আমার আজকের পোস্ট // ছোট ছেলে-মেয়েদের পিকনিকের কিছু মুহূর্তঃ
আসসালামু আলাইকুম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা আজ আবার নতুন একটা পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। |
---|
চিত্রঃ ১
তার মধ্যে আজকে ওদের পিকনিক আমার মনে হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া কিন্তু স্মৃতিকে আবার বুঝি ওরা ফিরিয়ে আনছে। যাই হোক আমার ছেলে নিহান, ভাতিজা রিফাত, মিনহাজ এবং সমবয়সী আরো অনেক ছেলে ছিল। ওরা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলো যে পিকনিক করবে। আমার মনে এটাই ওদের জীবনের প্রথম পিকনিক। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিলো, বিকাল বেলা বৃষ্টি থেমে মেঘলা আকাশ পিকনিক করার মতোই একটা পরিবেশ ছিলো।
চিত্রঃ ২
সুতরাং সবাই পিকনিক করার জন্য রাজি হয়ে গেলো। তো কেউ দিলো চাউল, কেউ দিলো ডাল, কেউ দিলো লবন, কেউ দিলো তেল, কেউ দিলো হলুদ এবং মরিচের গুঁড়ো, কেউ কাঁচা মরিচ এবং পেয়াজ এভাবে এক একজন এক একটা দিয়ে পিকনিকের আয়োজন করলো। ওরা যেহেতু সবাই ছোট তাই ওদের রান্না করে দেওয়ার জন্য ১২-১৩ বছরের একটি ছেলে ওদের সাহায্য করলো।
চিত্রঃ ৩
ওরা সবাই মিলে খিচুড়ি রান্না করলো। খিচুড়ি রান্না হতে প্রায় মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে যায়। রান্না শেষে সবাই যখন খাচ্ছিলো তখন মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো। ওরা খাচ্ছে আর বলছে আহ কি স্বাদ। ওরা যখন এই কথা বলছিলো তখন আমার চোখের সামনে ছোট বেলার সেই স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো। এমন কতো পিকনিক আমরা ছোট বেলায় করেছিলাম।
চিত্রঃ ৪
আমি দেখেছি যে ওদের রান্না করা খিচুড়ি ভালো মতো সিদ্ধ হয়নি। কিন্তু তারপর ও যে তৃপ্তি নিয়ে ওরা সবাই খেলো তাতে মনে হলো দুনিয়ার সব স্বাদ ওদের খাবারে এসে ভর করেছে। আসলে এটাই হচ্ছে পিকনিকের মজা। যাই রান্না করা হোক বা স্বাদ যাই হোক না কেন সবাই মিলে একসাথে আনন্দ করে খাওয়া এটাই হচ্ছে আসল মজা।
আমার মনে হয় শুধু আমি না দুনিয়ায় সকল মানুষই এই ফেলে আসা স্মৃতিময় দিনগুলোকে অন্তর থেকেই মিস করে।
চিত্রঃ ৫
যাই হোক বন্ধুরা আমার মতো আর কে কে স্মৃতিময় পিকনিকের মতো এই দিনগুলো মিস করেন তা অবশ্যই সুন্দর একটি মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন। আপনাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | মাদারীপুর |
সবাই মিলে এরকম পিকনিকের যে আনন্দ তা এখনকার বাচ্চারা তো বুঝতেই পারেনা আমরাও ছোটবেলায় এভাবে অনেক পিকনিক করেছি। ছোট ছোট বাচ্চাদের এই পিকনিকের মুহূর্তটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল এগুলো দেখে।
ছোট বড় সবাই মিলে পিকনিক করার মজাটাই আলাদা। আর সত্যি বলতে গেলে আমার কাছে মনে হয় পিকনিকের খাবারগুলো বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। কেননা ওর মধ্যে বেশিরভাগই আনন্দ থাকে। তবে খিচুড়ি রান্না করতে এবং খেতে খেতে মাগরিব হয়ে গেছে যদি একটু সকাল সকাল হতো তাহলে হয়তো আরো বেশি আনন্দ হতো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোট বেলায় চলে গেছিলাম কিছু টা সময়ের জন্য।আমিও ছোটবেলায় খুব এভাবে পিকনিক খেতাম। এখন আবার আমার মেয়ে মাঝে মাঝেই বায়না ধরবে পিকনিক খাব গ্রামের বাচ্চাদের কে নিয়ে পিকনিক খায়। আপনার পোস্টটি দেখে একদম ছোটবেলার স্মৃতিচারণ হয়ে গেল বেশ ভালো লাগলো।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার পিকনিকের দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে কলার পাতায় করে এইরকম পিকনিক এখন দেখা যায় না।এতো সুন্দর একটা দৃশ্য দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো।আপনি পিকনিক সম্পর্কে দারুণ আলোচনা করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।