রাইডটির ফটোগ্রাফি করে নিই।
এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম ট্রেন রাইড থেকে। ট্রেন রাইডে একটি বৃত্তাকার চক্র আছে এই চক্র দিয়ে লুপের মতো একটি ট্রেন বারবার ঘুরে। এই ট্রেন রাইডে যেকোনো বয়সের মানুষ উঠতে পারে। ট্রেনের মাথাটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে বেশ চমৎকার একটি ড্রাগন এর মাথা। আশা করি আমার ফটোগ্রাফিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমি এর আগের ফটোগ্রাফিতে যেই রাইডের কথা বললাম এটি হচ্ছে সেই ট্রেন রাইড। ফটোগ্রাফিতে আমরা দেখতে পারছি ২ জন মেয়ে ট্রেন রাইডটি উপভোগ করছে। এরকম ট্রেন রাইড আমিও করেছিলাম মেলায় যেয়ে। এই রাইডগুলো ও ছোট বাচ্চাদের অনেক প্রিয় হয়ে থাকে।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
🌼ধন্যবাদ🌼
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি বলতে এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ছোটবেলার কিছু মজার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। তবে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল প্রতিটা ফটোগ্রাফি স্বচ্ছ ভাবে তুলে ধরেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
নীলা মার্কেট থেকে করার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আমি এর আগে নীলা মার্কেটে অনেকবার গিয়েছি জায়গাটা অনেক ভালো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দারুন দারুন নাগরদোলার ছবি শেয়ার করেছ শিপু। তোমার মায়ের কাছে তোমার নানান প্রতিভার কথা শুনি। আজকে নাগরদোলা গুলোর মাধ্যমে আমার নিজের শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিলে। আমি বড় ভীতু ছিলাম কখনোই নাগরদোলায় উঠতে সাহস পেতাম না। একবার ওই প্রথমে যে ছবিটা দিয়েছ ওই নাগর দোলায় তুলে দিয়েছিল সে আমার কি বীভৎস্য চিৎকার। ভয় নাগরদোলা লোকটা আমায় ধরে নামিয়ে দিয়েছিল।
রাইড হলো বাচ্চাদের জন্য। এই বয়সে আমাদের রাইডে উঠা ভালো দেখায় না মোটেই। দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। বেশ দারুণ কিছু রাইডের ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।।