আমার আজকের পোস্ট || পরী ও তার জীবনের গল্প (২য় খন্ড):
৮ই ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে রজব, ১৪৪৪ হিজরি
রবিবার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম। আসসালামু আলাইকুম।
বন্ধুরা আমার আজকের পোষ্টটি পরী ও তার জীবনের গল্প এর ২য় খন্ড। আমরা আস্তে আস্তে এক একটি খন্ডের মাধ্যমে পরী ও তার জীবনের গল্প লেখাটি শেষ করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে। চলুন বন্ধুরা তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের পোস্টেটিঃ
![]() |
---|
Copyright free image source:pixabay
পরী নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য খুব চেষ্টা করছে কিন্তু কোনমতেই পারছে না। এমতাবস্থায় পরী চিন্তা করছে কি করা যায় এখন। আমাকে জীবনে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই এখানে থাকতে হবে, আর এখানে থাকতে হলে অবশ্যই কার ও সাথে আমার মনের কথাগুলো শেয়ার করতে হবে। আর এজন্য আমার একজন দুজন বন্ধু দরকার কিন্তু আমি কিভাবে বন্ধু বানানো আমি তো কারো সাথে কথাই বলি না, বলতে পারি না।
কিন্তু এভাবে থাকলে তো হবে না, আমার লক্ষে পৌছানো যাবে না। এখানে থাকতে হলে অবশ্যই আমার কিছু ভালো বন্ধু/মানুষ লাগবে। এই ভাবনা ভাবতে ভাবতে পরী ঘুমিয়ে পড়লো। পরেরদিন কলেজে গিয়ে পরী ভালো একজন ক্লাসমেট খুঁজতে থাকে, কিন্তু এভাবে কি হঠাৎ করে ভালো বন্ধু বাছাই করা যায়। না আজকে পরী কোন বান্ধবী বানাতে পারেনি। বান্ধবী শুধু হলেই তো আর হবে না, অবশ্যই আমার মনের মতো হতে হবে। যার সাথে আমি আমার মনের কথা খুলে বলতে পারবো বা যার সাথে সময় কাটিয়ে আমার খারাপ লাগা মুহুর্তগুলো কাটিয়ে দিতে পারবো।
এভাবে কয়েকদিন চলে যায় কিন্তু পরী তার মনের মতো বান্ধবী পাচ্ছে না। বেশ কয়েকদিন পরে অবশেষে পরী তার ডিপার্টমেন্টের শায়লাকে তার বান্ধবী হিসেবে বেছে নেয়। পরী এতদিনে শায়লাকে যতটা বুঝতে পেরেছে তাতে করে একমাত্র শায়লাই তার বান্ধবী হওয়ার মতো। তাই শায়লাকেই পরী তার বান্ধবী হিসেবে বেছে নেয়। প্রথম দিনে দু জন দুজনের সাথে পরিচিত হয়। শায়লার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার পটুয়াখালীতে। বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। তিন ভাই বোনের মধ্যে শায়লা মেঝ। এর চেয়ে বেশি কিছু শায়লার পরিচয়ে ছিলো না।
এতদিনে পরী শায়লাকে বান্ধবী হিসেবে পেয়ে নিজেকে কিছুটা ফিরে পেয়েছে। পরী এখন ইউনিভার্সিটিতে গেলেই প্রথমেই শায়লাকে খুঁজে নেয়।
শায়লার সাথে নিয়মিতভাবেই ভাবেই পরীর বন্ধুত্ব সৃষ্টি
হচ্ছে।
শায়লার সাথে বন্ধুত্বের কারণে পরীর অল্প দিনেই আরও কিছু বান্ধবী তৈরি হয় কিন্তু এবার কিন্তু সে আর তার বন্ধু বাছাই করতে পারেনি কারণ এই বন্ধু গুলো শায়লার সাথে বন্ধুত্বের কারণেই বানাতে হয়েছে...চলবে
আমার পরিচয়

পরি চেয়েছিল তার মনের মত একজন বান্ধবী যার সাথে সে তার মনের সব কথা শেয়ার করতে পারবে। অবশেষে পরি শায়লাকে তার বান্ধবী বানায়। শায়লার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর পরীর আরো অনেক বন্ধু হয়ে গিয়েছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। এই গল্পটির প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়ে তো ভালো লাগলো আশা করি দ্বিতীয় পর্ব পড়তেও ভালো লাগবে। তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।