নীলফামারী থেকে ঢাকা বাস জার্নি ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে নীলফামারী থেকে ঢাকা আসার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
ঈদের ছুটিতে আমি ঢাকা থেকে নীলফামারী গিয়েছিলাম, ঢাকা থেকে নীলফামারী যাওয়ার অনুভূতি ও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ঈদের চতুর্থ দিনেই অর্থাৎ ২১ তারিখ আমার ছুটি শেষ হয়ে যায় এবং ২২ তারিখ সকালে আমার ক্লাস ছিলো। ঈদের ছুটি বেশ ভালোই কাটিয়েছি বাসায়।ঈদের ছুটিতে বাসায় গিয়ে খেলাধুলা ও বেশ হয়েছে। দেখতে দেখতেই যেনো ঈদের ছুটি চলে গেলো এবং আবার সেই যান্ত্রিক শহর ঢাকায় ফিরে আসতে হলো পড়াশোনার তাগিদে।
আমি বাসে করে নীলফামারী থেকে ঢাকায় এসেছি কারণ ঈদের সময় ট্রেনের টিকিট পায়নি। ঈদের সময় উত্তরবঙ্গের ট্রেনের টিকিট পাওয়াটাই যেনো যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। যাইহোক ২১ তারিখ রাত ৯ টায় নীলফামারী বাস টার্মিনাল থেকে আমার ঢাকায় আসার বাস ছিলো টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলাম।
আমাদের বাসা থেকে রিক্সায় করে নীলফামারী বাস টার্মিনাল যেতে প্রায় ১৫ মিনিটের মতো লাগে। বাস যেহেতু ৯ টার দিকে তাই আমি আর ভাইয়া রাত ৮'৩০ মিনিটে বাসা থেকে একটি রিক্সা নিয়ে বাস টার্মিনালে চলে যাই। বাসটি ইতিমধ্যেই বাস টার্মিনালেই ছিলো আমি যেয়ে আমার সিটে বসে এবং আমার হাত ব্যাগটি বাসের ভেতরে রাখি। বাস টার্মিনালে ভাইয়া ও আব্বু আমাকে রাখতে আসে এরপর কিছুক্ষণ পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করে।
রংপুর রোডে প্রচুর জ্যাম থাকায় বাসটি বিরামপুর,দিনাজপুর হয়ে যায়। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে প্রায় সবাই ঢাকা ফিরছিলো তাই প্রচুর জ্যাম ছিলো রাস্তায়। বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের ওইদিক প্রচুর জ্যাম ছিলো, বাস প্রায় ২ ঘন্টার বেশি জ্যামে আটকায় ছিলো। সচারাচর বাস পেন্টাগন ফুড ভিলেজে থামলেও অতিরিক্ত জ্যামের কারণে বাসটি পেন্টাগন ফুড ভিলেজে থামতে পারেনা বরং অন্য একটি ফুড ভিলেজে ২০ মিনিট খাবার বিরতি দেয়।
রাত ৩ টার দিকে ফুড ভিলেজে আমাদের খাবার বিরতি দেয়। আমি ফুড ভিলেজে নেমে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিয়ে বাসে চলে যাই এবং কিছুক্ষণ পরে বাসটি আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে কিন্তু সিরাজগঞ্জে প্রচুর জ্যাম ছিলো। আমি কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেই। যখন বাসটি চন্দ্রায় আসে তখন আমার ঘুম ভাঙে। ভোর ভোর সময় আকাশ খুব মেঘলা হয়ে গিয়েছিলো বুঝাই যাচ্ছিলো যে কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি নামবে। বাসটি সকাল ৮ টার পরে সাভার, নবীনগর ছেড়ে আসে এবং মুসুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯ টার দিকে বাসটি গাবতলিতে আসে তখন ও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিলো। বৃষ্টির মধ্যেই বাস থেকে নামি মুসুলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো তাই অনেকটাই ভিজে গিয়েছিলাম। গাবতলিতে নেমে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি কিছুক্ষণ পরেই একটি অছিম বাসে উঠি নতুনবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
আমি নতুনবাজার এ এসে পৌঁছাই সকাল ১০টার কিছুটা আগে। এরপর নতুনবাজার থেকে একটি রিক্সা নিয়ে সায়েদনগরে আমার বাসায় যাই। বাসা যেয়ে ব্যাগ রেখে গোসল করে সকালের নাস্তা করি। আমার ক্লাস ছিলো সকাল ১১ টার দিকে তাই আর দেরী না করে নাস্তা করেই ক্লাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরি। সারারাত জার্নি করে এসে বিকেল ৩'১০ পর্যন্ত ক্লাস করে বাসায় ফিরি। বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া করে ঘুমিয়ে যাই। কালকে অনেক বেশি ক্লান্ত থাকায় পোস্ট ও করতে পারিনি।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবার ঈদের ছুটি শেষ তাই এখন সবাই গ্রাম ছেড়ে রাজধানীর দিকে যাচ্ছে। যার কারনে রাস্তায় জ্যাম টা বেশি। নীলফামারী থেকে ঢাকার জার্নি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বেশ লম্বা সময় লাগে আপনাদের। এত লম্বা জার্নি করে আবার ক্লাস করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
তোমাদেরকে যখনই নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দেই,, এরপর আমার বুকের ভেতর অন্যরকম একটা তোলপাড় শুরু হয়। মনে মনে অনেক দোয়া পড়ি। যতক্ষণ পর্যন্ত না বাসায় পৌঁছে যাও। আর রাস্তায় এই সময়টা জ্যাম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেও ভালোভাবে বাড়িতে পৌঁছে গেছো। এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। ভালো থেকো সব সময় 💕
আমার ও গাড়িতে ওঠার পর থেকেই মন খারাপ হয়ে যায়।
ঈদের ছুটি শেষে ফেরাটা বেশ কষ্টসাধ্য বটে। বাসজার্নি করাও শরীরের জন্য বেশ ধকলের। লম্বা জার্নির পর এই ক্লান্তি কাজ করা তাই একদমই স্বাভাবিক। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।