নীলফামারী টু ডালিয়া সাইকেল ট্যুর||
হ্যালো বন্ধুর, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বন্ধুদের সাথে ৯০ কিলোমিটার নীলফামারী টু ডালিয়া সাইকেল ট্যুর এর অভিজ্ঞতা। আশা করে আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন দেরি না শুরু করা যাক।
দিনটি ছিলো ১২ ই জানুয়ারি ২০২২, আমরা সবাই মিলে ঠিক করি এইদিনে আমরা সাইকেল ট্যুরটি দিবো। আমাদের সকাল ৮ টায় রওনা হাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু সকালে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিলো আর আমিও গ্রামের বাসায় ছিলাম। তাই সকাল সকাল উঠে আমাদের কারে করে বৃষ্টির মধ্যেই নীলফামারী আসলাম। এরপর বৃষ্টি কমলে সাইকেল নিয়ে সবাই মার্কেটে মিট করি।
এরপর সবাই সকালের নাস্তা করে নিই। তারপর কয়েকটা ছবি তুলে আমাদের ট্যুর শুরু করে দিই।আমরা মোটে ৮ জন ছিলাম। আমরা যাত্রা শুরু করি নীলফামারী পৌর মার্কেট থেকে আর আমাদের গন্তব্য ছিলো ডালিয়া ব্রীজ।
বৃষ্টি তখন ও হালকা হালকা পড়ছিলো, আমরা সকলেই একসাথে সাইকেল চালাতে চালাতে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলাম। সবাই মিলে গল্প করতে করতে একই সাথে ট্যুর দেওয়ার মজাই আলাদা। প্রায় ২ ঘন্টা সাইকেল চালানোর পর একটা ব্রীজে সবাই মিলে দাড়াই, কিছুক্ষণ আড্ডা দেই সাথে কিছু সেলফি তুলি।
তারপর আবারো আমরা যাত্রা শুরু করে দেই। আরো দুই- আড়াই ঘন্টা পর আমরা আমাদের গন্তব্য স্থান ডালিয়া তে পৌঁছাই। প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা টানা সাইকেল চালিয়ে সবার মনের ক্লান্তি ভাব যেন এখানে এসে শেষ হয়ে যায়। ডালিয়া অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা এখান থেকে নদীর ভিউ ও চমৎকার আসে। আমরা সবাই ডালিয়ায় এসে ছবি তুলতে লাগলাম, প্রকৃতিকে উপভোগ করতে লাগলাম। সবাই মিলে সাইকেলের সাথে কিছু গ্রুপ ছবি ও তুলি।
এরপর আমরা সকলেই পাশের একটি হোটেলে যাই খাওয়া করতে কারণ একটানা এতক্ষণ সাইকেল চালিয়ে সবারই অনেক ক্ষুদা লেগে গিয়েছিলো, তাই সবাই মিলে পাশের একটি হোটেলে যাই। এরপর টাটকা নদীর মাছের তরকারির সাথে সবাই পেট ভরে ভাত খাই। খাওয়া দাওয়ার পরে একটু রেস্ট নিয়ে ডালিয়া ব্রীজটি ঘুরে দেখলাম সবাই।
এরপরেই আমরা নীলফামারীর উদ্দেশ্য এ রওনা দিয়ে দিই। কারণ আমাদের আরও ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নীলফামারী যেতে হবে তাই আর দের না করে আমরা তাড়াতাড়ি নীলফামারীর উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে দেই। আবারও সবাই মিলে গল্প করতে করতে আমরা পথ পাড়ি দেই। সন্ধ্যার একটু পরেই আমরা নীলফামারীতে পৌঁছে যাই। এখানে এসে সবাই মিলে বাটারবন খেয়ে বাসায় চলে যাই।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার নীলফামারী টু ডালিয়া সাইকেল ট্যুর এর অভিজ্ঞতা। বন্ধুদের সাথে এমন ট্যুর দিতে কার বা ভালো না লাগে। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। আজকের মতো এখানেই। দেখা হচ্ছে পরবর্তী ব্লগে ততক্ষণ ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
চার পাঁচ ঘন্টা টানা সাইকেল চালালে ক্লান্তিতো আসবেই। তখন সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করলেই একটু শান্তি। আবার ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নীলফামারীতে যাবেন। সত্যিই আপনাদের ধৈর্য আছে বলতে হবে। আবার একসাথে সবাই মিলে সাইকেল চালালে একদিক দিয়ে গল্প করাও হলো আবার অনেক মজা করেও সময়টা পার করে চলে যাওয়া যায়। ভালই লাগলো আপনাদের সাইকেল ট্যুর দেখে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বন্ধুদের সাথে এভাবে সাইকেল ট্যুর করবে বলে,সেদিন গ্রামের বাড়ি থেকে তুমি আমাদের গাড়ি করে নীলফামারী পর্যন্ত এসেছিলে,খুব দ্রুত সকালে নাস্তা না করেই।অনেক ভালো লাগলো সাইকেল ট্যুর এর অভিজ্ঞতা পড়ে।তোমাদের সকলের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা।ভালো থেকো সব সময়♥♥
অসংখ্য ধন্যবাদ আম্মু, এভাবেই সবসময় তোমাদের দোয়ায় যেন ভালো কাজ করে যেতে পারি।
সেই অনেকদিন আগে ডালিয়ার ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলাম ৷ যেখান এক অপূর্ব দৃশ্য পানির ঝর্নার দৃশ্য ৷ মূলত বর্ষার সিজনে ডালিয়ার ব্রিজ দেখতে দারুন লাগে ৷
আজ আপনার পোষ্টে দেখে অনেক ভালো লাগছে ৷ অনেক বন্ধু সাইকেল ট্যুর দারুন লাগে এসব ট্যুর করতে ৷
হুম ভাই বন্ধুদের সাথে এরকম ট্যুর অনেক মজার হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সাইক্লিং করতে আমার খুব ভালো লাগে কিন্তু কখনো লং ডিসটেন্স এ যাওয়া হয়নি। ৪-৫ ঘণ্টা সাইক্লিং করে নীলফামারী থেকে ডালিয়া ব্রিজ গিয়েছেন জেনে অবাক হয়েছি যে এতটা পথ সাইক্লিং করেছেন। ডালিয়া ব্রিজ সংলগ্ন নদী দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর। আপনার সাইকেল ট্যুর এর পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
প্রিয় বন্ধুদের সাথে আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি সাইকেল ভ্রমণের আনন্দঘন মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে অসাধারণভাবে উপস্থাপন করেছেন, দেখে যেন ফিরে পেলাম সেই হাই স্কুল লাইফের জীবনটা। খুবই ভালো লাগলো এই ভ্রমণের বিষয়টা জেনে।