শৃঙ্খল জীবন।

আমাদের জীবনে সবাই কিন্তু সুখ চাই। এমন কেউ নেই যারা কিনা সুখের আশা করে না। সুখে থাকার জন্য অনেকে অনেক রকম চেষ্টা চালিয়ে যায় কিন্তু আমার মতে আমরা কেউ যদি সুখে থাকতে চাই তাহলে একটা সুশৃঙ্খল জীবন অত্যাবশক। কেননা এটা ছাড়া আমাদের একটা সুখী এবং শান্তিময় জীবন কোনোদিনও হবে না। আমরা জানি যে কোনো জিনিস সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য সুশৃঙ্খলতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যত বেশি শৃঙ্খলবদ্ধ থাকবো আমাদের জীবন তত বেশি গুছানো ও সুন্দর হবে। এবং এই শৃঙ্খলতার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাজ গুলো করার জন্য বেশ সুন্দর সময়ও বের করে ফেলতে পারি।

আমরা যখন ছোট বেলায় স্কুল এর যেতাম তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা সুশৃঙ্খলতার বোধ আনার চেষ্টা করে। ক্লাস রুটিন , পড়ার রুটিন এইসব কিছুর মাধ্যমে আমাদের মধ্যে একটা শৃঙ্খলতার তৈরী করার চেষ্টা করে। যাতে করে আমরা উশৃঙ্খল জীবন যাপন না করি। এবং এই জিনিসটার মাধ্যমে আমাদের ছোট বেলার থেকেই একটা শৃঙ্খলা বোধ কাজ করতে শুরু করে। এবং সেই শৃঙ্খলা বোধটা যদি আমাদের ছোট বেলার থেকে মাথায় ঢুকে যেতে পারে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ এর জন্য এটা খুবই উপকারী হবে। কেননা একটা সুশৃঙ্খল এবং সুখী জীবন আমাদের মধ্যে সবাই কিন্তু কামনা করি।

এই সুশৃঙ্খল জীবন পাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিদিনকার কাজের সময় সীমা আগের থেকেই নির্ধারণ করে রাখতে হবে। কেননা এতে করে আমাদের সকল কাজ গুলোর সুন্দর করে সময় ভাগ করে নেয়া যাবে। কোনো কাজের জন্য যদি বেশি সময় লাগে তাহলে সেখানে আমরা বেশি করে সময় দিবো আর যদি কোনো কাজের জন্য কম সময় লাগে তাহলে আমরা সেখানে কম সময় দিব। যাতে করে সকল কাজ গুলোকেই সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে পারি। তা না হলে যদি আমরা যে কাজে কম সময় লাগবে সেই কাজে যদি বেশি সময় লাগিয়ে বসে থাকি তাহলে যেখানে সময় বেশি লাগার কথা সেখানে আমরা সময়ই দিতে পারবো না। এবং এতে করেই কাজের মধ্যে বেঘাত ঘটবে।

তাই আমরা চেষ্টা করবো সব সময় নিজের কাজ গুলোকে একটা নিয়ম এর মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করার। কেননা যদি আমরা এভাবেই আমাদের জীবনটাকে একটা আয়ত্তের মধ্যে আনতে পারি তাহলে আমাদের জীবন অনেকটাই গুছানো হয়ে যাবে। এবং আমরা আমাদের প্রতিটা কাজের প্রতিই সুন্দর ভাবে প্রয়োজনীয় সময় টুকু দিতে পারবো। আজ এই পর্যন্তই , আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। আপনাদের ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।