মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে কিছু সময় ও ফটোগ্রাফি

বোটানিক্যাল গার্ডেনে আমার আগে কখনো যাওয়া হয়নি। ঢাকা শহরে সব জায়গায় ঘুরলেও কোনো কারণে মিরপুরের দিকে কখনো যাওয়া হয়নি। বোটানিক্যাল গার্ডেন মিরপুর চিড়িয়াখানার ঠিক পাশেই। প্রথমে একবার ভাবলাম চিড়িয়াখানায় ঢুকবো পরে আবার কি জানি ভেবে চলে গেলাম বোটানিক্যাল গার্ডেনে। মূল বিষয় হলো সেখানে যাওয়ার কোনো প্ল্যান এই ছিল না। বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম বসুন্ধরায় মুভি দেখতে সেখানে গিয়ে দেখি সারাদিন কোনো টিকেট নেই সবগুলো হল বুকিং হয়ে গিয়েছে। তখন মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম কিছুক্ষন। হুট করেই আমার উনি বললো চলো বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে ঘুরে আসি। আর আমিও ভাবলাম কখনো সেখানে যাওয়া হয়নি এখন যাওয়া যেতেই পারে। তারপর সোজা সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে।
সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে একটা চিড়িয়াখানার গেইট আরেকটা বোটানিক্যাল গার্ডেনের গেইট কিছুক্ষন চিন্তা করে বিশ টাকা করে টিকেট কেটে ঢুকে গেলাম বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতর। ভিতরের পরিবেশটা একদম ঠান্ডা। চারদিকে শুধু গাছপালা আর ফুলের বাগান। মনটায় যেন ভালোহয়ে গেলো এক মুহূর্তে। ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন রকমের গাছ দিয়ে সাজানো। আমি কখনো ভাবতেও পারিনি এই ঢাকার মধ্যে এত সুন্দর ও এত বড় একটি গার্ডেন আছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কিছুক্ষন হাঁটলেই মনে হয় গার্ডেনের সব দেখা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল ছিল টানা দুই ঘন্টা হাঁটার পরেও আমি গার্ডেনের শেষ মাথা খুঁজে পাইনি। একটা সময় ক্লান্ত হয়ে গেলাম ও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার কারণে অন্য একদিকের গেইট খুঁজে বের হয়ে গেলাম। আর যে গেইট দিয়ে প্রবেশ করেছি সেই গেইট দিয়ে বের হওয়া কখনো সম্ভব ছিল না। আবার দুই ঘন্টার রাস্তা উলটো দিকে হাটতে হতো।
যাইহোক ভিতরে প্রবেশের পর থেকে সামনে যা দেখছি সবকিছুরই ছবিতুলা শুরু করেছি। একটা সময় ক্লান্ত হওয়ার কারণে ছবি তুলা বন্ধ করে দেই তবুও দেখতে দেখতে অনেক গুলো ছবি তুলা হয়ে গেছে আমি বুঝতেই পারিনি। আর আজকে আমি সেখান থেকে বাচাই করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি আর চেষ্টা করেছি বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে ঘুরার কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার। জায়গাটা বেশ সুন্দর ও চারদিকে সবুজে ঘেরা। আপনারা চাইলে পরিবার নিয়ে সেখানে ঘুরে আসতে পারেন ও সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটাতে পারেন।



লোকেশন
ক্যামেরা | OPPO F17 |
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | মিরপুর, ঢাকা
|
তারিখ | 15.08.2022 |
সমাপ্ত

এই জায়গাটি সম্পর্কে অনেক শুনেছি।ছবিতেও দেখেছি বেশ সুন্দর।কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি।আসলে সময়ের অভাবে ,নয়তো এসব জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা।আপনাকে বেশ সুন্দর লাগছে আপু 🥰।এবং জায়গাটিও বেশ সুন্দর।ঘুরতে যাব সময় করে আপু।
Budding work!🌱👍 Resteemed!
Dear,লিখাটা পড়লাম। বেশ ভালো লাগলো। আমি এমনিতেই প্রকৃতি প্রেমী মানুষ, আপনার তোলা ছবি গুলো এক কথায় অসাধারণ - চমৎকার। আপনার জন্য শুভকামনা রইল, ভালো থাকুন সবসময়।
আপু দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন । মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে কিছু সময় ও ফটোগ্রাফি করেছেন এবং অনেক ইনজয় মুলক সময় কাটিয়েছেন। এমন গার্ডেনে গেলে অনেক ভালো লাগে মাঝে মাঝে একটু ঘুরতে গিয়ে বিনোদন নেওয়াটা উচিত। যে কথা না বললেই নয় অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়েছিলাম। আপনার ফটো গুলো দেখি খুবই ভালো লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর সময় কাটিয়ে। বোটানিক্যাল গার্ডেন সত্যিই খুব সুন্দর একটি জায়গা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর সময় টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু ৷ এমন জায়গা গুলোতে ঘুরতে এবং সময় কাটাতে আমারও অনেক ভালো লাগে ৷আপনি ঘুরতে ঘুরতে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো আমার আপনার তোলা ছবিগুলি দেখে ৷আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপানার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
বোটানিক্যাল গার্ডেনে আসলে অনেকদিন আগে যাওয়া হয়েছে। অনেক বছর হয়ে যাওয়া হয়না। তবে সেই সময় এরকম ছিল না এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। এখানে দারুন সময় পার করেছেন আরো কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে হলগুলোতে বেশ ব্যস্ততা চলছে। তাইতো খুব সহজে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যাই হোক সেই সুযোগে গার্ডেনে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে ভালো লাগে। আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার বাসা মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের একদম কাছে। তাই এই জায়গায় যে কয় শত বার যাওয়া হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। যতবারই যাই কখনো বোরিং লাগেনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জায়গাটা খুব মিস করছি কারণ সবকিছু খুব পরিচিত মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
এই কথাটা এত দেরিতে বললেন আপু। আগে জানলে তো আপনার বাসায় চলে আসতাম।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। চারদিকে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো। বোটানিক্যাল গার্ডেন অনেক সুন্দর জায়গা, তবে ওখানে গেলে একটাই সমস্যা সেটা হলো হাঁটতে হয় প্রচুর।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে খরাপ লাগলো যে আপনি মুভি দেখার জন্য গিয়ে টিকিট পান নি ৷কিন্তু পরে অন্য খানে যাবেন ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷
আপনি যে মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি ভালো সময় কাটিয়েছেন তা বোঝাই যাচ্ছে ৷কী সুন্দর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি ৷চারদিকে সবুজ আর সবুজ পুকুর সবমিলে ভালো লেগেছে ৷
আর ওই যে কথায় বলে না ৷যা হয় ভালোর জন্যই হয় ৷ঠিক তেমনি যদি টিকিট পেতেন তাহলে এরকম একটি সুন্দর পরিবেশে যেতে পারতেন ৷
ধন্যবাদ আপু